হাই! আমি ভাইরাস। আপনার মস্তিষ্কে ঢুকতে যাচ্ছি। ওয়েট! মস্তিষ্ক খুঁজছি…খুঁজছি…সরি, আপনার কোনো মস্তিষ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চললাম। বাই! একবার এক ইমামাসাহেব নামাজ পড়াচ্ছিলেন।

পিছনে দুই জন মুসল্লি। এক জন লোক তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে গেল। দুই মুসল্লির একজন তখন বলে উঠলেন, “ঐ মিয়া নামাজের সামনে দিয়া হাইটা গেলা ক্যন?? পাশের মুসল্লি বলল, “নামাজের মাঝখানে কথা বলার নিয়ম নাই,কথা বললে নামাজ ভেঙ্গে যায়”। তখন ইমামা সাহেব বলে উঠলেন, “হে হে হে এই কারনেই তো আমি কথা বলি না” !!! কে যে কি কারনে কথা বলে,কি কারনে বলে না,কোন সময়ে কি কথা বলার দরকার, আদৌ কথা বলার দরকার আছে কিনা এত কিছু চিন্তা করার প্রয়োজন নাই। কথা বলতেই হবে।

হোক সেটা প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয়। বাণী দিতে হবে এটাই বড় কথা। মনিষীরা তাদের বাণীর কারনে বেঁচে আছেন। আমরা না দিলে কি হয়? দেশে মেট্রো রেল নামক এক বস্তু নাকি হবে। শালার শুনতে শুনতে কান পচায়া ফেললাম কিন্তু তার টিকির দেখাও পেলাম না।

কিন্তু গরুর মত এই জাবর সে এখনও কাটতেছে। আবুল যে গাছে ধরত না,সংসদ ভবনেই পাওয়া যাইত এটা পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য একটা মিউজিয়াম বানানো উচিৎ। নাম আবুল(গর্ত)মিউজিয়াম। মটো থাকবে কাজে নয় কথায় পরিচয়। ফালতু কথা বলা সবসময় ই খারাপ না।

অনেক নিত্য নতুন ভাষা শিখা যায়। উই আর লুকিং ফর শত্রুজ। বাংলা ছবির সানডে-মানডে ক্লোজ কইরা দিমুর চেয়েও এই ডায়লগ জনপ্রিয় ছিল। ফাতরামির সীমা কিভাবে অতিক্রম করা লাগে তা আমরা শিখেছিলাম। ইদানীং এক ভদ্র মহিলা ইডেনের মেয়েদের নিয়ে বেজায় চিন্তিত।

যদিও চিন্তার ভাঁজ তার চেহারায় দেখা যায় না(দুষ্ট লোক বলে এটা নাকি মেকাপের কারনে বোঝা যায় না) । চিন্তার ঠ্যালায় এমন এক কথা বললেন যে কথা নাকি শুধুমাত্র স্বপ্ন যোগেই পাওয়া সম্ভব। আফসুস এত জ্ঞান মাথায় শুধু কথাটা একটু লাইন মত বললেই হয়। পুতুলের শ্বশুর রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী ছিল না। আসলে এ নিয়ে কি বলা যায় তাই বুঝতেছিনা।

এত এত ডিগ্রীধারী একজন এই কথা বলেছেন যে ফেলতে কষ্ট হয়। (তবে দুষ্ট লোকে বলে এই ডিগ্রী নাকি টাকা দিয়ে কিনা)। তবে আশার কথা এখন আগের চেয়ে কথা অনেক কম বলেন। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভাবতে ভালই লাগে। কথার বাজারে নতুন এক মালের আগমন ঘটছে।

শেয়ার বাজার অদ্ভুত এক বাজার। দুনিয়ার ইতিহাসে এই স্টক মার্কেটের সমকক্ষ দ্বিতীয় স্টক মার্কেট নেই। যতটুকু ভালো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সরকার তার সবই নিয়েছে। মাথায় যা এসেছে, তার সব ধরনের পদক্ষেপই নিয়েছি। ’ বুঝলাম আপনে বিশাল এক মাল।

দায়িত্তে ছিল একদল গাধার পাল। ভাগ পেয়ে নিশ্চয়ই আপনিও হয়ে গেছেন লাল। যদিও মানুষ আপনাকে করে গালাগাল। তাতে কি??!! বানিয়েছেন টকার খাল। কিন্তু সরি,বাংলার মানুষ আপনাকে চিরদিন ডাকবে আবাল।

স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর আমরা তার কাজের কারনে তাকে স্মরণ করেছি...সেই সাথে তার বিখ্যাত উক্তি “ক্ষুধার্ত থেকো,বোকা থেকো। ”আর আমরা এখন আরেক জন কে স্মরণ করি এক মহান উক্তি দ্বারা “দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো”। কিন্তু পুরটাই যে ব্যাঙ্গাত্তক এই বুঝ তাদের কবে আসবে? এই দিক দিয়ে আমরার প্রখ্যাত কবি সাহেব অনেক ভালো। ইতরামি,ফাইজলামি,লুলামি যাই করুক কথা কম বলে। কিন্তু যেই দুই একটা বলে তার ওজন ও কম না-যেমন মেয়েরা আমার কাছে আসলে আমি তো না করতে পারি না!!!! জেমস একটা গানে বলছে”দেশে ভালোবাসা নাই”।

তখন তার নিশ্চয়ই আপনার কথা মনে ছিল না। তাহলে ভুলেও গানে এই ওয়ার্ড ব্যাবহার করতনা। আপনি বিরাট দিল দরিয়া লোক। বুকে অনেক ভালোবাসা। কিন্তু দুষ্ট লোকে বলে লুল।

জাতি আপনার মতন বিশ্ব প্রেমিক রে চিনল না। আফসুস বিরাট আফসুস। সম্প্রতি এক আল্লাহর অলি বলেছেন "সরকারের বিদায় আল্লাহ রাসুলের অনুমোদন হয়ে গেছে"। হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিনা। ক্ষমতায় না থাকলে নাকি মানুষ উল্টা পাল্টা বকে।

তাই বইলা এত??!!!পাবনার হেমায়েত পুরের মানুষ ও মনে হয় এত উল্টা পাল্টা বলে না। এইবার একটা ভিডিও দেখুন। মাত্র ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও। Click This Link হা হা হা কি বুঝলেন?কথা বলে নেই। যা হওয়ার পরে হবে।

তবে একজন কে চরম আকারে মিসাই। কার্ড খেলার নিয়ম পুরাপুরি শিখানোর আগেই সে হাওয়া হয়ে গেল। ট্রাম কার্ড,ট্রাম কার্ড বলে জাতীকে কার্ড খেলা শিক্ষা দেয়ার এক জন-গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল। খেলা শিখার আশা,আশাই থেকে গেল। তার ট্রাম কার্ড ও দেখলাম না খেলা তো শিখতেই পারলাম না।

একজন আরেকজনকে সন্মান দিয়ে কথা বলা,একজন মানুষের প্রাথমিক শিক্ষা। যা কিনা একজন মানুষ পরিবার থেকেই গ্রহন করে। এই শিক্ষা টুকু নিয়েও কি তারা রাজনীতি করতে আসে নাই??!!!আজব। আর তাদের এক একটি কথা যখন তাদের কে হাসির পাত্রে পরিণত করে,তখন তাদের আশেপাশের মানুষ গুলো কি তাদের এই কথা বলে না যে,দিনকে দিন আপনি গোপাল ভাঁড়ে পরিণত হচ্ছেন। নাকি সবাই চাটুকার।

তাহলে তো বলতে হয় যেই সাধারন মানুষের কারনে তারা আজ এই পর্যায়ে গিয়েছেন,যে সকল সাধারন মানুষের কল্যাণে তাদের কাজ করার কথা তাদের থেকে তারা অনেক দূরে আছেন। একটি বার জনগনের কাতারে আসেন,দেখেন মানুষ কিভাবে আপনাদের কথার কারনে হাসাহাসি করে। অনেকে বলে জনগন ই যেহেতু সকল ক্ষমতার উৎস হয় এর দায়ভার কিছুটা হলেও জনগনের। কিন্তু জনগনের ই বা কি করার আছে। ভালো মানুষ রাজনিতিতে আসছে না তাই যা আছে তাদের মধ্য থেকেই কে ভালো মানের গোপাল ভাঁড় তা নির্ধারণ করতে হয়!!!! দেশের অবস্থা হইছে জিপি মডেম দিয়া ইউটিউব দেখার মত।

একটা ভালো খবর পাই ত সাত টা খারাপ খবর আসে। ২ সেকেন্ড দেখি ত ১৮ সেকেন্ড বাফারিং করে। একটা হাই স্পীড ইন্টারনেট সংযোগ( নেতা )দরকার। আশায় থাকি একজন এমন নেতা পাব যে কিনা সত্যিকার অর্থেই কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। ।