আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অজ্ঞাত মরুভূমিতে দাফন করা হয়েছে লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক গাদ্দাফিকে

বাঙ্গালি একাই একশ হতে পারে। কিন্তু একশ বাঙালি কখনও এক হতে পারে না...... মাহাবুব আলম লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি, তার ছেলে মুতাসিম এবং গাদ্দাফি আমলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবু বকর ইউনুসের মরদেহ আজ সুর্যোদয়ের আগে অজ্ঞাত একটি মরুভূমিতে দাফন করা হয়েছে। লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী সরকার বা এনটিসির একজন কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে গাদ্দাফির মরদেহ কীভাবে ও কোথায় দাফন করা হবে- তা নিয়ে গত ক’দিন ধরে চলে আসা অচলাবস্থা দূর হল। কর্নেল গাদ্দাফির পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন, তার মরদেহ যেন তার জন্মস্থান সির্তের বাইরে দাফন করা হয়।

পরিবারের সে আবেদন রক্ষা করা হয়েছে বলে এনটিসির পক্ষ থেকে আভাস দেয়া হয়েছে। মিসরাতায় লিবিয়ার একজন সেনা কর্মকর্তা একটি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ভোর ৫টায় গাদ্দাফিকে সমাহিত করা হয়েছে। দাফন করার আগে গাদ্দাফির জানাযার নামাজ আদায় করা হয় এবং এতে তার গোত্রের কয়েকজন নেতা ও সরকারী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তবে একটি সূত্র বলেছে, গতরাতেই তার জানাযার নামাজ পড়া হয়েছিল। এর আগে এনটিসির একজন কর্মকর্তা আল জাযিরা নিউজ চ্যানেলকে বলেছিলেন, গাদ্দাফির মরদেহ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে দাফন করা হবে।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, গাদ্দাফির মৃতদেহতে পচন ধরার কারণে তা দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতরাতেই গাদ্দাফি, তার ছেলে ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃতদেহ মিসরাতার কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করা হয়। এসব দেহ দর্শণার্থীদের দেখানোর লক্ষ্যে গোশত রাখার জন্য তৈরি ওই হিমাগারে রাখা হয়েছিল। এসব মৃতদেহ এখান থেকে গাড়িতে ওঠানোর আগেই জানাযার নামাজ আদায় করা হয় বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গাদ্দাফির মৃতদেহ প্রকাশ্যে সমাহিত করা হলে সেখানে তার অনুসারীরা মাজার নির্মাণ করতে পারে বলে এনটিসির আশঙ্কা ছিল।

এ ছাড়া, গাদ্দাফির শাসনামলে চরম নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যরা ধিক্কার জানানোর জন্য তার সমাধিস্থলে সমবেত হতে পারে- এমন আশঙ্কাও করছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা। এসব কারণে লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসকের মৃতদেহ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থানে দাফনের মাধ্যমে এ নিয়ে আশঙ্কা আপাততঃ কেটে গেল বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এদিকে এনটিসির প্রধান মুস্তফা আব্দুল জলিল বলেছেন, গাদ্দাফির মৃত্যুকে ঘিরে যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তা অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাদ্দাফি জীবিত অবস্থায় এনটিসির যোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েছিলেন বলে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পর তার মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্রসফায়ারে পড়ে গাদ্দাফির মৃত্যু হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী গাদ্দাফির মরদেহের পোস্ট-মর্টেম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাথায় বুলেটবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: সত্যের সহযাত্রী ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.