দুই ফেসবুক ভিলেনকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। তারা দুই আত্মস্বীকৃত দোষী। এক কিশোরী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে তাদের পরিচয় ঘটেছিল। মেয়েটির বয়স যখন ১৩ ও ১৪ বছরের কোঠায় তখন আশিকুর রহমান তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওইসময়ে তার সঙ্গে সে পাঁচবার মিলিত হয়েছিল।
এ মেয়েটি আরও এক যুবকের লালসার শিকার হয়। তখন তার বয়স ১৪। একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুরো কাহিনী ওই দু’যুবক আদালতে স্বীকার করেছে। ২৬ বছরের আশিকুর রহমান ও ৩২ বছরের জুনায়েদ হোসেনকে ওই অপরাধে প্রত্যেককে তিন বছর করে জেল দেয়া হয়।
সাজা খাটা শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে তাদের কারাগার জীবনের গণনা শুরু হয়েছে।
সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টে ওই শিশুর সঙ্গে পাঁচবার যৌন সম্পর্ক গড়ার দোষ স্বীকার করেছে আশিকুর। তার বাসা স্কেটির গ্লান আফান রোডে। একই ভাবে আদালতে দোষ স্বীকার করেছে জুনায়েদ।
সম্প্রতি সাউথ ওয়েলস ইভনিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে লন্ডনের উডঅল ক্লোজের বাসিন্দা জুনায়েদ ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সোয়ানসিতে যায়। তারা একটি হোটেলে মিলিত হয়।
বিচারক কিথ টমাস বলেন, জেল খাটার পরে উভয় অভিযুক্তকে তাদের স্বদেশ বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। সরকারি কৌঁসুলি ক্রেইগ জোনস বলেন, গত বছর ডিসেম্বরে ফেসবুকে প্রথম আশিকুরের পরিচয় ঘটেছিল ওই কিশোরীর সঙ্গে। তারা পরস্পরের মধ্যে মোবাইল ফোন বিনিময় করেছিল।
গত জানুয়ারিতে তারা নিকটস্থ একটি পার্কে মিলিত হওয়ার উদ্দেশে প্রথম সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি কিশোরীর মা টের পেয়ে হস্তক্ষেপ করেন। পরে দু’জনের মধ্যে কাকতালীয়ভাবে সাক্ষাৎ ঘটে। এরপর তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক শুরু হয় মেয়েটির বাসাতেই। তার মা বাসায় না থাকার সুযোগ নিতো তারা।
মেয়েটি এক পর্যায়ে তার এক সহপাঠীকে ঘটনা খুলে বলার পর পুলিশ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আশিকুর বলেন, মেয়েটি আমাকে বলেছিল, তার বয়স ১৬ বছর। তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে মেয়েটি তার ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করেছিল। আদালতে জোনস বলেন, জুনায়েদের সঙ্গেও ওই কিশোরীর পরিচয় ঘটে ফেসবুকের মাধ্যমে। গত জুনে ফেবিয়ান হোটেলে একটি রুম ভাড়া করে তারা প্রথম সাক্ষাৎ করে।
স্কুল ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় মেয়েটি প্রথম জুনায়েদকে দেখেন শহরের সিটি সেন্টার বাস স্টপেজে। পরে তারা হোটেলে মিলিত হয়। আশিকুরের মতো জুনায়েদও দাবি করে, মেয়েটি তার বয়স ১৬ উল্লেখ করেছিল। তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। অভিযুক্তদের ব্যারিস্টার জন হিপকিন ও ক্যাথরিন রিচার্ডস আদালতে বলেন, তাদের মক্কেলরা ওই ঘটনার জন্য এখন লজ্জিত ও অনুতপ্ত।
বিচারক টমাস বলেন, তাদের কারাবাস এড়াবার সুযোগ ছিল না। কারণ তারা মেয়েটির সঙ্গে কনডম ছাড়া যৌন সম্পর্ক গড়েছে। এ কারণে তার গর্ভবতী হয়ে পড়ার যথেষ্ট ঝুঁকি ছিল। বিচারকের কথায়, ‘আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন লক্ষ্য থেকে যৌনতা বিষয়ে ঢের অনভিজ্ঞ তরুণদের রক্ষা করা। ’
সূএ: মানবজমিন(বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০১১) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।