আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রী আবুলের ভাতিজিকে আটকের ফল: বদলির দৌড়ে ৩ এসআই!

.............................. জেলা প্রতিনিধি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম মাদারীপুর: দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৭০ পিস ইয়াবাসহ যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাতিজিকে গ্রেপ্তার করার শাস্তি হিসেবে মাদারীপুরের তৎকালীন ৩ ডিবির এসআইকে বদলির পর বদলির দৌড়ে রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। এ ঘটনায় বিপাকে পড়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন মাদারীপুরের ডিবির সেই ৩ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম, এসআই কামরুল হাসান ও এসআই যোবায়ের হোসেন। জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতবাড়ি গ্রামের সৈয়দ জালাল উদ্দিনের মেয়ে ও ওমান প্রবাসী খালেদ মাহমুদের স্ত্রী ঝুমা (১৯) বাবার বাড়িতে ৭০ পিস ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর ঝুমা সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাতিজি বলে পরিচয় দেন। এ সংবাদটি পরের দিন বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

পরে যোগাযোগমন্ত্রী গ্রেপ্তার ঝুমা তার ভাতিজি নন বলে দাবিও করেন। এদিকে, পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ঝুমাকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এবং তার সঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রীকে যুক্ত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ঘটনার পর পরই একটি বিশেষ মহলের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে ওই ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করে জেলার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে বদলি করা হয়। ওই বিশেষ মহলটি ৩ কর্মকর্তার অভ্যন্তরীণ (একই জেলার মধ্যে) বদলিতে সন্তুষ্ট হতে না পারায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের একটি বদলির আদেশে মাদারীপুর থেকে চট্টগাম রেঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) আদেশ দেওয়া হয়। এদিকে, বদলির কর্মস্থলে যোগদানের আগেই পুলিশ সদর দপ্তরের (এডিশনাল আইজিপি, সংস্থাপন) গত ১৬ অক্টোবরের একটি স্মারকের (নম্বর- নিয়োগ/২০১০-২০০৮/০৫০৩৮২) মাধ্যমে আবার ওই ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরিশাল রেঞ্জে বদলির আদেশ জারি করা হয়। নাম প্রকাশে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ইয়াবাসহ ঝুমাকে গ্রেপ্তার এবং যোগাযোগমন্ত্রীকে জড়িয়ে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কারণেই ওই ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে একাধিকবার বদলি করা হয়েছে।

এটা পুলিশের পুরস্কারের পরিবর্তে তিরস্কার বলেই তারা মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বদলির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘পুলিশ বিভাগের রুটিন ওয়ার্ক হিসেবেই তাদের বদলি করা হয়েছে। ’ অভ্যন্তরীণ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলির বিষয়টি জানা থাকলেও বরিশাল রেঞ্জে বদলির কোনো আদেশ এখনো পাননি বলে বাংলানিউজকে জানান তিনি। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.