দেড় দশক আগেও বিশ্বের নিয়ন্তা বলে ভাবা হত পুজিবাদী পাশ্চাত্য এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নকে। এমন এক ধারণা তৈরী করা হয়েছিল যে এদুই ব্যবস্থার বাইরে মানুষের জন্য জাগতিক বিষয়াদী পরিচালনার জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তবে ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর বিশ্ব জানতে পারলো আরো একটি ব্যবস্থা আছে যা ওই দুই ব্যবস্থার চেয়ে প্রাচীন তবে অনেকটা উপেক্ষিত ও অবহেলিত। যাই হোক বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ধরাশায়ী হয়ে গেল। একক মাতাব্বর হিসেবে জাহির হলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন পুজিবাদী ও সম্রাজ্যবাদী পাশ্চাত্যের উপস্থাপিত ব্যবস্থা।
পাশ্চাত্যপন্থিরা বিশেষকরে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর পরজীবী বুদ্ধিজীবীরা জীবণের সকল ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করাকেই ব্রত মনে করে বসলো। এমনি এক মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়ে গেল পুজিবাদী ব্যবস্থায় নিষ্পেষিত জনমানবের ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। নিমিষেই “ওকোপাই ওয়াল ষ্ট্রীট” নামে পাশ্চাত্যের বঞ্চিত মানুষের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লো মার্কিন মুল্লুকের সীমানা পেড়িয়ে গোটা পশ্চিমা জগতে। বেড়িয়ে পড়েছে থলের বিড়াল।
ওকোপাই আন্দোলন থামাতে পাশ্চাত্যের শাসক গোষ্ঠি মধ্যপ্রাচ্যের রাজা ও স্বৈরশাসকদের চেয়ে কম নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিচ্ছে না।
মার্কিন পুলিশ আন্দোলনকারীদের সাথে অতি মাত্রায় সহিংস আচরণ করে চলেছে। অথচ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফতোয়া দেয়ার মত বিশ্বে কেউ নেই। পাশ্চাত্য জগতের বাইরে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কোন বৈরী দেশ মার্কিন পুলিশের মত আচরণ করলে এতক্ষণে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসে যেত। কিন্তু পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে এমনটি হচ্ছে না। আজ শিকাগোতেই গ্রেফতার হয়েছেন ১৭৫ জন।
নিউ ইয়র্কেও গ্রেফতার করা হয়েছে বহু মানুষকে। বৃটেনেও বঞ্চিত মানুষ শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মিশরের তাহরির স্কয়ারের মত তাবু গেড়ে বসেছে। মানুষের মনে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভুত ক্ষোভের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পাশ্চাত্য জগতে। (আরো তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন) কাজেই অনেকেই ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাস্তানির যুগ শেষ হয়ে আসছে। যে কোন সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মত খন্ড খন্ড হয়ে যেতে পারে পুজিবাদী ব্যবস্থার ধারক বাহক মার্কিন মুল্লক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।