আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনীতিতে ভায়োলন্স: রোডমার্চের পরের ভাবনা

বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ একটি রোডমার্চ কয়েকদিন পূর্বে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখী একটি রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হলো। আমরা দেখলাম খালেদা জিয়া প্রায় তিন হাজার গাড়ির বহর ও কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। খবরে প্রকাশ ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় পুরোটা জুড়ে খালেদা জিয়ার এ নয়া আন্দোলন কর্মসূচীতে একাত্মতা প্রকাশের জন্য লাখো মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে অভিন্দন জানিয়েছে। খালেদা জিয়াও পথে পথে বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহন করে এসব নেতা কর্মী ও সরকারের ব্যরর্থতায় অতীষ্ট সাধারন মানুষকে যথা সম্ভব প্রতিশ্রুতি ও তার দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তাদেরকে আশার বানী শুনিয়েছেন। সর্বশেষে সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদরাসা ময়দানে স্মরন কালের বৃহত্তম সমাবেশ করে সরকারকে জানান দিলেন চারদলীয় জোট চাইলে এখনো লাখো মানুষের সমাবেশ করতে পারে।

জনপ্রিয়তার দাঁড়িপাল্লায় চারদলীয় জোট এখনো অনেক জনপ্রিয়। সরকার যদি বিএনপি জোটকে সংসদের আসন দিয়ে পরিমাপ করে তাহলে যে সেটা মস্তবড় ভূল হবে তা অনেকটাই ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বে সিলেটের বিএনপি দেখিয়ে দিলো। আমরা সাধারন মানুষ অভিভূত হলাম বিএনপি এতো বিরাট এক কর্মসূচী সুন্দরভাবে শেষ করলো কোন ধরনের সংঘাত ছাড়াই। সংঘাতবিহীন এ বিশাল কর্মসূচি সমাপ্তির মাধ্যমে চারদল প্রমান করলো অযথা সংঘাতে জড়ানো তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং তারা সংঘাতহীন আন্দোলন করতে পছন্দ করে।

সুশৃংখল ও শান্তিপ্রিয় এ কর্মসূচি তাহলে সভাবতই প্রশ্ন আসে বিএনপি হরতাল ডাকলে বা তাদের সহযোগী ইসলামিক দলগুলো কোন মিছিল বের করলে কেন পুলিশ ও আওয়ামীলীগ বেপরোয়া হয়ে লাঠিপেটা, গ্রেফতার, ভ্রাম্যমান আদালত ইত্যাদির মাধ্যমে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। যথারীতি পুলিশ বলে যে এরা বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। চারদল এতো বড় সমাবেশ করলো সিলেটে, এতোবড় গাড়ীবহর নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট গেলো রাস্তায় হাজারো সরকারি ভবন, অফিস পেলো সরকারী গাড়ি পেলো, পুলিশ পেলো কোথাও কিছু করলোনা। অথচ পল্টনে একটা মিছিল করলেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে ভাংচুর করার বায়বীয় বাহানায়। এমতাবস্তায় কিভাবে বলি বিএনপি জোট হত্যা, ভাংচুর ও বিশৃংখলার রাজনীতি করে?? রাজনীতির ভায়োলেন্স আমরা দেখছি এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার সাবেক মিত্র ইসলামিক দলগুলোর উপর ভিষন ভাবে ক্ষেপে আছে।

এবং এটাকে অনেকই ক্ষ্যাপা কুকুরের আচরনের সাথে তুলনা করছেন। ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাদের সাথে হাসিনার একটা চুক্তির কথা নিশ্চয় আপনারা ভুলে যাননি। সাবেক মিত্র এ শক্তির নেতারা যখন ফতোয়া নিষিদ্ধের বিরোদ্ধে রাস্তায় নামলেন তাদেরকে কিভাবে পেটানো হলো তা টিভি ও সংবাদপত্রে আপনারা দেখেছেন। আর জামায়াতের কথা কি বলবো হাসিনার সাথে নিজামী এমনকি মুসলিম বিদ্বেষী সুরঞ্জিত বাবুকেও বসে থাকতে দেখা গেছে। সে ছবি তো এক ইতিহাস।

আর বর্তমান রাস্ট্রপতি জিল্লুর সাহেবের সাথে নিজামীর উষ্ণ করমর্দনের ছবি থেকেই বুজা যায় সেসময় কি ভালোবাসা ছিলো রাজনীতিতে। কিন্তু সব কিছু পাল্টে গেছে হাসিনা ওয়াজেদ সরকারে আসার সাথে সাথে। এবং আমরা অবাক বিষ্ময়ে দেখলাম হাসিনা সরকারের পদলেহনকারী র‌্যাব ও পুলিশ কিভাবে একজন জাতীয় নেতার বাসায় ঢুকে তার ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা সহ অনেক নারী ও শিশুকে বেধরক লাঠি পেটা করছে। আর এসব পুলিশের মুখের ভাষা শুনে বাংলাদেশী হিসেবে লজ্জায় মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছি। সত্যকে সমর্থন দিন তাহলে আমার প্রশ্ন কে বেশী ভায়োলেন্ট, মহাজোট সরকার নাকি চারদলীয় বিরোধী জোট?? জনগনই বিচার করবে কে বা কারা বেশী শান্তি প্রিয় আর কে বা কারা বিশৃংখলা সৃষ্টি কারী।

আমি শুধু মানুষকে আহ্বান করবো সত্যকে সমর্থন করতে কারন সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার পতন অবশ্যম্ভাবী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.