কিছুদিন আগে কুয়েট এ ঘুরার দুর্ভাগ্য আমার হইছিল। আজ তার ই বহিঃপ্রকাশ পত্রিকাতে পেলাম.>>>>>>>>>>>>>>
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একের পর এক ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় ছাত্রী ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করায় বখাটেরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, খান জাহান আলী ছাত্রাবাসের কয়েকজন ছাত্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ও নানা বাহানায় ইভ টিজিং করে আসছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
উল্টো অভিযোগকারীদের হেনস্তা হতে হয়েছে। ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ১০ অক্টোবর রোকেয়া হলের কয়েকজন ছাত্রীকে অপমানিত ও মার খেতে হয়েছে কয়েকজন ছাত্রের হাতে।
পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গাছের গোড়ায় বসে থাকা কয়েকজন বখাটে অশ্লীল ভাষায় তাঁকে গালি দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। নগরায়ণ ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া চলার সময় গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি তার বাবার সঙ্গে দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন।
খান জাহান আলী হলের সামনে বাবার সম্মুখে তাঁকে এমনভাবে গালি দেওয়া হয়, তিনি সারা দিন আর তাঁর বাবার মুখের দিতে তাকাতে পারেননি। পরে বাবা তাকে ভর্তি না হওয়ার জন্য বলেছিলেন। একই বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ও গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মাতাল হয়ে হলের (রোকেয়া) সামনে এসে মেয়েদের নাম ও কক্ষ নম্বর ধরে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হয়। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জানালে তাঁরা বলেন, ‘তোমাদের ব্যক্তিগত বিষয় তোমরা দেখো। ’
পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হাসিব হোসেন বলেন, ১০ অক্টোবর পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের গুলজার তাকে মুঠোফোনে খান জাহান আলী হলের ৩০৯ নম্বরে আসতে বলেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি সেখানে গেলে গুলজার, জয়ন্ত, রাব্বি ও শাকিল তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক বন্ধু নেটে ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ হিসেবে কয়েকটি উক্তি লিখেছিলাম বলে এই শাস্তি দেওয়া হয়। ’
পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র দিদারুল আলম বলেন, ‘১০ অক্টোবর আমাকে গুলজার ভাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুঠোফোনে ডাকে। আমি গেলে বলে, নেটে ওসব লিখেছিস কেন। এর মধ্যে বসে থাকা এক বড় ভাই আমাকে ৩৫-৪০টি চড় মারে।
খবর পেয়ে কয়েকজন বন্ধু ছাড়ানোর জন্য সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের বের করে দিয়ে আমাকে আরও মারে। ’
গুলজার আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। এর আসলে কোনো ভিত্তি নেই। ’ জয়ন্ত সাহার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) শিখেন্দ্র শিখর সিকদার বলেন, ‘আমাকে এ রকম কোনো ঘটনা জানানো হয়নি। আজকে একটি দরখাস্ত পেয়েছি, যেখানে মেয়েরা ইভ টিজিংয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার অনুমতি চেয়েছে। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।