আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত মিথ্যাচার করবে ইকোনমিস্ট???

আমি একজন পাঠক আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত-শিবির চক্রকে রক্ষা করতে তাদের পক্ষে দিনের পর দিন সাফাই গেয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘দি ইকোনমিস্ট’। গতকাল শনিবার প্রথম আালোয় ইকোনমিস্টের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। আমরা সবাই জানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে জামায়াত-শিবির চক্র দেশে-বিদেশে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করেছে। বিদেশী মিডিয়ায় তাদের পক্ষে রিপোর্ট করতে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত করতে বিশাল অংকের অর্থ ছেড়েছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে- ইকোনমিস্ট কত হাজার ডলার পেয়েছে? ইকোনমিস্ট লিখেছে- অভিযুক্ত ব্যক্তিকদের বেশিরভাগই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- ইকোনমিস্ট-এর সংশ্লিষ্ট দালাল সাংবাদিকরা কি জানে না যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী এবং হত্যা, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রধান দলটি হচ্ছে মওদুদী দর্শনে বিশ্বাসী জামায়াতে ইসলামী। যদি এটি না জানে তাহলে তাদের তো আমাদের দেশ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন ধরণের সংবাদ পরিবেশন করা ঠিক নয়। ্ইকোনমিস্ট আরেকটি গুরুতর মিথ্যাচার করেছে তাদের প্রতিবেদনে। তারা বলেছে, এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে মত প্রকাশের ওপরও বিধিনিষেধ আছে। এটি যে খুবই হাস্যকর ও চরম মিথ্যাচার তার প্রমাণ হচ্ছে- প্রতি রাতের টিভি টক শো।

এদেশের প্রতিটি মানুষই দেখছে- বিচারের বিরোধীতা করে একদল লোক প্রতি রাতে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো গরম করে রেখেছে। কই, এদের কাউকে তো কোথায়ও বাধা দিতে দেখিনি। এছাড়া রাস্তায়, ফুটপাতে, গাড়িতে, চায়ের টেবিলে প্রকাশ্যে এই বিচার নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলছে। আলোচনা-সমালোচনা করছে। সেখানেও তো বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

তাহলে ইকনোমিস্ট কোথায় পেল এসব আজগুবি-বানোয়াট তথ্য? নাকি, ৪২ বছর পর এদেশের নতুন প্রজন্মসহ গোটা দেশবাসী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জেগে ওঠায় ইকোনমিস্ট সেটিকে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হচ্ছে- এমন গল্প বানাতে চাচ্ছে। শেষ কথা- আমাদের এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠা অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমাদের জন্মভূমিতে কোনদিনই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত-শিবির চক্রের ঠাঁই নেই। এদের বিচার একদিন না একদিন হবেই। আর জনতা যেহেতু জেগে উঠেছে তখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো এখন সময়ের ব্যাপার।

ইকোনমিস্ট, আল-জাজিরাসহ এই শ্রেণীর সংবাদমাধ্যমরা যতই মিথ্যাচার, করুক, যতই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিক না কেন, সত্যের জয় অবধারিত। জয় বাংলা...জয় জনতা... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।