আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারন্যশনাল রোমিং ও বাংলাদেশ

আমরা প্রায় সবাই কমবেশি ইন্টারন্যশনাল রোমিং সম্বন্ধে জানি। তবুও একটু বলে নিই- ধরুন আপনি মোবাইল ফোন হিসেবে ব্যবহার করছেন রবি'র নেটওয়ার্ক। আপনি এখন যাবেন ইন্ডিয়াতে। আপনি চাচ্ছেন আপনার নাম্বারটি আপনি ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন এবং যথারীতি আপনার পরিচিতজনকে ফোন করবেন কিংবা যারা আপনাকে কল করবে তারাও আপনাকে পাবে। এর নামই রোমিং, কেউ ইন্টারন্যশনালি রোমিং করলে তাকে বলা হয় ইন্টারন্যশনাল রোমিং আর ন্যশনালি করলে হচ্ছে ন্যশনাল রোমিং।

আমাদের দেশে এক সময় ন্যশনাল রোমিং ছিল এখন আর নেই, যা ইন্ডিয়াতে এখনো বিদ্যমান। বিশ্বব্যপী যেটি খুবি জনপ্রিয়-সেটি হল ইন্টারন্যশনাল রোমিং। যারা একটি মুহূর্তের জন্যেও নেটওয়ার্কের বাইরে যেতে চান না তাদের তো রোমিং লাগবেই। আমাদের দেশে রোমিং এখনো খুব জনপ্রিয় হয়নি কিংবা সাধারণ মানুষ চাইলেও সেটি ব্যবহার করতে পারছে নানা ঝামেলার জন্য। ঝামেলা বলছি এ কারণে যে- কেউ চাইলেই রোমিং ব্যবহার করতে পারবে না।

তার জন্য অত্যাবশ্যক যে জিনিসটি লাগবে সেটি হল-ইন্টারন্যশনাল ক্রেডিট কার্ড। তাই এখন পর্যন্ত এর ব্যবহার এবং পরিধি উচু স্তরের মানষের মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সরকার মনে হয় ইচ্ছে করলেই এর পরিধি আরো বাড়াতে পারে এবং বাড়ানো উচিত। যারা বিদেশ ভ্রমনে যান তারা সবাই চান যে পরিবারের মানুষ/অফিসের সাথে ন্যূনতম যোগাযোগটা থাকুক যদিও রোমিং খুবই ব্যয়বহুল একটি সেবা। তবুও এ সেবা খাতের পরিধি বাড়ানো উচিত - এতে সরকার, জনসাধারণ, ফোন কোম্পানী - সবাই-ই উপকৃত হবে।

পৃথিবীর এমন অনেক দেশ আছে যেখানে মোবাইল কোম্পানীগুলোর আয়ের অধিকাংশই আসে রোমিং সেবা থেকে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল দুবাই, ওমান প্রভৃতি দেশ। আগামী দিনগুলোয় কেউ-ই 'আকর্ষণীয় ও অতি প্রয়োজনীয়' এ সেবা থেকে বাদ পরবে না বলে আশা রাখছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।