ইদানিং সৌদি আরবে হত্যার শাস্তি স্বরুপ শিরোশ্চেদের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্লগে। এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল তথা মানাবাদিকার সংঘটনগুলো এই আইনকে বর্বরতা এবং অমানবিক বলে বলে সারা দুনিয়া কাপাইতেছে। একই সাথে মুখ মিলাচ্ছেন নাস্তিকরা অথবা স্বার্থান্বেসীরা। এরা আরও একধাপ এগিয়ে ইসলামকে জড়িয়ে নানা বিদ্রুপাত্মক কথা বার্তা বলতেছে। একটা একটা করে আমি এদের সমন্ধে কিছু বলব।
প্রথমে বলতে চাই এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল তথা মানাবাদিকার সংঘটনগুলো নিয়ে। এরা যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের উন্নয়নের জন্যে কথা বলতো তাইলে তারা ইসরাইল যেভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতেছে অথবা উন্নত বিশ্ব ইরাক এবং আফগানিস্তানে, ভারত কাস্মির এবং বাংলাদেশের সিমান্তে, আরও অনেক দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করতেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে খাওয়া-ঘুমানোর সময় পাইতো না। সব সময় মানাবাদিকার লংঘন বলায় ব্যস্ত থাকা উচিত ছিল। তা না করে যেখানে বিচার করে হত্যার শাস্তি দেয়া হয়েছে সেখানে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেছে। এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল যে শক্তি বা সময় গরীব দেশ অথবা ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে তার ছিটেফোঁটাও তো তাদের মনিব তথা আমেরিকা-ইসরাইল-ভারত ইত্যাদি দেশের বিরুদ্ধে করে না।
তাইলে যারা নিজেদের সুশীল বলে দাবী করে, তারা কেমনে এম্নেস্টি ইন্টারন্যশনাল এর রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে। তাদের এত প্রকাশ্যে মুনাফেকি করতে লজ্জা করে না। মুনাফিক হচ্ছে তারাই যারা দ্বিমুখি মনোভাব পোষণ করে।
আর নাস্তিকরাতো আরও একধাপ এগিয়ে বলতেছে যদি ইসলামি আইনে অপরাধিদের শাস্তি দিলে অপরাধ কমে যেত তাইলে ১৪০০ বছর ধরে অই আইনে সৌদি আরবে শাস্তি দিয়ে কেন অপরাধ বিলীন করা গেলো না। যদিও এই বাক্য তারা অনেক খারাপ ভাবে লিখেছে বিভিন্ন ব্লগে।
আমি বলতে চাই ইসলামি আইন প্রয়োগ করলে অপরাধ বিলীন হয়ে যাবে এই কথা কোত্থেকে পেয়েছে। বরং ইসলামি আইন প্রয়োগ করলে অপরাধ অনেক কমে যাবে এই রকম বলা হয়ে থাকে। যার প্রমান স্বয়ং সৌদি আরব আর অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশ অথবা আমেরিকার অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা বিশ্লেষন করলেই পেয়ে যাবেন। যেখানে সৌদি আরবে সম্পুর্নভাবে ইসলামি আইন প্রয়োগ নাই, যদি থাকত তাইলে তাদের অবস্তা এখনকার থেকে অনেক ভাল হতো, আর মুসলমানদের এত দুর্দশায় পড়তে হতো না। মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে কারো অপপ্রচার করতে হাজার বার চিন্তা করতে হতো।
এখন বলি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে। বিভিন্ন পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে আসামিদের উকিল নিয়োগ করতে দেয় নাই, বিচার হয়েছে আরবি ভাষায়। বিচারতো আরবি ভাষায় হবে। তারা নিশ্চয়ই বাঙ্গালীদের মতো আহাম্মক নয় যে, ব্রিটিশদের তৈরি করা নিয়ম মাফিক বিচার করে। ইংরেজিতে রায় দেয়, বিচারকরা শপত পড়ার সময় তাদের অনুসরন করে।
তবে এইটা ঠিক, উকিল নিয়োগ না করতে দেয়াটা সত্য হলে অবশ্যি এইটা সম্পুর্নরুপে ইসলাম সম্মত বিচার হবে না। কিন্তু এই দাবি আরেকটি পত্রিকা(মানবজমিন ,ক্ষমা করেনি নিহতের পরিবার, রবিবার, ০৯ অক্টোবর ২০১১) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।