মজা কিন্তু আসলেই মজা
ফটক:কানিজ আলমাস ও মতিউর রহমান
ঢাকা: একটি ছবি। হাস্যোজ্জ্বল দুটি মুখ। উচ্ছল হাসিই প্রমাণ করে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক। ঝলমলে মুখ, দু’জনের হাত ও হাতের ভাষা -- সব মিলিয়ে যেনো গভীর সম্পর্কের দুটি মানুষ। এ ছবিই প্রমাণ করে ছবির মানুষ দু’টি যে কেউই বিনা দ্বিধায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন একে অপরের বিপদে।
এ সম্পর্ক যেনো সকল নীতি-নৈতিকতার উর্ধ্বে।
এতো কথা যাদের নিয়ে তারা আর কেউ নন, দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বলে দাবি করা ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ স্লোগান খ্যাত প্রথমআলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান ও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিউটি পার্লার পারসোনার স্বত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খানের।
এদের বন্ধুত্বের যুথবদ্ধতায় সম্প্রতি হুমকির মুখে পড়েছে দেশের পার্লারশিল্প। কানিজ আলমাসের পারসোনায় ঘটে যাওয়া ‘সিসি ক্যামেরায়’ লুকিয়ে নারীর ছবি তোলার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশের মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
আদালতে উঠেছে রিট পিটিশন। আদালত দেশের সকল পার্লার থেকে ক্যামেরা অপসারণের নির্দেশও দিয়েছেন।
কিন্তু কানিজের বন্ধু মতিউর বন্ধু কানিজকে বাঁচাতে শুরু থেকেই তৎপর। নিজের সম্পাদিত দৈনিকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কানিজকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন।
সূত্র জানিয়েছে নিজের হাউজে প্রকাশ্য সমালোচনা না হলেও এ নিয়ে কানাঘুষা কম হচ্ছে না।
বন্ধুর প্রতিষ্ঠান ও তার ঘৃণ্যকর্মের সমালোচনা সামলাতে মতিউর রহমান দায়িত্ব দিলেন একজন প্রতিবেদককে। তিনি ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা`র চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হলো না। সচেতন সংবাদ পাঠকেরা ওই প্রতিবেদনের নিচে যেসব মন্তব্য করেছেন, অন্তত যে মন্তব্যগুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে এডিটরের বিবেচনায় সেগুলোও পত্রিকাটিকে সোজা কথায় একহাত নিয়ে ছেড়েছে। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না।
বন্ধুর সুরক্ষা ছাড়াও এখানে পারসোনার একটি বৃহৎ বিজ্ঞাপন, যার মূল্য কয়েক লাখ টাকা, খুব কাজ করেছে বলেই মনে করেন অনেকে।
কিন্তু পারসোনার বনানী শাখায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে স্পা করতে আসা একজন নারীগ্রাহকের কাপড় পাল্টানোর দৃশ্য ধারণের ঘটনা ফাঁস ও তা নিয়ে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ানোর পর অন্য কিছু মিডিয়া বিষয়টিতে শুরু থেকেই সোচ্চার থাকায় শেষ রক্ষা হয়তো এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি কানিজ আলমাস খান।
বিশেষ করে সোমবার হাইকোর্ট এ নিয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি ও দেশের সব বিউটি পার্লার থেকে সিটিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর অনেকেই তা মনে করছেন।
তবে এই দিনও পারসোনার বনানী কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা, যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত, পুলিশের তদন্তাধীন এবং যার ওপর হাইকোর্টের নির্দেশনা হয়েছে, এড়িয়ে গিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে প্রথম আলো।
‘পারসোনার ঘটনায়’ উল্লেখ করে রিপোর্টটি পরিবেশনায় তার পাঠককে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশের সব মিডিয়া, ব্লগ, ফেসবুকে যখন সমালোচনার ঝড় তখন প্রথমআলো তথা মতিউর রহমানের এ ধরণের রহস্যজনক অন্ধ সমর্থন প্রতিষ্ঠান দুটি এবং তার কর্তাদের বিশেষ সম্পর্কের গুঞ্জনের আগুনে আরো হাওয়া দিচ্ছে।
দেশের প্রথম সারির মানবাধিকার নেত্রী ও আইনজীবী এলিনা খান পারসোনাসহ বিউটি পার্লারগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে যে পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সে বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়নি প্রথম আলো।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।