বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
[এক]
সুমন্ত আসলাম তার প্রিয় মতি ভাইকে বই উত্সর্গ করেছেন । তবুও একদিন-নামের সেই উপন্যাসের উত্সর্গপত্র সুমন্ত লেখছেন এইভাবে-
"কোন একটা কথা বলার ফাঁকে তিনি একদিন বলেছিলেন, সুমন্ত তোমার দুটি সেরা বই দিওতো আমাকে, আমি একটু পড়ে দেখবো । কথাটা তিনি হেসে হেসে বলেছিলেন । মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমি । যদিও তার অনেক কিছুতেই মুগ্ধ হই আমি ।
বেশ দ্বিধা আর শঙ্কা নিয়ে দুটোর বদলে তাকে আমি বই দিলাম ছয়টি । সেই দিনের পরদিনই । তারপর এই বিষয়ে আর কোন কথা হয়নি আমাদের।
প্রিয় মতি ভাই, প্রিয় মতিউর রহমান, দেশের একজন সেরা সম্পাদক হয়ে আপনি দুটো বই পড়ে দেখতে চেয়েছিলেন । সে বই আপনি পড়ুন অথবা না পড়ুন, আপনি পড়তে চেয়েছেন এই আনন্দে আমি বিমোহিত হয়ে ছিলাম অনেকদিন !
আপনি ভাল থাকুন ।
যতটুকু ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকি । "
******************
মতি ভাই এখন ভাল আছেন । কিন্তু সুমন্ত কতোটা ভাল আছেন, এ-মুহূর্তে খুব জানতে ইচ্ছে করে ।
[দুই]
ইনকিলাব ওয়ালারা একবার আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের প্যারোডি ছাপল । হৈ-চৈ পড়ে গেল চারদিকে ।
মামলা হলো । ইনকিলাব সম্পাদক গ্রেপ্তার হলো । জামিনে মুক্তিও পেল রাতারাতি !
ইনকিলাবের যে ফান ট্যাবলয়েড (অধুনালপ্ত) উপহারে সে প্যারোডি ছাপা হয়েছিল, সেই উপহারের বিভাগীয় সম্পাদক (হাসান মোস্তাফিজুর রহমান)-এর কিন্তু চাকরী গেল না । তাকে পদচ্যুত করা হলো না । যদিও মালিকের ধমক খেতে গিয়ে- "বারো হাজার টাকা হলে আপনার মত এরকম সম্পাদক অনেক পাওয়া যায়"-এরকম কথা তাকে শুনতে হয়েছিল ।
প্রথম আলোর আলপিনে বিতর্কিত কার্টুন ছাপল । হৈ চৈ পড়ে গেল । কার্টুনিষ্ট গ্রেফতার হলো । আলপিনের বিভাগীয় সম্পাদক সুমন্ত আসলামের চাকরী গেল ! কিন্তু সম্পাদক মতি ভাইয়ের কিছুই হলোনা ।
যে কার্টুন ছাপানোর দোষে সুমন্ত আসলাম দোষী, একই দোষে সম্পাদক মতিউর রহমান দোষী নয় কেন ?
সুমন্তকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করার আগে,সুমন্তের প্রিয় মতি ভাই একই দোষে নিজে পদত্যাগের ঘেষণা দিলেই কি সত্যিকার সততার পরিচয় দিতেন না ?
'প্রথম আলো' নিয়ে যে পত্রিকার আবির্ভাব, সে পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান কি ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদকের চেয়েও অথর্ব ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।