আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদার পাশে বসতে ২০ লাখ টাকা

বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লিচু মিয়া আবারও আলোচনায়! জীবিতাবস্থায় সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করে তিনি দেশব্যাপী আলোচিত হন। আর এবার ধনকুবের লিচু মিয়া খালেদা জিয়ার কোটি টাকার রোডমার্চ তহবিলে একাই ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন, ম্যাডামের পাশের আসনে বসার জন্য। আর এ নিয়ে তিনি ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এলাকায় ও রাজিনৈতিক অঙ্গনে তিনি দো-দিল বান্দা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির এক নেতা বাংলানিউজকে জানান, সিলেটে আগামীকাল আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠেয় জনসভায় খালেদা জিয়ার পাশের আসনে বসে বোদ্ধা রাজনীতিকের মতো চমক দেখাবেন।

সিলেট অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ ও জনসভা সফলের লক্ষ্যে বিশাল অংকের টাকা খরচ হচ্ছে। এ ব্যাপারে খরচ হওয়া পুরো টাকা সিলেটের নেতৃবৃন্দ বহন করছেন। একাধিক সূত্র মতে, প্রায় কোটি টাকা বাজেটের এ তহবিল সংগ্রহ করতে স্থানীয় নেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। আর এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নিজেই বিএনপির ওপর অভিমান করে বসা সাবেক এমপি ড. মকবুল হোসেনকে ফোন করেন। এ সময় ড. মকবুল হোসেন খালেদাকে জানিয়ে দেন, জনসভা মঞ্চে তাকে পাশে বসার চেয়ার দেওয়া হলে তিনি ২০ লাখ টাকা অনুদান দেবেন।

এতে খালেদা জিয়া সায় দিলে ড. মকবুল হোসেন রোডমার্চ তহবিলে ২০ লাখ টাকা দেন। এ ব্যাপারে ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ইলিয়াস আলীকে আমার বাসায় পাঠিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন। এমনকি ইলিয়াস আলীকে ম্যাডাম বলেছেন তাঁর চেয়ারের পাশে আমার জন্য চেয়ার রাখতে। ’ তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতি করি আর এ কারণে রোডমার্চ তহবিলে আমার অংশগ্রহণ থাকা উচিত। ’ তবে তহবিলে কত টাকা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

ড. সৈয়দ মকবুল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও সংসদ নির্বাচনের মুহূর্তে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দু’বার এমপি নির্বাচিত হন। আবার দু’বার বিএনপির টিকিটে নির্বাচন করে পরাজিত হন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে বিএনপির টিকেট না নিয়ে ড. মকবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর থেকেই বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তিনি অনেক দূরে ছিলেন। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।