সম্ভাব্য সকল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই .......... "ব্লু-ফিল্ম" শব্দটি এখন বাংলাদেশের কোন দৈনিক কিংবা সাপ্তাহিকে ছাপানো নিষিদ্ধ শব্দ নয়। এটি এখন বাংলাদেশের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া সকল ছাত্র/ছাত্রীর পাঠ্যবইতে স্থান করে নিয়েছে ! কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই: "ব্লু-ফিল্ম" শব্দটির সাথে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া সকল ছাত্র/ছাত্রীর পরিচয় করিয়ে দেয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল কি? ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যবইয়ের ৮৬ পৃষ্ঠায় বলা আছে..... "পর্নোগ্রাফি, ব্লু-ফিল্ম ও বিভিন্ন অশ্লীল প্রকাশনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে" আচ্ছা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি ছেলে কিংবা মেয়ের বয়স কত হতে পারে? ১৩ কিংবা ১৪ ঐ ১৩ কিংবা ১৪ বছরের কিশোর কিশোরীটি কিভাবে বাংলাদেশে "ব্লু-ফিল্ম" বন্ধ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে? অনাবশ্যক ঐ লাইনটি জুড়ে দেয়ার মানে কি? সুনির্দিষ্টভাবে "ব্লু-ফিল্ম/পর্নোগ্রাফি" শব্দটির মাধ্যমে একটি বিশেষ ধারার চলচ্চিত্রের প্রতি ইঙ্গিত করার পরিবর্তে "কুরুচিপূর্ণ চলচিত্র" শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যাবহার করা যাইত। আগে যেখানে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে হয়ত শতকরা ১ ভাগ শিক্ষার্থী দুষ্টচক্রের পাল্লায় পরে ব্লু-ফিল্মের ধরণা পেত এখন সেটি আপনার আমার চোখের সামনে দিয়ে শতকরা ১০০ ভাগে পরিণত হয়ে শিক্ষার্থীর পড়ার টেবিলে পৌঁছে যাবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।