আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ

আমি চাষার ছেলে, আমার গা দিয়ে কয় মাটির গন্ধ.... সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ ঢাকা, অক্টোবর ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- এক মিশরীয়কে হত্যার সাজা হিসেবে সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ হয়েছে। রিয়াদে শুক্রবার প্রকাশ্যেই তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয় বলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তারা হলেন- মামুন আবদুল মেনন, ফারুক জামাল, সুমন মিয়া, মোহাম্মদ সুমন, শফিক আল-ইসলাম, মাসুদ শামসুল হক, আবু হুসেইন আহমেদ এবং মতিয়ার আর রহমান। এরা সবাই শ্রমিক। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি গুদামে ডাকাতি এবং ওই গুদামের মিশরীয় নিরাপত্তাকর্মী হুসেইন সাইদ মোহাম্মেদ আবদুল খালেককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলো।

একই ঘটনায় আরো তিন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কট্টর ইসলামী দেশ সৌদি আরবে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সাধারণত প্রকাশ্যেই কার্যকর হয়। তবে আট জনের একসঙ্গে শিরশ্ছেদ ঘটনা অস্বাভাবিক বলে মনে করছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার উপ-পরিচালক হাসিবা হাজ শারাউই বলেন, "সৌদি আরবের বিচার প্রক্রিয়া মোটেও আন্তর্জাতিক মানের নয়। যেখানে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি ধারা তৈরি হচ্ছে, সেখানে সৌদি কর্তৃপক্ষ শিরশ্চেদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

" অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, আট বাংলাদেশিসহ এ বছর এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ জনই বিদেশি। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বেশিরভাগ বিদেশিই সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের বেশির ভাগের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। তারা আরবিতে আদালতের কার্যক্রমও বুঝতে পারে না।

তাদের বিরুদ্ধে আইনি কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও তাদের জানানো হয় না। খুব কম সময়ই তারা আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পান। সৌদি আরবের দুই কোটি ৭০ লাখ জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশই বিদেশি, বিশেষ করে এশিয়ার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.