সম্পতি বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর প্রকাশ্যে টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে বিচারাধীন মামলাসহ অন্যান্য বিষয়ে মন্তব্য করেছন।
অনেকেই হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু আমি এতে দোষের কিছু দেখছিনা। কেননা আওমীলীগ যেভাবে বিচার প্রশাসন বগলদাবা করে দেশ চালাচ্ছেন তাতে এটা প্রতিয়মান হয় যে তারাই এখন দেশের প্রধান প্রশাসক। হাচিনার যাবতীয় কুকর্মকে তারাই বৈধ্যতা দিয়েছেন।
কল্পিত মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের জেলে পুরেছেন।
খুনি ধর্ষকদের তারাই মুক্তি দিচ্ছেন , জামিন দিচ্ছেন। এমনকি বিচারকদের রাষ্ট্রপ্রধানের ঘুস দিতে হচ্ছে!!!!!!!!!
সেই বিচারকরা যদি টকশোতে অংশগ্রহন করে জাতিকে ওয়াজ নছিয়ত করে তাতে সুশীল সমাজের গা চুলকাচ্ছে কেন?
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী লন্ডনে টিভি টকশোতে বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে তিনি জিয়াউর রহমানের নামই শোনেননি??
প্রশ্ন হলো—বিচারপতি শামসুদ্দিন একজন সেক্টর কমান্ডারের নামই শোনেননি, অথচ তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে দাবি করছেন কোন যুক্তিতে?
যে বিচারক এতবড় মিথ্যাচার করতে পারে তাকে বিচারক না বলে ...........বলা উচিৎ।
আচরণবিধির তৃতীয় অনুচ্ছেদের ১নং উপ-অনুচ্ছেদে বলা বয়েছে, ‘আইনের মাধ্যমে বিচারকরা পেশাদারিত্ব ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবেন। ’ একই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ৩-এ বলা হয়েছে, ‘মামলার বাদী, আইনজীবী এবং অন্যান্য ব্যক্তি, যাদের সঙ্গে বিচারক দাফতরিক দায়িত্ব পালনজনিত সম্পর্ক বজায় রাখছেন, তাদের প্রতি ধৈর্যশীল, মর্যাদাপূর্ণ, সশ্রদ্ধ এবং ভদ্র আচরণ করবেন।
’ ব্যারিস্টার রফিক উল হক আরও বলেন, আচরণবিধির ৬ নং অনুচ্ছেদের ১নং উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একজন বিচারক কোনো অবস্থাতেই প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়াবেন না এবং রাজনৈতিক বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মতামত ব্যক্ত করবেন না কিংবা বিচারাধীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করবেন না। ’ ১৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একজন বিচারক দেশে কিংবা বিদেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন না। ’ তিনি বলেন, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর
এখন কথা হল এইসব দলবাজ ফাউল রোকরা যদি সাঈদি বা সাকাদের বিচার করে তাতে সঠিক বিচার পাওয়া অদ্য কি সম্ভব?
মোটেওনা। সরকার যে কতটা নিলর্জ্জ ভাবে বিচার প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন তার উদাহরন হতে পারে এটা। আমার মনে হচ্ছে হাসিনাকে এই বিচারকরা ব্লাকমেইলও করতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।