আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্ণেল তাহের হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় ইতিহাসের দায় মোচন! কর্ণেল আবু তাহের এর মৃত্যুদন্ড হত্যাকান্ড। এমন অভিমতে তাহের হত্যা মামলার পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আমি একজন ছাএ কর্ণেল আবু তাহের এর মৃত্যুদন্ড হত্যাকান্ড। এমন অভিমতে তাহের হত্যা মামলার পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ২০১১ সালের ২২ মার্চ এ রায় ঘোষণা করে। ২০শে মে ২০১৩ তারিখে পূর্নাঙ্গ রায়ের কাগজে স্বাক্ষর করেন দুই বিচারপতি। ১৯৮ পৃষ্টার রায়ের অভিমতে আদালত বলেন, কর্ণেল তাহেরের মৃত্যুদন্ড হত্যাকান্ড।

কারণ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্ণেল তাহেরকে মৃত্যুদন্ড প্রদানে মনস্থির করেন। রায়ে আদালত তাহেরের মৃত্যুদন্ড ঠান্ডা মাথায় খুন বলে চিহ্নিত করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে বলা হয় যেহেতু জেনারেল জিয়া জীবিত নেই, আইন অনুযায়ী তার বিচার সম্ভব নয়। এরপরও সরকারের উচিত হবে এই হত্যার জন্য দায়ী কেউ জীবিত থাকলে, তাকে খুজে বের করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা। কর্ণেল তাহের এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১০ বছর কারাদন্ড।

অথচ আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে এবং আপিল করার কোন সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে। তার সহযোদ্ধা মেজর জলিল, আ স ম আব্দুর রব, হাসানুল হক ইনু (বর্তমানে তথ্যমন্ত্রী), মাহমুদুর রহমান মান্না, মেজর জিয়াউদ্দীন, ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ, কর্পোরাল শামসুল হক ও আব্দুল মজিদসহ অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়। ১৯৭৫ সালে জাসদ ছিল বিরোধী দল। মূলত প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রয়াসে জেনারেল জিয়া এই হীন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছিলেন। কর্ণেল তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার পরিবারের সদস্যও অন্যদের রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২২ মার্চ আদালত রায় ঘোষনা করে।

রায়ে তাহেরের গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষনা করে হাইকোর্ট । আদালত অভিমতে বলেন, ঐ বিচার প্রথম থেকে অবৈধ আর পুরো বিষয়টি ছিল একটি বিয়োগান্তক নাটক ও বানানো বিচার। বিচার কার্যে জড়িত ও সহযোগী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল আলী এখনো জীবিত আছেন। উপরের নির্দেশে ও প্রয়োজনের তাগিদে ফৌজদারী বিচারের ক্ষেত্রে এমন যুক্তি খাটেনা আব্দুল আলীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা করার কথা বলেন আদালত। আন্তর্জাতিক আইন এবং রোমান আইনের ভাষ্য অনুযায়ী এই হত্যকান্ডের পূনঃ পূনঃ বিচারের মাধ্যমে ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটন হয়েছে।

কর্ণেল তাহের বীর উত্তম দেশ প্রেমিক হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। দেশবাসীর কাছে এই শান্তনা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.