আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এগারসিন্দুর দূর্গ ( ঈশা খাঁ দূর্গ ) ফটোব্লগ ।

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা । কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর গ্রামে ঈশা খাঁর এই দূর্গের অবস্থান ।

কিশোরগঞ্জে ঈশাখার আরো দূর্গ রয়েছে যা এখনো আমার দেখা হয়নি । দূর্গ দেখতে গিয়ে কি পরিমাণ হতাশ হয়েছি তা আমার ফটো ব্লগ দেখলেই বুজতে পারবেন । ঈশা খাঁ দূর্গ লিখা সাইনবোর্ডটা পরে এবং দেখানো তীর চিহ্নের দিকে যাওয়ার কোন রাস্তাই খুজে পাচ্ছিলাম না, শেষ পর্যন্ত স্থানীয় মানুষকে জিজ্ঞেস করে বেশ কিছুটা ঘুর পথে সেখানে গিয়ে হাসবো না কাঁদবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । এই মাটির টিলাটাই নাকি ঈশা খাঁ দূর্গ, জনশ্রুতি আছে, বেবুধ নামে এক কোচ উপজাতীয় প্রধান দূর্গটি নির্মাণ করেছিলেন । তাঁর কাছ থেকে ঈশা খাঁ দূর্গটি দখল করে নেন এবং একে সংস্কার করে তাঁর শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করেন ।

১৮৯৭ সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুর্ফটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । এইটা কোন কবরের উপরিভাগ না অন্য কিছু জানা হয়নি । শেষ পর্যন্ত আমরা হাসার সিদ্ধান্তই নিলাম, একটু হাসলাম ও, প্রচন্ড খারাপ রাস্তাঘাট পার হয়ে এমন দুর্গ দেখা !!! তবে মনকে এই বলে শান্তনা দিলাম যে, একটা ইতিহাস জানা ও দেখা হলো, আর মনে কষ্ট পেলাম এই জন্য যে আমাদের দেশে অনেক ইতিহাস বা ঐতিহাসিক স্থান বা স্থাপনা এইভাবেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । দূর্গের উপর দাড়িয়ে আছি আমরা । ফেরার পথেঃ মাছ ধরা ।

কি মাছ ধরা পড়ল না দেখলে কি হয় ? আরো দু'টি গ্রামীন ছবি  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।