আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারসোনা কেলেংকারী, নতুন আপডেটঃ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। সকল নিরাপত্তা কর্মকর্তার ও কর্মচারীর নাম ও ছবি প্রকাশের আহবান।

মানুষ ৩ রকম, ১। আগুনে পুড়ে যায়, ২। আগুনে গলে যায়, ৩। আগুনে ঋদ্ধ হয় আপডেট- ৬ গতকাল আমি ফেইসবুকে Kaniz Almas Fan Club এ একজনের কমেন্ট থেকে একটা তথ্য পাই। Mithun Sarkar নামক এই ফেইসবুক ইউজার জানান যে কানিজ আলমাসের জনৈক ভাগ্নে পারসোনার সার্বিক তত্ত্বাবধয়ানে আছেন।

ভাগ্নে আর্মি থেকে বহিঃস্কৃত মেজর এবং মির্জাপুর ক্যাডেট থেকে পাশ করা এই ভাগ্নের চারিত্রিক দোষের কথা তার কলিগ, কোর্স মেইট, জুনিয়ার কারও অজানা নয়। Mithun Sarkar আরও জানান যে তাকে সার্বিক তত্ত্বাবধয়ানে রাখা আর শিয়ালের কাছে মুর্গী বর্গা দেয়া সমান। নিচে কমেন্টটির স্ন্যাপশট- পারসোনা খুব বড় একটা প্রতিষ্ঠান। এত বড় প্রতিষ্ঠানে ব্যাবসার নিরাপত্তার জন্য একজন শক্ত দক্ষ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা থাকে। যার অধীনে এবং তত্ত্বাবধায়নে টাকা পয়সা ব্যাংকে অথবা ভল্টে যায়।

প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরীদের (সিকিউরিটি গার্ড) নিয়োগ এবং দেখে শুনে রাখার দায়িত্বও সেই কর্মকর্তার। যাবতীয় সিসিক্যামেরা, মেটাল ডিটেকটার জাতীয় অত্যাধুনিক মেশিন নিয়ন্ত্রন, স্থাপন এবং ক্রয় করাও তার দায়িত্ব, এমনকি অমুক যন্ত্র দরকার এটাও সে সিদ্ধান্ত নেয়। টপ ম্যানেজমেট শুধু দামটা তাদের বাজেটে কুলাবে কি না সেটা দেখে। এই সব দায়িত্বের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে যদি কোন আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে হয় সেটার রক্ষনাবেক্ষন গুলির হিসাব রাখা সব তার দায়িত্ব। বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠান এমন কাজের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার অথবা প্যারামিলিটারি অথবা সমমানের ট্রেনিং সম্পন্ন কোন ব্যাক্তিকে নিয়োগ করে।

সম্ভবত কানিজ আলমাসের সেই মেজর ভাগ্নে (তার নাম তমাল এমনটা শুনেছি কোন অথেন্টিক সোর্স না কাজেই আমি নামটা শিওর করছি না) যার বিরুদ্ধে কিনা চারিত্রিক সমস্যার অভিযোগ আছে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকরতার পদে আছে। ঘটনা যদি তাই তবে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মেয়েদের চেঞ্জরুমের ছবি তোলা পারসোনার অনেক পুরাতন ঘটনা। নাহলে সিসি ক্যামেরা কোন যুক্তিতে চেঞ্জরুমের দিকে তাক করা থাকে এবং সিসি ক্যামেরা কেন লাইটের মত কাভার দিয়ে ঢাকা থাকে? পারসোনা যদি নির্দোষ হয়ে তবে তাদের সকল নিরাপত্তা কর্মকর্তার নামসহ ছবি প্রকাশ করা হোক। একজনও যেন বাদ না পরে। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ক্লায়েন্ট হতে পারে।

তাই বলে আমাদেরকে চক্রান্তে ফেলে তিনি বোনপো কে মাষ্টারবেটিং এর সরঞ্জাম সরবরাহ করার অধিকার পেতে পারেন না। আপডেট-৫ প্রথমআলো'র ইন্টারনেট ভার্সনের সংবাদের নিচে পাঠকদের মন্তব্য করার কথা। স্বভাবতই মানুষ তাদের মন্তব্য সেখানে লিখছে। কিন্তু প্রথমআলো'র বিরুদ্ধে মন্তব্য এডিট করে অর্থ বিকৃত করার অভিযোগ আসছে। এ অভিযোগটি ব্লগার মো: শাহরিয়ার কবির ( এর ব্লগ থেকে পাওয়া।

আজ প্রথম আলোর পারসোনার খবরে পেজে ভয়াবহ মন্তব্য এডিট চলছে .. এই ছবিটা দেখলেও মন্তব্য মুছে দেবার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় আপডেট-৪ অবশেষে প্রথম আলো'র ঘুম ভেঙ্গেছে। আগে নিউজটা সরাসরি পড়ে আসুন- পারসোনার সিসি টিভিতে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি সংবাদ পড়ে আমার প্রতিক্রিয়াগুলো এমন- ১। পুলিশ কিছু পায় নি তবে কেন গুলশান থানার এসআই মাসুদ রায়হান ওরফে মেহেদী মাসুদকে আলামত নষ্টের অভিযোগে ক্লোজড করা হল? তার মানে আলামত কিছু ছিল যা নষ্ট করা হয়েছে এবং এখন আর নাই। ২। ব্যাপারটা যদি এতই সহজ হয় তবে ইলেক্ট্রিশিয়নের ভুলে ক্যামেরা সরে গেছে এটা আগে বলল কেন? তখন কেন বলতে পারল না সেখানে তো স্পাই নাই স্পা রুম কোথা থেকে আসে? ৩।

ফেসিয়াল করার সময় ঘাড় ও গলা (বুক পর্যন্ত) ম্যাসাজ করা হয়, সেজন্য কাপড় একটা এমন মাত্রা পর্যন্ত খোলা লাগে যেরকম খোলামেলা অবস্থায় মেয়েরা বাইরে বের হয় না। কাজেই স্পা সম্পূর্ন হোক কি শুধু ফেসিয়াল খুব বড় কোন যুক্তি না। পোষাক পরিবর্তনের রুমে সিসিক্যামেরা আছে, কেন সেটা সরানো হবে না সেটাই বড় কথা। এবার প্রথম আলোর ভূমিকা নিয়ে কিছু কথা বলি এটা পারসোনা নিয়ে প্রথম আলোরপ্রথম নিউজ। এর আগে প্রথমআলো এটা নিয়ে কোন নিউজ করে নি।

স্বভাবতই যে পাঠক শুধুমাত্র প্রথমআলো পড়েন তার প্রশ্ন জাগতে পারে কি ক্যামেরা কিসের ক্যামেরা? তাদের আজকের নিউজের শিরোণাম অনুযায়ী বুঝা যায় যে, এটা নিয়ে তারা আগে একবার নিউজ করেছে এখন সেটার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আসলে তা নয়। শুরুতে প্রথমআলো মোটেও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। যেহেতু তারা প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি, সেহেতু ধরে নিতে হবে তারা ভোক্তাদের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয়। প্রথমআলো'র এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ করা একমাত্র নিউজটি পারসোনার দায়মুক্তি সংক্রান্ত। এতে এই সিদ্ধান্তে আসতে হয় পারসোনার স্বার্থ রক্ষাটাই তাদের কাছে মূখ্য।

আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারি সিসিক্যামেরার এরকম হাজারটি ঘটনাও পারসোনার মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে মেরে ফেলতে পারবে না। তাহলে, ১। প্রথমআলো কেন মানুষের প্রাইভেসি নিয়ে সোচ্চার হলো না? প্রথম আলো কেন উক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো না? ২। কেন প্রথম আলো সার্বিকভাবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে সোচ্চার হলো না? ৩। কেন প্রথম আলো পারসোনার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য চাপ দিয়ে সংবাদ প্রচার করলো না? শুধু তাকে রক্ষা করতেই অগ্রণী ভূমিকায়ই কেন আমরা প্রথমআলোকে পেলাম? ৪।

প্রথম আলো পারত প্রশাসনে এ ধরনের বিষয়গুলো দেখার জন্য স্পেশাল উইং'কে এ বিষয়টি নজরে আনতে কিন্তু প্রথমআলো তাদের হাত গুটিয়ে বসে রইলো যতক্ষন পর্যন্ত না পারসোনার দায়মুক্তি দেয়া যায় এমন কোন সংবাদ তৈরি করার মত অবস্থা সৃষ্টি করা যায়। প্রথমআলো কি মনে করে না তারা একটা গনমাধ্যমের খুব কেন্দ্রে অবস্থিত, তাদের এই অবস্থান জনগনই তৈরি করেছে কাজেই জনগনের স্বার্থ রক্ষা করা তাদের অবশ্য কর্তব্যে মাঝে পরে? নাকি পারসোনা এবং রুবাইয়্যাতের মত সর্বাধিক পঠিত দাবীকারী প্রথমআলোও তার পাঠকদের "সিলি জনগণ" জ্ঞান করে? আপডেট-৩ ১। পারসোনার এ ধরনের কার্যকলাপ তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৬৭ ধারা এবং ৫৭ ধারার অপরাধ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, উক্ত ধারায় এ ধরনের অপরাধে ১০ বছর করাদন্ড ও ১ কোটি টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। পারসোনার নামে এই মর্মে লিগ্যাল নোটিশ গিয়েছে। ২।

গতকালের এটিএন'এর সংবাদ থেকে দেখা যায় যে পারসোনার ক্যামেরা গুলি এমন ভাবে রাখা যে হঠাৎ করে সেটাকে লাইটের কভার মনে হয়। প্রতিবেদক সেই পারসোনাল রুমটা দেখান যেখানে অভিযোগকারী মহিলা ছিল স্পষ্টভাবে বুঝে যায় সেটা ছোট্ট একটা চেঞ্জরুম। প্রতিবেদক দর্শকের কাছে প্রশ্ন রাখেন যে এখানে ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা কি? আপডেট ২ ১। অবশেষে পারসোনার ব্যাপারটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বাংলা নিউজের বরাতে জানা গেল কানিজ আলমাসকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে কানিজ আলমাসকে লিগ্যাল নোটিশ ২।

গুলশান থানার এসআই মাসুদ রায়হানকে আলামত নষ্টের অভিযোগে ক্লোজড করা হয়েছে পারসোনা কেলেঙ্কারি: এসআই ক্লোজড, তদন্ত কমিটি আপডেট মেনস্ট্রিম মিডিয়ায় একদম খবর হয় নি তাও না। অনেক সংবাদপ্ত্রই খবরটা ছেপেছে আমি খবরের লিঙ্ক যোগ করে দিলাম- ১। পারসোনায় গোপন ক্যামেরা আতঙ্কে নারী গ্রাহকরা (সমকাল) ২। বনানীতে বিউটি পার্লার থেকে গোপন সিসি ক্যামেরা উদ্ধার (সমকাল) ৩। গোপন ক্যামেরা জব্দআতঙ্কে পারসোনার সেবাগ্রহীতারা (কালের কন্ঠ) ৪।

সিসি ক্যামেরা জব্দ পারসোনার বিরুদ্ধে আপত্তিকর অভিযোগ (অপরাধ কণ্ঠ) ৫। পারসোনা বিউটি পার্লার থেকে গোপন ক্যামেরা জব্দ (ইত্তেফাক) একুশে টিভি ও এটিএন'এ নিউজ কভার দেয়া হয়েছে, কারও কাছে সেটার কপি থাকলে দয়া করে ইউটউবে আপলোড করে দিন। মূল লেখা পারসোনা সংবাদ মাধ্যমের মুখ কিভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তা আজ কারও অজানা না। আমরা তা নোংরা এবং নগ্নভাবে দেখেছি। আমি জানতাম এই সংবাদ কখনওই মেইন্সট্রিম মিডিয়াতে আসবে না।

আমাকে যখন প্রথমে শামীম ফোন করে আমি আমার কিছু সাংবাদিক বন্ধুর কাছে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। তখনও তারা জানে না যে সংবাদ মাধ্যমের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু উদ্বেগ প্রকাশ করে যে এমনটি হতে পারে। সেই সময় আমার মনে হল আমি কেন পারসোনার সাথে যোগাযোগ করি না? সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমি পারসোনার ফেইসবুক দেয়ালে লেখা শুরু করি। দেখতে পাই সেখানে অনেককেই তাদের ক্ষোভ এবং ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। অল্প কিছুক্ষন পরে সেই ওয়াল পোষ্টগুলো পারসোনা কর্তৃপক্ষ মুছে তাদের ফেইসবুক পেইজটা ডিলিট করে রাখে।

প্রায় ২৪ ঘন্টা পর যখন তারা তাদের পেইজ আবার খুলে তখন আবার তাদের পেইজের দেয়ালটা বন্ধ করে রাখে যাতে কেউ তাদের জবাবদিহি না করতে পারে সাথে সাথে তারা আমার মত যারা একদম শুরুতে প্রতিবাদ করেছিল তাদের গ্রুপে ব্লক করে রাখে এতে আমরা কিছুতেই আমাদের বক্তব্য সেখানে দিতে পারি না। (পরেও যারা যুক্তি দিয়ে পারসোনার স্ট্যাটাসে প্রশ্ন করছে তাদের ব্লক করে দিচ্ছে। আপনি এই লেখার শেষের কমেন্টগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন সেখানে পরিস্থিতি কিরকম) অতঃপর সেখানে পারসোনার তরফ থেকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট করা হয়। বিশুদ্ধ ইংরেজী ভাষায় লেখা সেই স্ট্যাটাসে বলে হয় যে "তাদের ক্যামেরা কাস্টোমারদের রিকোয়েষ্টে রাখা হয়েছে। সেগুলো সিসিটিভি যেগুলো কাষ্টমারদের জিনিশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য রাখা হয়েছে" প্রশ্ন আসতেই থাকে অনেক কাস্টোমার তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে যায় কিন্তু পারসোনা তখন উলটা হুমকি দেয়া শুরু করে যে তারা এমন বাজে কথা মেনে নিবে না, পারসোনা দাবি করে প্রত্যেকের ভাষা মার্জিত হতে হবে।

যারা মার্জিত ভাষায় কথা বলছে না পারসোনা তাদের কথা গোনায় ধরবে না। ব্লগার আলিম আল রাজিকে ইনবক্সে ম্যাসেজ করে বলা হয় সে যেন তার কমেন্ট ডিলিট করে নেয়। যথারীতি এমন অনেকের কমেন্ট মুছে দেয়া হয় যা তাদের বিপক্ষে যায়। আমি আমার পূর্ববর্তী পোষ্টে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম যার সাথে আরও কিছু প্রশ্ন জাগে প্রশ্ন ১। কোটি টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা না লাগিয়ে লাখ টাকার লকার করা যেত না? সেটা আরও সেফ হত না? প্রশ্ন ২।

আমি যতদূর জানি আন্তর্জাতিক নিয়ম হচ্ছে কোথাও সিসিটিভি উপস্থিত থাকলে সেটা আবার নোটিফাই করা জন্য দেয়ালে দেয়ালে নোটিশ লেখা থাকে যে "সিসি ক্যামেরার আওতাভূক্ত এলাকা" হঠাৎ করে কাপড় চেঞ্জ করার পর কেন একজন মহিলা আবিস্কার করবেন সে সিসি টিভির আওতায় আছেন? লেখাটা পড়ার পর ব্লগার রেজওয়ানা একটা যুক্তি দিলেন যে, কানিজ আলমাসের বিবৃতি দেখলাম ' ইলেকট্রিশিয়ানের ভুলের কারণে নাকি সিসিটিভি ওদিকে ঘুরে গেছে', কাজেই, প্রশ্ন ৩। মানলাম তার কথা ঠিক। কিন্তু অপারেটর তো সর্বক্ষন সিসিটিভির সামনে থাকে, সে যখন দেখলো ঐটার মুখ ঘুরে গেছে তখন কেন সেটা ঠিক করলো না! চতুর্থ কথাটা আসলে প্রশ্ন না একটা বক্তব্য। আমার আমার জানা মতে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর আলোকে আমরা সরকারকেও তার কৃতকর্মের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন করতে পারি। সরকার সে প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য থাকবে।

সেখানে পারসোনার সাথে আমাদের আরেকটা আইনের সম্পর্ক আছে। আমরা "ভোক্তা অধিকার আইন" দিয়ে তাদের কৃতকর্মের ব্যাখ্যা চেয়ে প্রশ্নই করতে পারি এবং সেই জবাব পছন্দ না হলে আমরা সেটার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যাবস্থাও নিতে পারি। এমনকি তাদের ভোক্তা না হয়েই। কারন সে আইনে বলা আছে ভোক্তা এবং সম্ভাব্য ভোক্তার (buyer and potential buyer) অধিকার সংরক্ষন করা হবে এবং জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। অথচ পারসনা বার বার বলছে তারা শুধু তাদের ভ্যালুয়েবল কাস্টোমারদেরই তা দিবে যখন বলা হচ্ছে যে ভ্যালুয়েবল কাষ্টোমার কারা, তখন তারা বলছে তারা ভ্যালুয়েবেল কাস্টোমারের লিষ্ট প্রকাশ করতে রাজি না।

পারসোনা স্পষ্টভাবে এমন ভাব করছে যে কোথা থেকে এইসব ক্ষ্যত খুত উঠে আসছে। পারসোনা আমাদের ভাষা নিয়ে কটুক্তি করছে, আমাদের ভাষা ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন চলছে। স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে তারা আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য না কারন আমরা সিলি ব্লগার তাদের ভ্যালুয়েবল কাষ্টোমার না। ঠিক যেমন ব্যবহার করেছিল আমাদের মেহেরজানের পরিচালক রুবাইয়্যাত আপা একই ব্যাবহার পারসোনা আমাদের সাথে করছে। আমি খুব দৃঢ়ভাবে বলতে চাই বাংলা আমাদের ভাষা আমরা আমাদের কথা আমাদের মত করে প্রকাশ করব।

চোস্ত ইংরেজীতে বলা হয় নাই এই যুক্তিতে পারসোনা আমাদের হেয় করতে পারে না। যদি করে থাকে তাহলে এতে তাদের দূর্বলতা প্রকাশ পায় যে আসল বিষয় ধামাচাপা দেবার জন্য এই সব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এখন আরেকটা মজার আপডেট দেই- সবাই যখন ওয়ালে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে তখন কিছু মানুষ তাদের পারসোনার প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করছে। স্বভাবতই আমার কিছুটা খটকা লাগে আর আমি কিছু পিছনে গিয়ে দেখি আসুন আপনাদের ২টা ছবির মাধ্যমে ঘটনা ব্যাখ্যা করি- গিয়ে বুঝলাম উনি খুবই মূল্যবান একটা মানুষ যিনি কিনা ভিকারুননিসার ছাত্রী ছিলেন এবং ঢাকা মেডিকেলে পড়ছেন। উনার ফেন্ড মাত্র ৫টা।

আরও মজার কথা হচ্ছে ১২ বছর ভিকারুননিসায় পড়া মেয়ে ভিকারুননিসা বানান জানে না। এবার একটা ভিডিও দেখুন- সাথে সাথে বিকল্প মিডিয়ার লেখাটাও পড়ুন। বিকল্প মিডিয়া খুব দক্ষতার সাথে শুরু থেকে পুরা ব্যাপারটার ফলোআপ করছে। শুধু এই ইস্যুতে না অন্য সব ইস্যুতেই ফেইসবুক ভিত্তিক এই গ্রুপটি সঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং ফলোআপের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে নিজেদের একটা গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করেছে ফলোআপ : পারসোনা কর্তৃপক্ষের নতুন অবস্থান, গুলশান থানার এসআই সাসপেন্ড! সংযুক্তিঃ পারসোনার ফেইসবুক পেইজ সকল মজা এখানেই দ্রষ্টব্য- পারসোনার কাছে আমার কিছু জিজ্ঞাসা **এই লেখাটায় আপনার সুস্থ মতামত কামনা করছি। কারও আমার কথা বা পারসোনার কথায় দ্বিমত থাকলে যুক্তি দিয়ে তা প্রকাশ করুন পাঠককে অনুরোধ করছি ফেইসবুকে এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান।

ব্লগের লেখা এবং সংবাদ মাধ্যমের খবরের লিঙ্কগুলো শেয়ার করুন এবং সবাইকে সচেতন করুন। ***কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার সবাক, ব্লগার একরামুল হক শামীম ব্লগার আলীম আল রাজি, ব্লগার রাগিব এবং সেই সকল ব্লগারকে যারা বিভিন্না লেখার লিঙ্ক দিয়ে, প্রশ্ন করে এবং যুক্তি দেখিয়ে লেখাটিকে এই পর্যায়ে সমৃদ্ধ করেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.