I am She Lilith, Mistress of the dark. Of Sheba, First offender ......And succor to demons, Whose sweet seductions and wicked rites Lead all too enslaved by the flesh. To trespass against God's holy law, And tonight I come for you.. গতকালকে এই ঘটনা ঘটার পর থেকে ফেসবুক এবং ব্লগপাড়ায় এই খবরটা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আমি জানতাম, মেইনস্ট্রীম টিভি মিডিয়া কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ায় এইসব খবর তেমন ফলাও করে আসবে না। কারন প্রথম আলোর নকশার সাথে সেই মক্ষীরাণী কানিজ আলমাসের দারুন সম্পর্ক। আর সেই মক্ষীরাণী অন্যান্য চ্যানেলে যে পরিমান টক শো এবং বিউটি টিপস সম্পর্কিত অনুষ্ঠান করেন তাতে কেউ নিজের পায়ে সহজে কুড়াল মারতে সম্মত হবে না, কারন এইটাই তাদের পলিসি, এইখানেই তাদের নেটওয়ার্ক
সেই তুলনায় অবাক হলাম, কারন দুই টাকার পত্রিকায় কিংবা বাংলানিউজের মতোন অনলাইন মিডিয়াতে এইসব খবর ঠিকই এসেছে,জানি না, আমাদের প্রধান প্রধান পত্রিকায় এইসব খবর এসেছে কিনা। চোখ বন্ধ করে বলতে পারি আসবে না।
এর আগে অরুন চৌধূরীর খবরটি নিয়েও সেইম দৃশ্য দেখেছিলাম। এইখানেও আমি একটা গভীর চক্রান্ত কিংবা কানেকশানের তীব্র গন্ধ পাচ্ছি।
এইবার আসি পারসোনার কালকের ঘটনায়। দেখুন ব্লগ কিংবা কিছ অনলাইন পত্রিকায় যা পড়েছি, তাতে পুরা ঘটনায় আমি বেশ কিছু অসামন্জ্ঞস্যতা দেখতে পাই।
প্রথমত, চেঞ্জরুমে বা স্পা রুমে যেইটাই হোক, সেখানে সিসি ক্যামেরা কি করে? কারন এইটা কোনো মীনা বাজার না যে এইখানে মানুষজন প্রোডাক্ট চুরি করতে পারে।
নর্মালি এইসব জায়গায় এন্ট্রান্সে ক্যামেরা রাখলেই চলে। আর কানিজ আলমাসের ভাষ্যমতে ,সামান্য ঘুরে কিংবা ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলে একদম চেঞ্জরুম বা স্পারুমের ভিতর ঢুকে গেল কিভাবে? এইখানে শুধু কানিজ আলমাসের অদক্ষতাই নয় বরং দুরভিসন্ধিও আঁচ করতে পারি। কারন যদি সিসি ক্যামেরা ভুলক্রমে স্পা রুম কিংবা চেন্জ রুমেও যায়, সেটাতো সর্বক্ষন তদারক করার কথা। কারন সিসিটিভি বসানোই হয় কোথায় কি হচ্ছে তা সবসময় অবসার্ভ করার জন্য। তাহলে সেই ঘটনা কেন আগে বের হলো না,কেনো একজন কাস্টোমারের মাধ্যমে সেটা চাউর হলো।
তার মানে ডেফিনেটলি পারসোনার লোকজন সেই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষরুপে জড়িত। তাই নয় কি?
আর আমার ব্লগার ভাইদের কিছু মন্তব্যে আমি কিছুটা কষ্ট পেয়েছি। তারা বলছেন এইসব স্পা কিংবা পার্লারে যাওয়ার কি দরকার। দেখুন যারা যায় তারা তো যায়ই। যেকোনো বিয়ের সাজ কিন্তু এখন পার্লার থেকেই করানো হয়।
আর পার্লার শুধুমাত্র সাজুগুজুর জন্য না, বরং নিজের ত্বক কিংবা শরীরের প্রতি যত্ন নেয়ার জন্যও। আর যারা ব্যস্ত মানুষ তারা বাসায় সবসময় এই কাজটা করতে পারেন না, তাই তারা পার্লারে যান। পার্লারে যাওয়াটা কেন দোষের ভিত্তিতে বিচার করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
আমিও পার্লারে যাই, সেটা স্পা করাতে না হলেও অন্তত চুল কাটাতে যাই। স্কিন পরিচর্যার কথা নাহয় আপাতত বাদই দিলাম।
যাই হোক আবার আসি, পারসোনার ব্যাপারে। যা হবার তা হয়েই গেছে। এখন শুনেছি পুলিশ সেই ভিডিও চেক করবে এবং দেখবে সেখানে আপত্তোকর কিছু পাওয়া যায় কিনা? আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে নিজের এবং পারসোনার ভবিষ্যত বাঁচাতে কানিজ আলমাস পুলিশকে ভালো এমাউন্টের টাকা খাও্য়াবে যাতে করে তারা বলেন সেখানে আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায় নি। আর আমাদের পুলিশভাইদের যা ফুলের মতো চরিত্র তাতে একথা অন্তত নিশ্চিত করে বলাই যায়।
এখন কি করণীয়? অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিতে হবে।
এই ঘটনার পর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কি হবে জানি না, কারন অনেকেই মনে হয় সাবধান হয়ে তাদের গোপন ক্যামেরাটি সরিয়ে ফেলেছে। আর আমাদেরও সাবধান হতে হবে। ব্লগ কিংবা নেটে এইধরনের অনেক লেখা রয়েছে তাই আপাতত জাস্ট একটা লিংক শেয়ার দিচ্ছি----
Click This Link
কানিজ আলমাসের কি হবে,কিংবা পারসোনার ব্যাবসায় কি হবে সেই ভবিষ্যতবাণি্তে যাচ্ছি না। আর মিডিয়ায় এইখবর তেমন আসবে না, তাই আমারদের ভার্চুয়ালি এইটাকে স্প্রেড করাতে হবে,আমি তো ঠিক করেছি এই বিষয়ে যদি সুরাহা না হয়, আমি আর কখনোই পারসোনাতে যাবো না এবং আমার বন্ধু কিংবা কলিগদেরও না যেতে বলবো। আপনারাও তাই করুন।
ব্লগার অগ্নিলার ভাষায় তারা যদি অবিলম্বে দোষ স্বীকার করে এই ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন না করে এবং ইতিমধ্যে যেসব আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে তা সংগ্রহ করে মুছে ফেলার উদ্যোগ না নেয় এবং সেই সাথে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে আমাদের নারীদের মাঝে এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন না করে করে তাহলে আমরাও এই দেশের মাটিতে পারসোনার ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালাবো।
অ.ট : আমি ব্লগে খুবই অনিয়মিত, কিন্তু কালকের এই ঘটনা শুনার পর থেকে শরীরটা জ্বলছে তাই অনেকদিন পর হলেও একটা লেখা দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।