আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেআব্রু “পারসোনা” চোখে পড়েনা সরকারের; গ্রেফতার হন প্রতিবাদী আসিফ

যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়। ব্লগাররা, অনলাইন একটিভিস্টরা ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন? কেননা তারা কথা বলেন যুক্তির সাথে। কেননা তারা রাজপথে নামতে দ্বিধা করেন না অনিবার্য যৌক্তিক দাবীতে? গণমাধ্যম যখন মালিকানা, সেন্সরশিপ আর নিউজপ্রিন্টের বরাদ্দ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। তখন ঠিক কথাটা উচিৎ কথাটা বলে উঠছেন ব্লগাররাই।

তারাই কিবোর্ড ছেড়ে রাজপথে নেমে পড়তে পারেন দেশ বাঁচানোর দাবীতে। অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে। সেটা রাজপথে কিংবা গণমাধ্যমে সবখানেই। এখানে দলের রাজনীতির কলুশের প্রবেশ নেই। আছে প্রতিবাদী জ্বলজ্বলে মেধা।

৭৩’এর বিশেষ ক্ষমতা আইন কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ কোনকিছু দিয়েই মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশকে ঠেকিয়ে রাখা যায়না। এই বাংলার ইতিহাসই তার উজ্জ্বল সাক্ষ্য। একজন ব্লগারের পেছনে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যারা যুক্তি বোঝেন যারা সহজাত ভালো মন্দ বোঝেন। প্রযুক্তি সুব্যবহার আর অপব্যবহারও বোঝেন।

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে অগোচরে মানুষের “আব্রু” নিয়ে ছিনিমিনি যে খেলা যায় না, তা এদেশের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিবাদ দেখলেই বোঝা যায়। প্রযুক্তিকে ভয়ে পেয়ে নয় বরং এর সুষ্ঠু ব্যবহারেই রয়েছে প্রকৃত দ্বায়িত্ববোধ আর স্বাধীনতা। ব্লগাররা তো গোপন ক্যামেরায় ছবি তুলতে যাননি। তারা সমেবেত হয়েছেন দরিদ্র রাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষার পথকে প্রসারিত করতে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সহজ করে তুলতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সংস্কৃতি ই তৈরি করা দরকার। যেখানে পরিমল নয় জন্ম নেবে সচেতন নেটিজেন। কতজন আসিফকে জেরা করবেন সরকার, কিংবা হেনস্থা। জোর করে কি বন্ধ করা যাবে তথ্যের অবাধ যাতায়তকে। অগণিত কন্ঠকে! সেন্সরের প্রয়োজন দ্বায়িত্বশীল মত প্রকাশে, সেটাকে বন্ধ করতে নয়।

তথ্য প্রযুক্তির ভবিষ্যত তৈরি করতে হলে, প্রতিবাদের ভাষাকে আরো উন্মুক্ত করতে হবে। সরকারের বারবার শুধরে নেবার এটাই সুযোগ। কন্ঠরোধ হলে, বাক স্বাধীনতার জোয়ার দ্বিগুন হবে। বেআব্রু “পারসোনা” আর নিপিড়ক “পরিমলদের” শাস্তি চাই। আর মুক্তি চাই বাক স্বাধীনতার।

আসিফ মুক্তি পাক, মুক্তি পাক দ্বায়িত্বশীল বাক স্বাধীনতা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।