গেরিলা কথাবার্তা
বিডিনিউজে প্রকাশিত, পুরো লেখাটি এখানে।
-----------------------------------------------------------
ভারতীয় উপমহাদেশে একটা ‘দেশ’-এর ধারণা আছে, যার ভাবচরিত্র হলো নারী, মা। এই ‘দেশ’ রাষ্ট্র নয়– যে রাষ্ট্র নাগরিক চুক্তি ও সম্মতির ভাব ধরে মূলত নিপীড়ণের মূলনীতির উপর গড়ে ওঠে। নিপীড়ণ এবং বলপ্রয়োগ। নারী-পুরুষ-নাগরিক নির্বিশেষে সবার উপর প্রতাপি পুরুষ যে।
মূলত এই ‘দেশ’ হল মা। সেই নারী, যে তার বুকের ফসল দিয়ে সন্তানদের তিল তিল করে তৈরি করে, বাঁচায়। প্রতিপালন করে। রক্ষা করে। আশ্রয় দেয়।
আলো দেয়। ব্রিটিশ শাসনের শেষদিকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের শ্লোগান ছিল ‘বন্দে মাতরম’। মানে, মা-এর বন্দেগী করি। মা-এর জয়গান গাই, এসো। এমন কি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গৃহীত জাতীয় সংগীতের শেষ দিকে যে মায়ের কথা উচ্চারণ করেছেন রবীন্দ্রনাথ, তাও এই ‘দেশ’, রাষ্ট্র নয়–‘মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়নজলে ভাসি।
’
উর্ধ্বকমাভূক্ত এই দুটি লাইনেরই যদিও ভিন্ন রাজনৈতিক তাৎপর্য ও আলোচনা বিদ্যমান। তবুও এই আলোচনার জন্য দেশরূপ নারীর ধারণা অবদমিত হয় না। বরং দেশ ও নারীর শত্রুমিত্র ভেদ-জ্ঞান, রাষ্ট্র ও দেশ-এর অভেদমুহূর্ত, তার ভাষা ও বিভঙ্গসমূহ বোঝার জরুরত অনুভূত হয়।
তাহলে রাষ্ট্র এসে যখন দাঁড়ালো ‘দেশ’-এর সামনে, নারীর ভূখণ্ড বা শরীরের উপর, সে ও তার সন্তানদের শাসক হয়ে, তখন এই রাষ্ট্র ও নারী মুখোমুখি দাঁড়াবে, এই স্বাভাবিক। কারণ রাষ্ট্র নিপীড়ক, আর নিপীড়ণের বিরুদ্ধে নিপীড়িত মুখ তুলে দাঁড়াবে, সাহস ঘোষণা করবে।
এখানে দেশ, নারী, সন্তান সমার্থক। বিপরীতে রাষ্ট্র নিপীড়ণের নানা উপায়ের উদ্ভাবক; ইভটিজার, ধর্ষক, খুনি হিসেবে এগিয়ে আসে। রাষ্ট্র দেশরূপ নারী ও তার সন্তানদের উপর নিয়ত নিয়ন্ত্রণ, নিপীড়ণ ও ফেমিসাইড ঘটায়। তাই রাষ্ট্র, তার সহযোগী ও স্বীকৃত সব প্রতিষ্ঠান, যেমন সরকার, মিডিয়া, আইএসপিআর, পুলিশ এইসব প্রপঞ্চ বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রে নারীর প্রতি নিপীড়ণের জায়গা থেকে আমাদের পাঠ্য হতে পারে। ..
-----------------------------------
পুরো লেখাটির লিঙ্ক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।