বেচেঁ থাকার স্বাদ নিচ্ছি...
আমরা যারা একটু আকটু কবিতা পড়ি মোটামুটি রুমি কে কম বেশি চিনে থাকি। রুমি সম্পর্কে নতুনদের তার জীবনের একটু খানি বলতে ইচ্ছে করছে । রুমি প্রথমদিকে একজন যাদরেল মাওলানা ছিলেন । ইসলামি চিন্তাবিদ । জন্ম আফগানস্থানে ।
তার জীবনের বড় ধরনের পরিবর্তন আসে তার যখন সামশেদ তাবরেজ এর সাথে পরিচয় হয় । সামশেদ তাবরেজ একজন দরবেশ ছিলেন । একজন ইংরেজ রাইটার তাকে ড্যন্সিং দরবেশ বলতেন, কারন সে পাগলের মতো রাস্তায় নেমে নেচে নেচে আল্লাহর জিকির করতো । অতি মুনশিরা তাকে পাগল আর উন্মদ মনে করে ব্যাবহার করতো । এরকম একজচন পাগলের প্রতি রুমি কিভাবে আকৃষ্ট হয় সেটা ভেবে পায় না মানুষ।
আস্তে আস্তে রুমি নিজেও পরিবর্তন হওয়া শুরু করে দিল । সব কিছু ছেরে ছুরে দিয়ে সে কবিতা লেখা আরম্ব করল । রুমির পীর তাবরেজ ছারা সো কোন কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারেনা । তখন সবাই বলা শুরু করল রুমি পাগল হয়ে গেছে । মুলত তাবরেজের সাথে পরিচয় হবার পরই তার আধ্যত্বিক তথা সুফি জীবনের শুরু হয় ।
এভাবেই আরো একজন দরবেশ এর আবির্ভাব হওয়া শুরু করে । রুমিকে নিয়ে একটা বড় সরো পোস্ট দেয়ার সামনে ইচ্ছে আছে ।
................................................................................
(রুমির এই কবিতাটি খুব ভালে লাগে আমার । তাই ভালো লাগা শেয়ার করলাম ।
প্রেমিক প্রেমিকার শ্পর্ষ কতো পরিচিত ও কোমল
কিন্তু সে শ্পর্ষের প্রচন্ড শক্তি
যে অবয়বের জন্ম দেয়, তার মাঝে
লীন হয় অন্যান্য সকল আকার।
মনে রেখো এই যে অভয়াশ্রম
তার প্রবেশ দ্বার তোমার ভিতরেই ।
সূর্যলোকে ধুলির নৃত্য দেখে
আমরা অনুরুপ উজ্জল হতে চাই ।
কি সুর ধুলিকণা শুনে নাচে
কেউ তা জানেনা ।
নৃত্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকের মাঝে
আছে একজন গোপন সূর সঙ্গী।
ছন্দের অদ্ভুত খেলা, পথের যে গতি
আমারা তা একাই জানি ও শুনতে পাই ।
মাহমুদের মতো শামসও রাজাধিরাজ,
কিন্তু আমার মতো মুক্তা বিচূর্নকারী
দরবেশ আয়াজ আর কেউ নেই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।