যৌন হয়রানির দুবাইতে যৌন হয়রানির শিকার বাংলাদেশের সেই যুবতীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দুবাইয়ের একটি আদালত। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। এতে আরও বলা হয়, আমিরাতের এম. এম (৭৭) নামের নিয়োগকারীর গোপনাঙ্গ বাংলাদেশের জে. এন নামের ওই যুবতী ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলেন। এ ঘটনায় আদালত পর্যন্ত মামলা গড়ায়। সেখানে এক শুনানিতে ওই যুবতী গৃহপরিচারিকা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি জানান, তাকে নিয়োগ দেয়ার পর এম. এম নামের ওই মালিক তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। তাকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তাকে মুখমেহনে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। এতে নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য এক পর্যায়ে ব্লেড দিয়ে তার গৃহকর্তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন। এতে তিনি যৌন জীবনে শতকরা ৪০ ভাগ অক্ষম হয়ে পড়েন।

তিনি বলেছেন, এম. এম নামের ওই গৃহকর্তা তাকে তার বেডরুমে মাঝেমধ্যেই আটকে রাখতো। তারপর তাকে যৌন হয়রানি করতো, না হয় মুখমেহনে বাধ্য করতো। তাই সম্মান বাঁচাতে আমি ওই কাজ করেছি। এছাড়া, আমার সম্মান বাঁচানোর আর কোন পথ ছিল না। আদালতে কেন কাঁদছেন- বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এম. এম যেহেতু আমার পিতার বয়সী।

আমি কল্পনাও করতে পারিনি তিনি কেন এমনটা করেছেন। তখন আমি দুবাইতে নতুন। আমি কাউকে চিনতাম না। আমি শুধু আমার মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি। ।