ভালবাসি ক্রিকেট খেলতে বর্তমান সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইহা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। আবার ইহা এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যার দরুণ অনেকে সর্বশান্ত। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা আজ তাদের জীবনের লক্ষে পৌছতে পারছে না। অনেক ছেলেরা তাদের প্রেমিকাকে মোবাইল টাকা পাঠাইতে গিয়ে বাবা-মায়ের অর্থ বিনষ্ট করছে।
লেখাপড়া না করে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সময়ে অসময়ে ওরা ঝগড়া-বিবাদ করে কেউ কেউ নেশা করে বেড়াচ্ছে। এভাবে কত ছেলে-মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেদিন পাশের বাসায় বেড়াতে গেছি। কয়েক জন বসে আলাপ করছি, একজন বলে উঠল মোবাইল ফোন ছেলে-মেয়েদেরকে নষ্ট করে ফেলল, বললাম কিভাবে ? তাদের আত্নীয় নাহিদ ভাইজানের ছেলে শহিদ এস.এস.সি-তে এ প্লাস পেয়ে পাশ করে ঢাকায় নাম করা এক কলেজে পড়া-শোনা করে।
ফুটফুটে সুন্দর ছেলে। ছেলে মেয়ে উভয়ে ঐ কলেজে পড়ে। একই কাসের মেয়ে ঝিনুকের সাথে পরিচয়। এরই মধ্যে তাদের ঘনিষ্টতা আরও বেড়ে গেছে। একজন আরেক জনকে ছাড়া থাকতেই পারে না।
একদিন দেখা না হলে মন ছট ফট করে, কারো ভালো লাগে না। মন দেওয়া নেওয়া শেষ। দিনে দেখা হয়, কথা হয় কিন্তু রাতে কেউ সারারাত ঘুমায় না। রাত ১২ টা পর্যন্ত লেখা-পড়া করে বাড়ীর সবাইকে সন্তুষ্ট রাখে। সবাই ভাবে এবার ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে।
বাবা-মা মস্তবড় বড় লোক। তাদের আসার শেষ নেই। ছেলেকে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বড় ডিগ্রীধারী করে আনবে। রাত ১২ টার পরে শুরু হয় উভয়ের মোবাইলে প্রেমের আলাপ। কথা বলতে বলতে কখন যে রাত ভোর হয়ে যায় তা কেউ টেরই পায় না।
এভাবে তাদের জীবনের আশা-আকাঙ্খা ধুলোয় মিশে যায়। পররীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সবাই আশায় বুক বেঁধে চেয়ে আছে এবার রেজাল্ট ভালো হবেই। চুড়ান্ত ফলাফল পেল, সোনার ছেলে কয়লা হয়ে গেল। বাবা-মা বুঝতে পারে নাই কি জন্য এমন হলো।
কলেজে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেল কাসে উপস্থিতি কম। ঝিনুকের অবস্থাও তাই। শেষে দু’জনের মেলামেশা একে অপরের ভালোবাসার টানে কোথায় ছুঁটে চলেছে তা কেউ জানে না। একদিন দু’জনে হাত ধরে আপন ঘর ছেড়ে দূরে কোথাও ছুটেছে অজানার উদ্দেশ্যে। দুটি জীবনের পরিনতি কি হবে তা তারা আদৌ জানে না।
এভাবেই কত ছেলে মেয়ের কাঙ্খিত জীবন কেড়ে নিচ্ছে আমাদের এই মোবাইল ফোনটা।
লেখক
মোঃ আজহারুল ইসলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।