ফেসবুক পেজের কথকথা কিছুদিন আগে ফেসবুকে আমার প্রিয় ৩২টা থাপ্পড় দিয়া ১টা দাঁত ফালাইয়া দিমু পেজে দেখলাম ‘some where in…blog’ এ ‘আসকওয়ানমি’ নামে এক ব্লগার ফেসবুক পেজগুলোর নাম দিয়েছেন (পাবেন এখানে); কতগুলো পেজ আছে গোনা সম্ভব হয়নি- MS Word এ কপি/পেস্ট করলে হয় ৩৬ পৃষ্ঠা!
এখন আসি, ফেসবুক পেজ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতার কথায়।
মূলত ফেসবুক পেজ সম্বন্ধে কোন ধারণাই ছিলনা। একজন ফেসবুক ফ্রেন্ডকে দেখতাম শুধু পেজ লাইক করতে। পেজগুলোর নাম আকর্ষণীয় কিংবা অশালীন; কখনওবা একটা dialogue-ই পেজের নাম ধারণ করে। মনে হল, এরা যা শোনে, তাই দিয়ে পেজ খুলে বসে।
বিভিন্ন পেজ দেখা শুরু করলাম। দেখলাম, নাম ভিন্ন হলেও ভিতরে বিষয়বস্তু (অশালীনতাসহ) প্রায় একই। ঠিক এই কাহিনীর মতোঃ
এক রম্য লেখকের ডাক পরল হার্টের রুগী এক ভদ্রলোককে হাসানোর জন্য; কারণ ভদ্রলোক নাকি অনেকদিন হাসেন না।
লেখক ভদ্রলোক যে গল্পটা বললেনঃ
"এক রুগীকে ডাক্তার বললেন- সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা আপনার জন্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
দু'মাস পরে রুগী আবার এল ডাক্তারের কাছে।
ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, এইবার আপনি সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করতে পারবেন।
রুগী বলল, বাঁচালেন ডাক্তার সাহেব; পাইপ বেয়ে উঠানামা যে কি কষ্ট, এই ২ মাসে বুঝতে পারলাম। "
এই গল্প শুনে ভদ্রলোকের সে কি হাসি। লেখক তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছে, এমন সময় ভদ্রলোক হাসি থামিয়ে বললেন, এই গল্পটা কম করে হলেও ১৫ জনের কাছে শুনেছি। আপনি রম্যলেখক হয়ে একই গল্প বললেন, তাই হাসি আটকে রাখতে পারলাম না।
হাহা
(উন্মাদ পত্রিকার জন্য হুমায়ূন আহমেদের লেখা; কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত)
ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে দেখবেন একই কৌতুক! আপনাকে হাসিয়েই ছাড়বে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।