আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুঃখিত বন্ধুরা , আমি আর প্রতারিত হচ্ছি না

বিনা যুদ্ধে নাহি দিব ছাড়,সূচাগ্র মেদিনীর অধিকার.... । (৭ দিনের ফেসবুক ব্লক খেয়ে আছি , তাই ব্লগের লেখা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারছি না । www.facebook.com/duurzodhon) দৃশ্যপটে পরিবর্তন নেই । সেই ৫ই ফেব্রুয়ারীর আঁতাতের রায়ের পর আজ আবারও ১৫ জুলাইয়ের আঁতাতের রায় । সবচেয়ে ভয়ংকর খুনী কাদের মোল্লা যখন পার পেয়ে যায় , গোলাম আজমের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ।

যাবজ্জীবন অথবা ৯০ বছরের কারাদন্ড । আগেও আমি কট্টর আওয়ামী পন্থী আর দলকানা ছুপা আওয়ামীদের দেখেছি রায়ের আগের দিন কাচ্চি খাওয়ার ডাকাডাকি , ভার্চুয়াল মুক্তিযুদ্ধে শরিক হবার জন্য গলাবাজিতে । আজও কট্টর আওয়ামী পন্থী লেখকদের আমি দেখবো হাহাকার করতে ‘’আওয়ামী লীগ বহুত বুড়া হায় , পরের ভোট আর আওয়ামী লীগকে দেব না । “ এবং আমি এটাও জানি , প্রহসনের এই রায়ের দুইদিনের মাঝেই আমরা তাদের দেখবো গলাবাজি করতে – “আওয়ামী লীগ ছাড়া কে ট্রাইবুনালে গঠন করেছে ? কে বিচার করতে পারে ? সুতরাং লীগই শেষ ভরসা .....আপীল চাপীল বাল ছাল ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা .....ম্যা ম্যা ম্যা ..... “ এবং যে কে সেই লবডংকা । তারাই বলবে কে ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা আর কে ভার্চিউয়াল রাজাকার ।

কিন্তু ‘বয়সের বিবেচনায়’ গোলাম আজমকে ৯০ বছরের কারাদন্ড প্রদানকারী আওয়ামী লীগ সরকার এরপরও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র পক্ষশক্তি । সারা বাংলাদেশে যখন কোটাপ্রথার অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন তুঙ্গে , অন্যদিকে শাহবাগের গনজাগরনের সেজে বসা ‘ন্যাতারা’ যখন ‘শাহবাগের দালাল’ নামেই তাদের পরিচিতি নিয়ে নিয়েছে ..... দেশের লক্ষ তরুনের সাথে প্রতারনা করে সরকারের নুনু চোষার কাজ চালিয়ে গেছে পরম নিষ্ঠার সাথে , টাকা পয়সা নিয়ে অনিয়ম আর তরুনদের আবেগের একটি সেরা আন্দোলনকে যখন পরিনত করেছে নিজের বাপের সম্পত্তিতে । বাপের সম্পত্তিতে পরিনত করে তারা বাধা দিয়েছিলো রুমী স্কোয়াড কে , ফকিন্নির পুত বলে সম্বোধন করেছে বিসিএসে কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সাধারন ছাত্রদের বিরুদ্ধে । বাংলাদেশে রাজাকারদের বিচার চাওয়ার একমাত্র ‘আইনী’ ‘অধিকার’ তাদেরই আছে , তারা যখন খুশি সেটা চাইবে এবং তখন তাদের সাথে গলা মেলাতে হবে- যখন খুশী রাজাকারদের বিচারের দাবীতে একত্র হওয়া তরুনদের তারা বাসায় ফেরত পাঠাবে এবং সেই অধিকারও তাদেরই আছে । আল্টিমেটামের নামে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ‘সাহিত্যপত্র’ লিখে তেল ভেজে মচমচ করার অধিকারও তাদেরই আছে ।

তারাই আন্দোলনের বাপ এবং মা । শাহবাগের আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই ৮ তারিখেই । তার পর যা হয়েছে , তা ছিল সরকারী পয়সায় সরকারী দালালদের মাধ্যমে তরুন আর জনগনকে ভুল বোঝানো , অসৎ পথে চালিত করা । কে বলতে পারবে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীর কি হলো ? সেই আপীলের কি হলো ? কে বলতে পারবে , বাচ্চু রাজাকার কে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কি করেছে? অন্যদিকে তারেক রহমানকে ফেরানোর জন্য সরকারের ইন্টারপোল সম্পর্কিত হুমকি আমরা জানি । এই হলো তথাকথিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ’ বলে গলা ফাটানো সরকার , যারা বিভিন্ন উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে খায় ।

ঘৃনিত গোলাম আজমের রায়ও এর বাইরে নয় । মহান মুক্তিযুদ্ধকে বেচে খাওয়া সরকারের কাছে এই রায় দেখে আমি আশ্চর্য নই । আমি আগেও ধারনা করেছিলাম , শাহবাগে জমায়েত হওয়া বিসিএস নিয়ে ক্ষুব্ধ তরুনদের সরাতে গনজাগরন মঞ্চ নামের বর্তমানের দালালমঞ্চটিকে জাগাতে হলে যাবজ্জীবন বা লম্বা বছরের কারাদন্ড দেয়ার বিকল্প নেই । তারা আবারো ঢাকঢোল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে , সরকারের বিরুদ্ধে আর রায়ের বিরুদ্ধে জমায়েত হবে এবং ২৪ ঘন্টার মাঝেই জমায়েতের মাঝে লুকিয়ে থাকা দালালেরা সকল চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে , সকল বিবেক বিক্রি করে দেবে পাঞ্জাবীওয়ালার কাছে । সিচুয়েশান স্ট্যাবিলাইজ হবার সাথে সাথে তারা আবারও বলে উঠবে ‘ আওয়ামী লীগ ছাড়া ট্রাইবুনাল করে কে ? বিচার করে কে ? সরকারের সাথেই আছি, সরকারের সাথে না থাকলে তুই রাজাকার তুই রাজাকার .....’’ না , আমি আর প্রতারিত হতে চাই না , আমি আর কোনো দালালের হাত বা ভীড় শক্তিশালী করতে চাই না ।

প্রমানিত হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই ব্যবসা করেছে এই সরকার , লক্ষ তরুনদের আবেগ নিয়ে খেলেছে এই সরকার এবং এতে সমর্থন জুগিয়েছে এই দালালমঞ্চ । আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের চিনে ফেলেছি । আমাদের আর ভোলানো যাবেনা। গুডবাই শাহবাগ । ইমরান এইচ সরকার আর তাদের সাথে একত্রিত হওয়া কোন দালালের সাথে আমাদের সমর্থন নেই ।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে গনজাগরনমঞ্চের ব্যবসায়ীরা রাজাকারের বিচার প্রশ্নে কত আন্তরিক , কিন্তু বন্ধুরা ........... তাদের আন্তরিকতা প্রমান হয়ে গেছে কাদের মোল্লার রায়ের আপীলে , তাদের আন্তরিকতা প্রমান হয়ে গেছে হুট করে ৯-৫টা অফিসের আন্দোলন ঘোষনায় , তাদের আন্তরিকতা প্রমান হয়ে গেছে সরকারের পাহারায় থেকে সরকারের তল্পিবাহক সেজে চরমপত্রের নামে প্রেমপত্র লেখায় , তাদের আন্তরিকতা প্রমান হয়ে গেছে রুমী স্কোয়াডের নামে পরিকল্পিত মিথ্যাচার রটনায় , তাদের আন্তরিকতা প্রমান হয়ে গেছে বেলুন-মোমবাতি আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি বিপ্লবী তারুন্যের জোয়ার রুখে দেয়ার প্রক্রিয়ায় । দুঃখিত বন্ধুরা , আমি আর প্রতারিত হচ্ছি না , আমাকে আরেকবার প্রতারিত হতে দেবার সুযোগ আর দিচ্ছি না । অতএব চেতনা ব্যবসায়ীরা , আপীলের ব্যবস্থাই করুন আর যা-ই করুন , তালেবানি জুজুর ভত দেখান আর ট্যাগিং চর্চার ভয় দেখান ....... চেতনা ব্যবসার দিন শেষ । সি ইউ ইন পে ব্যাক টাইম । উই উইল মেইক দ্যা পেমেন্ট ফুল ।

আন্ড জাস্ট । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।