আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী বিধানের মান নির্ধারণ করে আমল করার জন্য মুজতাহিদ ইমামগণের অনুসরণ ব্যতীত দ্বিতীয় কোন পথ নেই

আল্লাহ পাক তাঁর কালামে পাকে ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমারা আল্লাহ পাক-এর ইতায়াত (অনুসরণ) করো এবং আল্লাহ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর রয়েছে তাঁদের ইতায়াত করো। অতঃপর যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় তাহলে আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। (অর্থাৎ যেই উলিল আমর আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেশী অনুগত ও নৈকট্যশীল বা যার মতের স্বপক্ষে কুরআন ও সুন্নাহর দলীল-আদিল্লাহ বেশী রয়েছে তাঁকে বা তাঁর মতকে অনুসরণ করবে। ) যদি তোমরা আল্লাহ পাক ও ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। এটাই কল্যাণকর এবং তা’বিল বা ব্যাখ্যার দিক দিয়ে উত্তম।

” (সূরা নিসা ৫৯) আল্লাহ পাক নিজেই উম্মাহর জন্য কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ বুঝতে ও আমল করতে উলিল আমরগণের অর্থাৎ সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের ইতায়াত ও পায়রবী করাকে ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন। বিশেষ করে হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের যামানা অতীত হওয়ার পর উম্মাহর জন্য মাযহাবের চতুষ্ঠ্যের ইমামগণের অনুসরণ ব্যতীত কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ মুতাবিক আমল করা সম্ভব নয়। কারণ, এই ইমাম ব্যতীত আর কেউই শরীয়তের যাবতীয় মাসায়ালা-মাসায়িল লিপিবদ্ধ করেননি। কাজেই, শরীয়তের প্রতি আমল করতে গেলে এই চার ইমামের একজনকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এটা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভূক্ত।

যদি কোন মাযহাব মান্য করা না হয় তাহলে শরীয়ত থেকে খারিজ হয়ে যাবে। আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.