আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলোমেলো ভাবনা ,সেই সাথে নিস্তব্ধ দুপুরে নিজের সাথে কথোপকথন -১

"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ মাঝে মাঝে মনে হয় । এই পৃথিবীর চলতে যে সময় এর উপর নির্ভর করে , তা থেমে গেছে তখন ভয় হয় ,কারণ সময় তো থামতে পারে না । অন্তত বিজ্ঞানী এবং সাহিত্যিক তারা নিজ নিজ ভাষাতেই তাই বলেন ,এই সময় টা বড়ই ভয়ঙ্কর। মনে হয় যেন কেন যে কাটে না । আমার মাঝে মাঝে এরকম ই মনে হয় ।

এটা এখন না সেই ছোটো থেকেই । যেমন ছোটো দুপুরে ভাত খাবার পর মনে হত কখন বিকাল হবে আর আমি বাইরে খেলতে যাবো , আম্মু হয়তো পড়া দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে ,আর আমি কিভাবে আজকে ছক্কা মারবো তমুখ এর বলে তার প্রাক্টিস করছি বাসায় আমার রুমে বসে । ভাব এমন যেন আজকে আমি একাই সব ছক্কা মারবো। অবশ্য খেলতাম বড়দের সাথে তাই সর্বশক্তি দিয়ে মারলেও দেখা যেত গালিতে আমাদের মুশফিকদের মত ক্যাচ তুলে দিয়েছি । হা হা হা।

তবে একদিনের কথা খুব মনে পড়ে , সেদিন ছিল আমার সেই ছোটো বেলার মফস্বলে শেষ বিকেল সেদিন বড় ভাই রা আমকে ৩ বার লাইফ দিয়ে ছিলেন , শেষের দিকে একটা দুর্দান্ত সিঙ্গেল নিয়ে জয়েও অবদান রেখেছিলাম । সেই ছোটো দিনের পিচ্চি ইভান ……… ক্লাস ফাইভে পড়লেও তার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে আট । আর মনে হচ্ছে এই তো কয়দিন আগেই সেই দিন টা গেলো । কয়েকদিন আগে সেই এলাকার পাশ দিয়ে জাফলং যাচ্ছিলাম ,ভাবছিলাম জীবন টা কত বিচিত্র এই সিলেটের মাটিতেই আমাকে পুরোপুরি বড় হতে হল । সে আমাকে আর কোথাও যেতে দিল না।

সেই জৈন্তাপুর এর দিন গুলি অনেক মিস করি । হা হা ,কথার খেই হারিয়ে ফেলছি লিখতে বসেছিলাম অন্যএকটা ব্যাপার নিয়ে হয়ে গেলো স্মৃতিচারণ ,আসলে হা……….. মনে পড়েছে । সামনে অনেক বড় একটা কাজের চাপ আসছে সেই কাজের ফাকে ফোকরে এদিক সেদিক উকি মারতেই আজকের এই নিস্তব্ধ হরতাল এর দুপুর হাজির. মনে হচ্ছে সেই ছোটো বেলার দিন গুলোর কথ। সেখানে পড়ার টেবিলে পাশেই দেখা যেত বিশাল এক আমগাছ আমার অসহ্য দুপুর বেলার কেটে যাবার জন্য আমি তাকে খেলার সাথী বলেই বেছে নিয়েছিলাম। বছর বছর গ্যাপ দিয়ে তাতে মুকুল আসতো ,যখন মুকুল আসতো তখন যে কি মজা লাগত সারাদিন একা একা মুকুল গুলোর সাথেই গল্প করতাম ।

ওদের ছোটো থেকে বড় হতে দেখতাম আর বড় হয়ে যখন আম হল তখন বাইরে থেকে পিচ্চি গুলো এসে ঠিল ছুড়তো ওগুলো পাড়ার জন্য তখন কষ্ট লাগতো ,যে কেন ওদের গাছে থাকতে দেয় না ওই ছেলে গুলোর সমস্যা কি !!! যদিও গাছ টা আমাদের কোয়ার্টার এর পিছনের দিকে ছিল (খুব সম্ভব পানি উন্নয়ন এর অফিস এরিয়ায়)একদিন তো ছেলে গুলোর সাথে আমার বাসার দোতলা থেকে ঝগড়াই শুরু করে ফেলেছিলাম ,তারপর দেখি তারা আমার দিকে তাক করে জানালা বরাবর ঠিল ছুড়ছে ,আমি তো জানি শুধু একটা গালি আম্মু তোমাকে পচা ছেলে বলবে ,যাই হোক পরে আম্মু এসে বকা দিয়ে জানালা টাই মনে হয় বন্ধ করে দিয়েছিল । আর আমি আমার সেই দুর্ভাগ্য বরন করে নেয়া আম গুলোর জন্য কান্না করছিলাম ,খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিন ,এখন ও মাঝে মাঝে নিজেকে এভাবেই প্রবোধ দেই যে যখন খুব প্রিয়জন এভাবে ছেড়ে চলে যেতে যায় তাকে চলে দিতে হয় হয়তো এটাই লেখা ছিল দুই জনের নিয়তিতে …………. শিশুকাল সুলভ বাচ্চামির টা এখন ও আছে , যেমন এখন ও দোকানে গেলে খেলনা গাড়ি দেখলে অনেক অনেক খুটিয়ে দেখি কল্পনা করি যেন আমি খেলছি ,গতকাল ভার্সিটির জন্য বাসের অপেক্ষা করতে গিয়ে একটা খেলনা দোকানের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম একটা খেলনা ডবল ডেকার এর দেখে খুব পছন্দ হয়ে গেলো দাম ও দেখলাম অনেক কম কিনতে ইচ্ছে হল ,যেন আমি বাসায় নিয়ে খেলবো ….এরকম উদ্ভট চিন্তা ভাবনা থেকে হঠাৎ আমার কানের কাছে একটা আওয়াজ এলো ……………..ভো ভো ভো …………যেন কে যেন বাস টা নিয়ে খেলছে । হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেলাম কারণ আওয়াজ টা করছি আমি কেউ শুনতে পারলে নেহাত আমাকে পাগল ঠাউরে বসবে ……………পুরোই নিজের মাঝে একাধিক সত্তার উপস্থিতি …… যাই হোক এখন এখানে পাগলামি বন্ধ করি ……….এমনিতেই অনেক পাগলামির কথা লিখে ফেলছি আর বাকি কিছু লিখে পাবনায় আপাতত স্যাটেল হবার ইচ্ছে নেই তবে মাঝে মাঝে অনেক অনুভব করি সেই ছোটো বেলার দিন গুলো কে স্কুল ও যাবার থেকে স্কুল ও যাবার পথে আর আসার পথে যে মজা টা হত সেটার জন্য ই স্কুল এ যেতাম ………… ইচ্ছে করে আবার ছোটো হয়ে যেতে তাহলে মানুষের মাঝে পঙ্কিলতা আর কলুষতা আর দেখতে হত না ,আর ছোটোদের মন তো এমনিতেই পবিত্র ,আমি সেই পবিত্র মনে অধিকারী হতে চাই ……….. এখন থেকে সবাই কে বিরক্ত করার জন্য দুপুরে যদি বাসায় থাকি এরকম হুট হাট করে আমার পাগলমন এর কলম ব্লগে চালিয়ে যাবো ..............সবাই বেশি করে করে বিরক্ত হবেন ........ সেই সাথে চতুরে ও আমার নিজস্ব ব্লগস্পটে প্রকাশিত  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।