রফিকুল ইসলাম:::::: :-
------
‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য আমাদের সড়ক-মহাসড়ক খুলে দেয়া হলে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ’
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ সুবিধা শীর্ষক এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণাও দেন।
এশিয়া সোসাইটির মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স ও এশিয়া সোসাইটি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এশিয়া সোসাইটির প্রেসিডেন্ট বিশাখা দেশাই, মার্কিন চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট টামি ওভারবি এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেমস উলফেনসন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের করমুক্ত বিপণন-সুবিধা প্রদানের আহবান জানান। এ ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এদিকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পৃথক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সব নারী ও শিশুর কল্যাণে অভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানান।
‘এভরি উইম্যান-এভরি চাইল্ড’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেনস স্টোলেনবার্ন।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী ও শিশুর কল্যাণের ওপর নির্ভর করছে সারা বিশ্বের ভবিষ্যতৎ। বিশ্বনেতাদের যৌথ অঙ্গীকারের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের জীবন পরিবর্তনে কল্যাণকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হলেও নারী ও শিশুদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপের সাফল্যের কথা তিনি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই জাতীয় নারীনীতি, শিশুনীতি ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। স্বাস্থ্যনীতিও প্রণয়নের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশের সীমিত সম্পদ ও জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকার কারণে নারী ও শিশুদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বসম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। পরেরদিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনায় যোগদান শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করার কথা রয়েছে তাঁর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।