পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ কনস্টেবল ও এএসআই কোয়ার্টারের পুরো এবং এসআই কোয়াটারের অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে।
এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সমবায় কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন।
গত কয়েকদিনের প্রবল ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীতীর রক্ষা বাঁধের বেশিরভাগ অংশ যমুনায় তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, বিএডিসি গুদাম, পোস্ট অফিসসহ কয়েকটি সরকারি স্থাপনাও নদীগর্ভে চলে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সেকশন অফিসার ইউনুস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপজেলা পরিষদ রক্ষায় গত তিন বছর ধরে পাউবো থেকে ৩৩ কোটি টাকা ব্যায়ে এক হাজার ৭০১ মিটার অংশে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হয়।
কিন্তু যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ওই কাজের এক হাজার ছয়শ’ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে। বাকি আছে মাত্র ১২৫ মিটার।
“এতে পুরো উপজেলা পরিষদই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে,” বলেন তিনি।
টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জ্যোতি দাষ ঘোষ বলেন, চৌহালী উপজেলাটিই টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন।
নদীতীর রক্ষার কাজ করেও শেষ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাস টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমানে জরুরি প্রতিরক্ষায় প্রায় ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে, তাও শেষ পর্যন্ত কাজে আসবে কিনা বলা কুশকিল।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালামাল চৌহালী ডিগ্রি কলেজে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেললেও তা কোন কাজে আসছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।