সাম্প্রতিক বিতর্ক শুরু হবার আগে তেঁতুল, একটা ফল হিসাবে, বেশ গুণের অধিকারী ছিল! তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস (কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা—সবকিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে।
শুনুন তাহলেঃ
১. এটি পরিপাকবর্ধন ও রুচিকারক। তেঁতুলের কচিপাতার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড।
২. পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজ দেয়।
৩. তেঁতুল মেদ বা চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে।
তবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. দেখা যায়, পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হয়। আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।
৫. তেতুলের বীজও বিভিন্ন শিল্পে কাজে লাগে।
৬. পাকা ফলের শাঁস শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
৬. তেঁতুলের পাতা বেটে মরিচ ও সামান্য লবণ দিয়ে বড়া তৈরি করে পান্তাভাতের সঙ্গে খেলে শরীরে এমাইনো এসিড পাওয়া যায়।
৭. তেঁতুলের সঙ্গে রসুনবাটা মেশানো যায়, তাহলে রক্তের চর্বি কমানোর কাজে ভালো ফল দেয়।
৮. তেঁতুল এমনই এক ভেষজ, যার সব অংশই কাজে লাগে।
৯. তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী।
১০. পেটে গ্যাস, হজম সমস্যা, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। এটি খিদে বাড়ায়।
১১. গর্ভাবস্থায় বমি বমি বমি ভাব দূর করে।
১২. মুখের লালা তৈরি হয়।
১৩. তেঁতুল রক্ত পরিস্কার করে
১৪. বাত বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা কমায়।
১৫. ভিটামিন সি-এর বড় উৎস।
১৬. পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।
১৭. পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি।
১৮. খাদ্যশক্তিও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
১৯. ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি।
২০. আর আয়রনের পরিমাণ নারকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি।
২১. তেঁতুল পাতার ভেষজ চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
২২. মুখে ঘাঁ ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে।
২৩. পাইলস্ চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়।
২৪. তেঁতুল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
২৫. শিশুদের পেটের কৃমিনাশক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।