আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উইন্ডোজ ৮ ডেভেলপার প্রিভিউ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা

যা চাই আমি তা ভুল করে চাই, যা পাই আমি তা চাইনা আজকে দুপুরের দিকে নামানো শেষ হবার পর থেকেই লেগে আছি এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমের পিছনে। এই লেখাটাও লিখছি্ এর সাথে আসা নতুন ব্রাউজারে। কেমন লাগছে সেই অনুভূতি সবার সাথে ভাগ করার জন্যই এ লেখা। আগে ভাগে বলে রাখি ইউটিউবে বেশ কিছু অফিসিয়াল/আনঅফিসিয়াল ভিডিও পাওয়া যাবে যাতে কিছু কিছু ফীচার দেখানো হয়েছে; কিন্তু দেখার চেয়ে ব্যবহারের আনন্দ অনেক বেশি - ভালই বুঝতে পারছি। গৌরচন্দ্রিকা শেষ, এবার পথে আসা যাক - উইন্ডোজ ৮ প্রথম ব্যবহার করলে যে 'প্রপঞ্চ'-টা চোখে পড়তে বাধ্য সেটি হলো ইউজার ইন্টারফেস।

স্টার্ট মেনুটা এখন স্টার্ট স্ক্রীণে পরিবর্তিত হয়েছে এবং সেখানে টাইলের আকারে সাজানো হরেক রঙের অ্যাপ্লিকেশন অথবা চল্‌তি ভাষায় : 'অ্যাপ'। দ্রুত ব্যবহারের সুবিধার্থেই এই ব্যবস্থা, তবে, ধাতস্থ হবার আগে এটাকে জঞ্জাল মনে হবার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া এটা টাচ্‌ সেনসিটিভ স্ক্রীণ ওয়ালা কম্পিউটারের কথা মাথায় রেখে বানানো, তাই প্রথম দেখায় একটু ঝক্কি মনে হওয়া অস্বাভাবিক না। কিন্তু এই অনুভুতি চাপা পড়ে যাবে স্টার্ট স্ক্রীণের সৌন্দর্য্যে। ছোট্ট একটা টিপ দেই এখানে, যেকোন অ্যাপ আইকন কে টেনে সরিয়ে পছন্দ মত জায়গায় বসানো যায়, সুতরাং সৃজনশীলতা দিয়ে নিজেকে নিজেই মুগ্ধ করতে চেষ্টা করুন, ব্যর্থ হবেন না বলেই মনে হয়! এখান থেকে চেনা-জানা উইন্ডোজ ৭ চেহারার ডেক্সটপে যেতে চাইলে দেখুন ডেক্সটপ নামে একটা অ্যাপ আছে, এই অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ আপনার পছন্দের ডেক্সটপ ব্যাকগ্রাউন্ডের থাম্বনেইল ! আর একটা মজার ঝামেলা আছে - যেকোন উইন্ডোর টাইটেল বারের নিচে এখন আর মেনু বার বা টুল বার নেই হয়েছে অফিস ০৭/১০ স্টাইল রিবন।

অনেক জটিল কমান্ড এখানে খুব সুন্দর আইকন দিয়ে করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এবার আসা যাক নতুন যেসব অ্যাপ এসেছে উইন্ডোজ ৮ ডেভেলপার প্রিভিউ এর সাথে তাদের কেচ্ছায়। যেহেতু এটি ডেভেলপার প্রিভিউ, তাই যথেষ্ট পরিমান অপ্রয়োজনীয় জিনিষপাতি দিয়ে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে স্টার্ট স্ক্রীণ। তবে কোনটা কার কাজে লাগে বলা যায় না তো! ট্রাই দিয়ে দেখা যেতে পারে একটা একটা করে! যদি কোনও দরকারী প্রোগ্রাম (যেমন: ওয়ার্ড প‌্যাড, নোট প‌্যাড, পেইন্ট) খুজে না পাওয়া যায় তাহলে স্টার্ট মেনুর জায়গায় পয়েন্টার রেখে সার্চ এ ক্লিক করলেই সব প্রোগ্রামের একটা বড়সড় ফর্দ পাওয়া যাবে! খানিকটা কাজের কথা বলে নেয়া যাক এক ফাঁকে - সেট আপ দেয়ার পর ড্রাইভার নিয়ে ঝামেলা হতে পারে, সাধারণ সমাধান হচ্ছে কম্পাটিবিলিটি মোড উইন্ডোজ ৭ এ নিয়ে সেটআপ দেয়া। আর একটা ঝামেলা হতে পারে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ৩.৫.১ এনাবল করা নিয়ে।

এটা একটা সহজ সমাধান হলো যদি চালু নেট কানেকশান থাকে তাহলে উইন্ডোজ-এর কথামতো কাজ করা। একটু সময় নিতে পারে এ কাজে; অধৈর্য্য হবার কিছু নেই। নতুন অ্যাপ গুলোর ভেতর সবচেয়ে ভাল লেগেছে আমার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১০ (ডেভেলপার প্রিভিউ !)। এই আই. ই. ভার্সন-টার স্পীড দারুণ। দেখতেও চমৎকার।

দুই ভাবে ব্যবহার করা যাবে এটাকে - স্টার্ট স্ক্রীণ থেকে ফুল-স্ক্রীণ মোডে এবং ডেক্সটপ থেকে নরমাল মোডে। ফুল-স্ক্রীণ মোডে ফাঁকা জায়গায় রাইট ক্লিক করলে অপশন দেখতে পাবেন, যেটা লেফ্ট ক্লিকে উধাও হয়ে যাবে! আমার মনে হয় এক রাতের জন্য যথেষ্ট লিখেছি - আর কিছু আপাত প্রয়োজনীয় কথা বলে ইতি টানবো। ১. ভিডিও দেখার জন্য লেটেস্ট ভিএলসি প্লেয়ার ব্যবহার করাই ভাল। ২. কোনও প্রোগ্রাম বন্ধ করতে টাস্ক ম্যানেজারের সাহায্য নিন, এক্সপ্লোরার হ্যাঙ করলে এক ক্লিকে রিস্টার্ট করতে পারা যাবে। ৩. পিসি অফ/রিস্টার্ট করতে চাইলে যেকোনো জায়গা থেকে কন্ট্রোল-অল্টার-ডিলিট চাপলে স্ক্রীণের ডানে নিচে দরকারী বাটনটা পাওয়া যাবে।

সবশেষে যারা ব্যবহার করতে আগ্রহী অথচ কোত্থেকে ডাউনলোড করতে হবে খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের জন্যে লিংক: ১. http://msdn.microsoft.com/en-us/windows/home/ অথবা, ২. সফটপেডিয়ায় সার্চ দিন। শুভ রাত্রি ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.