ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই’র বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) এক সদস্য জানিয়েছেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয় বরং ভারত সরকারই দেশটির পার্লামেন্ট এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা চালিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ খবরটি ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
Govt behind Parliament attack, 26/11: Ishrat probe officer
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি আর.ভি.এস মানি দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এক লিখিত জবানবন্দিতে বলেছেন, সিবিআই-এসআইটি দলের সাবেক সদস্য সতিশ ভার্মা তাকে বলেছেন, সন্ত্রাস বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের স্বার্থে ভারত সরকারই দু’টি হামলা (পার্লামেন্ট ও মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলা) চালিয়েছে।
২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন নিহত হয়। ওই হামলার পর ভারত সরকার বহু বিতর্কিত সন্ত্রাস বিরোধী আইন ‘পোটা’ অনুমোদন করে।
ওই আইনে সন্দেহভাজন যে কোনো ব্যক্তিকে আটক করে তাকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার ক্ষমতা দেয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ওই কালাকানুনে সংস্কার এনে সেটিকে আরো কঠোর করা হয়।
পোটার আওতায় গ্রেফতার হন শত শত সন্দেহভাজন মুসলমান, যারা বছরের পর বছর ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। লোকসভায় চালানো ওই হামলার দায়ে কয়েক মাস আগে কাশ্মিরের অধিবাসী আফজাল গুরুকে ফাঁসি দেয়া হয়।
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০৪ সালের জুন মাসে সাজানো এনকাউন্টারে ১৯ বছর বয়সী মুসলিম ছাত্রী ইশরাত জাহান হত্যা মামলার শুনানিতে এ চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি দেন ওই ভারতীয় কর্মকর্তা।
গুজরাটের পুলিশ দাবি করেছে, ইশরাত জাহান ও আরো তিন মুসলিম তরুণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করতে এসেছিল এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তাদের চারজনই নিহত হয় বলে পুলিশ দাবি করে।
তবে পরে সাক্ষ্যপ্রমাণে আদালতে প্রমাণিত হয় ইশরাত ও তার তিন মুসলিম সঙ্গীকে পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।