সারদার অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত হওয়া সাংসদ কুনাল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর উত্তাল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এখন বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপিসহ সব বিরোধী দলই ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) দিয়ে সারদা কাণ্ড তদন্ত করানোর দাবি তুলেছে। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে আন্দোলনও শুরু করেছে বামফ্রন্ট। একই দাবিতে কংগ্রেসের সেবা দল গতকাল রোববার দক্ষিণ কলকাতার ট্রায়াংগাল পার্কের সামনে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও দাবি তুলেছেন সিবিআই তদন্তের। সব দলের এক অভিযোগ যেহেতু সারদা কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে, সে কারণে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। তাই সব বিরোধীরাই চাইছে সিবিআই দিয়ে সারদা কাণ্ডের তদন্ত হোক। বামফ্রন্টের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, সত্যকে আড়াল করার জন্য কুনাল ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্ত হোক।
এদিকে কুনাল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফেসবুকে তিনি ১২ জনের নাম প্রকাশ করে বলেছেন, পুলিশকে তাঁরা সারদা কাণ্ডের তদন্তে সাহায্য করতে পারেন। এই ১২ জন হলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র, কেডি সিং, সাংসদ মুকুল রায়, সংবাদ ‘প্রতিদিন পত্রিকা’র সম্পাদক সাংসদ সঞ্জয় বোস, তাঁর পিতা টুটু বোস, সৌমিক বোস, বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তাঁর স্বামী বুয়া চক্রবর্তী (সমীর), আসিফ খান, রজত মজুমদার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ কুনাল ঘোষের জামিনের আবেদন খারিজ করে গতকাল পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে কলকাতার বিধাননগর মহকুমা বিচার বিভাগীয় আদালত। কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাত্ করে। ১০ এপ্রিল সুদীপ্ত আত্মগোপন করলেও পুলিশ ২৩ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি হোটেল থেকে দুই সঙ্গীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সুদীপ্ত সেনসহ সারদা গোষ্ঠীর আরও কয়েকজন সারদার কর্মকর্তা এখন কারাগারে রয়েছেন। সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।