আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই’র বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) এক সদস্য জানিয়েছেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয় বরং ভারত সরকারই দেশটির পার্লামেন্ট এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা চালিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ খবরটি ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি আর.ভি.এস মানি দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এক লিখিত জবানবন্দিতে বলেছেন, সিবিআই-এসআইটি দলের সাবেক সদস্য সতিশ ভার্মা তাকে বলেছেন, সন্ত্রাস বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের স্বার্থে ভারত সরকারই দু’টি হামলা (পার্লামেন্ট ও মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলা) চালিয়েছে।
২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন নিহত হয়। ওই হামলার পর ভারত সরকার বহু বিতর্কিত সন্ত্রাস বিরোধী আইন ‘পোটা’ অনুমোদন করে।
ওই আইনে সন্দেহভাজন যে কোনো ব্যক্তিকে আটক করে তাকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার ক্ষমতা দেয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ওই কালাকানুনে সংস্কার এনে সেটিকে আরো কঠোর করা হয়।
পোটার আওতায় গ্রেফতার হন শত শত সন্দেহভাজন মুসলমান, যারা বছরের পর বছর ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। লোকসভায় চালানো ওই হামলার দায়ে কয়েক মাস আগে কাশ্মিরের অধিবাসী আফজাল গুরুকে ফাঁসি দেয়া হয়।
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০৪ সালের জুন মাসে সাজানো এনকাউন্টারে ১৯ বছর বয়সী মুসলিম ছাত্রী ইশরাত জাহান হত্যা মামলার শুনানিতে এ চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি দেন ওই ভারতীয় কর্মকর্তা।
গুজরাটের পুলিশ দাবি করেছে, ইশরাত জাহান ও আরো তিন মুসলিম তরুণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করতে এসেছিল এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তাদের চারজনই নিহত হয় বলে পুলিশ দাবি করে।
তবে পরে সাক্ষ্যপ্রমাণে আদালতে প্রমাণিত হয় ইশরাত ও তার তিন মুসলিম সঙ্গীকে পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। #
রেডিও তেহরান/এমআই/১৫
Click This Link
************
সেই ২০১১ সালের এপ্রিলে লিখেছিলাম;
ভারতীয় রাডারের ব্যার্থতাঃ পুরুলিয়ায় অস্ত্র নিক্ষেপ, একদিন প্রমাণিত হবে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলাও সাজানো নাটক!
Click This Link
এরপর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারীতে লিখি;
কেঁচো খুড়তে সাপঃ মুম্বাই সন্ত্রাসে দাউদ ইব্রাহিমকে মোসাদের সহযোগীতার অভিযোগ-প্রমাণ RAWএর এবং দুই ইসরাইলীকে ভারত হতে চলে যাওয়ার নিদের্শ!
Click This Link
তো অবস্থা এখন এমন দাড়িয়েছে ভারতীয় প্রশাসনে বিবেকবান সব কর্মকর্তা জানে যে বিশেষ বিশেষ হামলা ও সন্ত্রাস ভারত সরকারের সাজানো ঘটনা। স্রেফ ভারতের কোন বিবেকবান শাসক আসলে হয়ত এগুলার সুরাহা হবে।
এই সমস্ত ঘটনা আবারো প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে জেএমবি সহ তথাকথিত জঙ্গীবাদ ভারতেরই কৃত্রিম সৃষ্টি। কিভাবে সার্বভৌম সচেতন বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা যায় তাই এই সমস্ত চক্রান্ত। আমাদের আওয়ামী-বাকশালী গংও ভারতকে এই বিষয়ে সহায়তা করে। তাই জেএমবি বিভিন্ন নাশকতা করতে সমর্থ্য হয়। নিজেরা লুটপাট, জুলুমের শাসন করবে আর ভারতের আধিপত্যবাদকে মাথা পেতে আনন্দে নাচবে।
তাই বলে বিএনপি আসলে নাকি দেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। এই অসভ্য কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে আরো গণ-প্রতিরোধ গড়তে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।