The Secret in Their Eyes (El secreto de sus ojos) ২০০৯ সালে নির্মিত একটি আরজেন্টাইন ক্রাইম থ্রিলার ফিল্ম। পরিচালনা করেছেন হুয়ান হোসে ক্যাম্পানেলা। ছবিটি এদুয়ার্দো সাচেরির বই La Pregunta de Sus Ojos (The Question in Their Eyes) থেকে নির্মিত। অভিনয় করেছেন রিকার্ডো ডারিন,সোলেদাদ ভিলামিল প্রমুখ।
ছবিটি ৮২তম অস্কারে Best Foreign Language Film হিসেবে পুরষ্কার জিতে নেয়।
এছাড়া আই এম ডি বি-র Top 250 movies voted by users এ ছবিটি ১৬১ তম র্যাঙ্ক ধারণ করে আছে। আই এম ডি বি র্যাঙ্কিং ৮.৩।
ট্রেইলার দেখুন
ছবিটির প্লট মোটামুটি এই রকম...
বেঞ্জামিন নামে একজন প্রাক্তন ক্রিমিনাল কোর্ট জজ তার অবসর জীবনে একটি উপন্যাস লিখা শুরু করে। উপন্যাসের প্লট হিসেবে সে বেছে নেয় তার সল্ভ করা একটি কেইস - ১৯৭৪ সালে ধর্ষিত ও খুন হওয়া লিলিয়ানা নামের একটি মেয়ের কাহিনী। বেঞ্জামিনের মনে পড়ে সে কেইসটিতে তার মাতাল সহকর্মী পাবলোর সাথে কাজ করেছিল এবং এই কেইসে দুই জন নির্দোষ শ্রমিককে শাস্তি পেতে হয়েছিল।
মুভিটি তখন বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকে অতীতে ফিরে যায়।
এই কেইসটি চেস করতে যেয়ে বেঞ্জামিন লিলিয়ানার কিছু স্টিল ফটোগ্রাফ খুজে পায় এবং ধারণা করে,ইসিদারো গমেজ নামক নামের একজন ব্যাক্তির সাথে এই খুনের যোগসাজস থাকতে পারে। তার এই ধারণার পেছনে কারণ ছিল ফটোগুলোতে লিলিয়ানার দিকে ইসিদারোর ক্রূর দৃষ্টি। মুলত এই ব্যাপারটাই ছবির নামকরণের পেছনে মুখ্য ভুমিকা রেখেছে। বেঞ্জামিনের তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড এবং বর্তমান ডিপার্ট্মেন্ট চিফ আইরিন এই ছবির সাথে ক্রাইমের যোগসুত্রতাকে অসম্ভব মনে করে,কিন্তু বেঞ্জামিন ভাবে যে,a young man's feeling for a woman is spoken in the look of his eyes.
বেঞ্জামিন ও পাবলো ইসিদারোকে চেস করতে সিভিল্কয়ে তার মার বাড়িতে যায় এবং তার মাকে লিখা চিঠিগুলো চুরি করে।
যখন তাদের বস এই ঘটনা জানতে পারে,তখন তিনি একজন নির্দোষকে চেস করার জন্য পুরো কেসটি ক্লোজ করে দেন।
কিন্তু মানুষের প্রথমবারে একজন মানুষের instinct এর প্রতি যে একটা ধারণা তা কি কখনো ভুল হতে পারে?বেঞ্জামিনের মনে বার বার ঘুরপাক খেতে থাকে যে,ইসিদারোই এই ক্রাইমের নেপথ্যে। আল্টিমেটলি এক বছর পরে বেঞ্জামিন সম্পুর্ন আত্মবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে এই কেইস রি-ওপেন করে এবং ইসিদারোকে খুঁজতে থাকে। পাবলোর সাথে আলাপ করে সে ধারণা করে যে ইসিদারো কর্তৃক তার মায়ের কাছে লিখিত চিঠিগুলোতে ওইসব জায়গাগুলো থেকে প্রেরিত যেখানে আর্জেন্টাইন ফুটবল ক্লাব রেসিং ক্লাবের ভেন্যু ছিল। তার মানে ফুটবলের প্রতি ইসিদারোর একটি সহজাত প্যাসন কাজ করে এবং রেসিং ক্লাবের ম্যাচগুলোতে খুঁজলেই ইসিদারোকে পাওয়া সম্ভব।
এরপর ফুটবল স্টেডিয়ামে ইসিদারোকে চেস করার একটা সিন আছে। আমার এই ছবির সবচেয়ে প্রিয় মোমেন্ট। খোদ হলিউডি কয়টা মুভিতে এতো দারুন ক্যামেরার কাজ আছে,আমার সন্দেহ আছে। এই শটকে অনেকে The Greatest Ever Movie Scene গন্য করে। দেখুন এইখানে।
আর বলা যাবে না। দেখা যাবে আমি পুরা কাহিনী বলে ফেলে আপনাদের বোরড করে দিচ্ছি। দেখুন,দেখুন...টুইস্টে টুইস্টে মিস্টার টুইস্ট হয়ে যাবেন।
আই এম ডি বি লিঙ্ক
উইকিপিডিয়া লিঙ্ক
ডাউনলোড করুন এখান থেকে...
মিডিয়াফায়ার লিঙ্ক
টরেন্ট লিঙ্ক
ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিঙ্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।