বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর রায়ে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন, মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে গঠিত আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ওই বাহিনীর ওপর তার ‘কার্যকর নিয়ন্ত্রণ’ থাকার বিষয়টিও প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত অভিযোগের মধ্যে প্রথমটিতে মুজাহিদ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
এই অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানের বাঙালি সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি দৈনিকে প্রবন্ধ লেখার অপরাধে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ৫ নম্বর চামেলীবাগের ভাড়া করা বাসা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয় ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে। এর পর তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বুধবার বেলা ১১টা ৫ এ জনাকীর্ণ আদালতে রায়ের ভূমিকা পড়া শুরু করেন। । এরপর আসামি মুজাহিদের উপস্থিতিতে রায়ের ৩৭ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসারের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিপারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। অপর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়াও এজলাসে উপস্থিত রয়েছেন।
বুধবার সকাল ১০টা ৪২ এ মুজাহিদকে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়।
সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এই জামায়াত নেতাকে গাড়ির ভেতর থেকে হাত নাড়তে দেখা যায়।
আদালত কক্ষে নেয়ার আগে তাকে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়। রায়ের জন্য মুজাহিদকে আগের দিনই নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।