স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি,স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি মুলত রসুন। আলীগ,বিএনপি,জামায়াত,জাতীয় পার্টি সব এক। ধনী গরীব একই কাতারে নামায পড়ে.ধনী গরীব একই কাতারে পূজা প্রার্থনা করে অথচ ধনী গরীব একই মানের ঘরে থাকেনা,একই মানের খাবার খায় না,একই মানের কাপড় একই মানের চিকিৎসা পায়না সেক্ষেত্রে আপনারা আলীগ,বিএনপি,জামায়াত,জাতীয় পার্টি সব এক আর তা হলো গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে আর ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে । আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো আর কত আড়াল করবেন ! রাজনৈতিক দলগুলো যখন দুর্নীতির শীর্ষস্থানে,জনগন যখন বুঝতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলোই বড় চোর তখন আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন প্রসংগ,ভিন্ন ইস্যুতে জনগনকে ব্যস্ত রাখতে রাজাকারের বিচার আর নারী নীতি নিয়ে তর্ক শুরু করছেন। স্বাধীনতার সুফল ধনীক শ্রেনীর পকেটে ধনীক শ্রেনীই দিক রাজাকারের ফাসি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ধনী গরীব সকলেই খতিগ্রস্থ হয়েছিলো। গরীবরা আশাকরেছিলো স্বাধীন দেশে ধর্ম নিরেপেক্খ সমাজতন্ত্রের সুবিধা পাবে। স্বাধীনতার ৪২ বছরে যা হয়েছে তাহলো স্বাধীনতার সকল সুফল ধনীক শ্রেনীর পকেটে ঢুকেছে। অন্যদিকে ১ নং মাথাপিছু বৈদেশিক লোন বৃদ্ধি পাচ্ছে ২নং ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৩ নং ফুটপাতে ঘুমানো লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পচ্ছে ৪ নং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ৫নং হত্যা গোলযোগ ছিনতাই চাদাবাজী বৃদ্ধি পাচ্ছে ৬ নং নির্যাতন ধর্ষন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৭ নং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৮নং যানযট বৃদ্ধি পাচ্ছে ৯ নং বিদুৎ গ্যাস পানি সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে ১০ নং বেশ্যাবৃত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে ১১ নং মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পাচ্ছে ১২ নং ধনীরা এত বেশী ধন সম্পদশালী হচ্ছেন যে মেয়ের হাত খরচ দেন মাসে ১০ লক্ষ টাকা ১৩ নং গরীব আছেন ফুটপাত বস্তি গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ অস্বাস্থ্যকর ঘরে ১৪নং উন্নয়ন ধনী গরীবের বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক দল,পুলিশ এবং বিচার বিভাগের হাত থেকে দেশকে রক্ষার একমাত্র উপায় হতে পারে সম্পদের মালিকানা সীমাবদ্ধ আইন।
রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । রাজনীতির মতো মানব সেবাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের অবশ্যই ব্যাক্তিগত সম্পদের মালিকানার সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে। একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে নির্বাচনে নিশ্চয়ই কোটি টাকা খরচ করতে পারবেন না, একজন সংসদ প্রার্থী যদি ৩০লক্ষ টাকার বেশী মালিক না হন তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আইন করে সাদা বানিয়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পদের পরিমান বৃদ্ধি ও সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি করবেন না। পুলিশ বিচারক সরকারী সকল কর্মকর্তা কেউই বেতনের অতিরিক্ত খরচ করতে পারবেন না, বেতনের অতিরিক্ত টাকার মালিক হতে পারবেননা।
নির্বাচনী ইশতাহারে উল্লেখ করতে হবে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। যারা বেশী টাকার মালিক হতে চান তারা ফ্রেশ ব্যবসা করবেন,রাজনীতি নয়,রাজনীতিকে ব্যবহার করেও নয়। । ভোট হতে হবে বর্তমান সংস্কৃতির বাইরে অর্থাৎ নতুন সংস্কৃতিতে,অর্থাৎ দুর্নীতির শীর্ষস্থানে অবস্থানকারী রাজিৈনতক দলগুলোকে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তওবা পড়ে ভোটে অংশ নিতে হবে আহবান এ দেশের ধার্মিক গরীবদের। সকল সম্পদের উপর সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলে আলাদা করে নারীনীতি দরকার হবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।