আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনন্দবাজার সম্পাদক দাদা, নিজেদের বড়ত্ব দেখাইতে গিয়া তো ধুতি আলগা কইরা ফালাইলেন। এখন তো ছোট দ্যাখতাছি !!!

আনন্দবাজার সম্পাদকীয় বলেছে নয়াদিল্লি হয়তো চুক্তি করিতে গিয়া প্রতিবেশীর প্রতি একটু বেশি উদার হইয়াছে। বাংলাদেশকে একটু বেশি ছাড় দেওয়া হইতেছে, এমন অভিযোগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যেও উঠিয়াছে। কোনও-কোনও রাজ্যে চুক্তির প্রতিবাদে এমনকী বন্ধ পর্যন্ত পালিত হইয়াছে। কিন্তু যে বড়, তাহাকে সর্বদাই ‘ছোটর দাবি’ হাসিমুখে শিরোধার্য করিতে হয়, কেননা ইহাতেই তাহার বড়ত্ব প্রতিপন্ন করার অবকাশ থাকে দাদারা তো দাদা গিরিই করতাছে দেখি। এ পর্যন্ত তাদের হিসেবে যেসব চুক্তি হইয়াছে তাতে দেখা যায়: ১।

সেভেন সিস্টার্সের করিডোর প্রদানে ঢাকার সম্মতি ও নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশের ট্রানজিট (বাংলাদেশ একক ভাবে লাভবান হয়নাই) ২। বস্ত্রশিল্পের জন্য খ্যাত বাংলাদেশের ৪৬ রকম বস্ত্র ভারতে বিক্রয় করিতে অতঃপর আর কোনও আমদানি শুল্ক দাবি করা হইবে না। ঢাকা এই মর্মে যে অনুরোধ করিয়াছিল, নয়াদিল্লি তাহা রক্ষা করিয়াছে। (শুল্ক দাবি করবেনা সত্য তবে যেসব নন ট্যারিফ ব্যারিয়ার আছে সে ব্যাপারে কিন্তু দাদার কিছু কইতাছেন না) ৩। বিদ্যুৎ সঙ্কটে দীর্ণ বাংলাদেশকে সহায়তা করিতে সে দেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডকে ভারতীয় গ্রিডের সহিত জুড়িয়া লওয়ার পাশাপাশি খুলনায় ১৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রও ভারতের সহিত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হইতে চলিয়াছে।

(ভারতীয় গ্রীডে জুড়বো তয় ভারতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন বাংলাদেশীদের করন লাগবো, বিদ্যুৎ বেইচা কিন্তু ভারত লাভ করবো। খুলনায় কিন্তু ভারত দয়া দেখাইয়া যৌথ বিনিয়োগ করে নাই) ৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দূরদর্শনের সহিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের, দুই দেশের মৎস্য উৎপাদন, অরণ্য সংরক্ষণ ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এবং জাতীয় ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে সহযোগিতা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হইয়াছে। (এসব বাল-ছাল চুক্তিতে বাংলাদেশ কত লাভবান হবে তা বলে বোঝানোর দরকার নেই) ভারতীয় স্বাধীনতাকামীদের ভারতীয় হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বরং অনেক বড় বন্ধুত্ব বা দাদাগিরি দেখাইছে। কোনভাবেই যে এ দফায় ভারতের বড়ত্ব প্রমানিত হয়নি তা ইন্ডিয়ার হরিদাশ পালেরা না বুঝলেও আমরা বাংলাদেশীরা ঠিকই বুঝবার পারছি।

লিংক: http://www.anandabazar.in/9edit1.html ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.