‘মহাকীর্তির উৎসব ভেস্তে গেল প্রয়াত বন্ধুর জন্য শপথে’- বাংলাবাজার পত্রিকা
এমনই শিরনাম ছাপায় কলকাতার জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়কে কিছুতেই মেনে নিতে পরছে না দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী আমাদের এই জয় অপ্ত্যাসিত।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদক সুমিত ঘোষ মনে করেন বাংলাদেশের জয়টা কাকতালীয় বিষয়। মানে ঝড়ে বক মরার মত।
সুমিত ঘোষের দাবি, বাংলাদেশের জয়ের নায়ক শচীন। খেলার আগের রাত মানে শুক্রবার রাতে শচীন নাকি সাকিব, তামিমকে অনেক মূল্যবান উপদেশ দেয়, কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, কিভাবে ইউকেটে থাকতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
‘ঘটনা হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে এক বন্ধুর বাড়িতে নৈশভোজে সচিনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে যান সাকিব এবং তামিম। দুজনকেই বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন তিনি। আজ সেই পরামর্শ ভেস্তে দিয়ে গেল সচিনেরই উৎসবের রাত।
’- আনন্দবাজার পত্রিকা।
তারা প্রয়াত ক্রিকেটের মানজারুল ইসলাম রানার প্রেরণাকেও অপমান করে। তার প্রেরণাকে ছোট করে দেখা হয়।
‘মানজারুল ইসলাম রানা। শুক্রবার মীরপুরের মাঠে উপস্থিত এগারো জন বাঙালি নন।
শততম সেঞ্চুরির মহাকীর্তির দিনে সচিন তেন্ডুলকরের সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দেখা দিলেন প্রয়াত এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার!’- আনন্দবাজার পত্রিকা।
গতকাল শুক্রবার (১৬ মার্চ) ছিলো রানার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের এই দিনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় হারান বাংলাদেশ দলের এই প্রতিভাবান তরুণ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে এই রানার প্রেরণা ভারতের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রানার মৃত্যুর পরের দিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে ভারতের গ্রুপ পর্বের খেলা ছিলো।
সেদিন বাংলাদেশ জিতে রানার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিল। বাংলাদেশের সেই জয়ের ফলে ভারতের বিশ্বকাপ স্বপ্নও নিভে যায়।
এদিকে, গ্যালারির দর্শকদেরও ছাড় দিয়ে কথা বলেনি আনন্দবাজারের প্রতিবেদক। দর্শকদের হর্ষধ্বনি কিংবা শচীনকে থামানোর জন্য টাইগার দলপতি মুশফিকুরের গেম প্লানেরও সমালোচনা করতে ছাড়েনি তারা।
‘গ্যালারির প্রতিক্রিয়া গুলোও কেমন যেন অদ্ভুত দেখাচ্ছিল।
সচিন নব্বইয়ের ঘরে যখন আটকে পড়েছেন, তখন তিনি এক-একটা ‘ডট’ বল খেলছেন আর গ্যালারি হাততালিতে ফেটে পড়েছে। সচিন আটকে গিয়েছেন দেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর সাত জনকে সিঙ্গলস ঠেকানোর জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিলেন। সচিন সেই চক্রব্যূহে অনেকক্ষণ আটকে রাইলেন। একটা ওভার মেডেনও হল। আবার যেই তিনি ৯৯-তে স্ট্রাইক নিচ্ছেন, গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়াল।
ততক্ষণে জনতার মনোভাব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সচিন, তুমি সেঞ্চুরিটা করো। কিন্তু এমন ভাবে কোরো না যাতে আমরা (ভারত) ম্যাচটা হেরে যাই। ’- আনন্দবাজার পত্রিকা।
এশিয়া কাপের চতুর্থ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৫ উইকেটে ২৮৯ রান করে।
জবাবে তামিম-জহিরুল-নাসির-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। যারফলে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন বুকের ভিতর উকি দিতে শুরু করে।
সূত্রঃ Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।