চলো এগিয়ে যাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমানের রাজনীতির শেকড় অনেক গভীরে। এটা উৎপাটন করা এত সহজ নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে একুশে আগস্ট মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায় সরকার।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তির তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা আলমগীর অভিযোগ করেন, এক-এগারোর সময় সবচেয়ে বেশি প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। অথচ তাঁর নামে দায়ের করা দুর্নীতির একটি মামলাও প্রমাণ করতে পারেনি সরকার। এই পত্রিকা দুটি আজও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছেপেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য আদায় করে তারেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
দেশকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া একজন বিচারপতির দুর্নীতির কথা বলায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হচ্ছে। অথচ ক্ষমা আহ্বানকারীরা নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘আপনারা জাতির সঙ্গে যা করছেন সে জন্য কি ক্ষমা চেয়েছেন? আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি এই সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। এতই যদি সুসম্পর্ক, তাহলে আমরা ব্যর্থ হলাম কেন?’
আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।