কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম ধিক মমতা!
তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি মনমত না হওয়ার পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বাংলাদেশ সফরে এলেন না। অনেকের মত আমিও প্রাথমিক উচ্ছ্বাসে মমতার এই দেশপ্রেম (নাকি রাজ্যপ্রেম!) কে সম্মান জানিয়েছিলাম। কিন্তু একটু চিন্তা করতেই সেই উচ্ছ্বাস উবে গেছে!
কিসের দেশপ্রেম! এতো হারামিপনা! আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রাপ্যতার আইন ও ভৌগলিক কাঠামো অনুসারে বাংলাদেশ শুধুমাত্র ন্যায্য অংশটুকু চেয়েছে- বেশি তো চায়নি! তাহলে মমতার এতে আপত্তি কেন? পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পানি দরকার কারণ তাদের কৃষিকাজ করতে হয়- কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কি হাওয়া খেয়ে বাঁচে? বুশ-ওবামা অন্য রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদ কেড়ে নিতে চায় বলে আমরা ওদের ঘৃণা করি- আর এদিকে মমতা জীবনের জন্য অপরিহার্য পানি কেড়ে নিচ্ছে- সেটাকে সাধুবাদ জানায় কোন বেকুব?
আমাদের ইলিশ আমরা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে তোদের দেশে পাঠাচ্ছি- তখনও কি তোদের বিবেক এমনিভাবে কাজ করে? করে না। কারণ তোরা স্বার্থপর ও কৃপণ জাতি!
ঝগড়াটে, পাগলাটে, একগুয়ে ও প্রচারপ্রিয় এই মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে কি কি অশনি সংকেত বয়ে আনে সেটাই দেখার বিষয়! (আমরা কিন্তু আড়াই বছর ধরে সেটা মর্মে মর্মে টের পাচ্ছি!)
হতভাগিনী দিপুমণি!
মনমোহন সিং বাংলাদেশে আসার পরের দিন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান মন্তব্য কলামে লিখেছেন-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দুই দিনের সফরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের মানুষ গভীরভাবে হতাশ হয়েছে। গত সোমবার বিকেলেই আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।
যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দেশবাসীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আশাবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।
কলামটি পড়ে দিপুমণির জন্য দুঃখ পেলাম। বেচারী কিসের আশায় এখনও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে আছেন? যে দেশে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক আগে থেকেই নিশ্চিতভাবে জানেন পার্শ্ববর্তী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কে হচ্ছেন বা কে হচ্ছেন না- সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দিপুমণির অজ্ঞতা সীমাহীন ব্যর্থতাই প্রকাশ করে। দিপুমণির উচিত অন্যসব কাজ বাদ দিয়ে মতিউর রহমানের ডেস্কের সামনে বসে থাকা- তাতে যদি সঠিক তথ্যটি জেনে নিজের মুখ রক্ষা করতে পারেন!
চিরায়ত 'মাল'!
চুল পাকিলে মানুষ হয় না বুড়ো, আসল রসের বয়স এই তো শুরু!- কথাটি দেশবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী যতই দিন যাচ্ছে ততই 'রসের হাঁড়ি'তে পরিণত হচ্ছেন।
তবে তাঁর রসিকতার ম্যাটেরিয়াল হল একটি হতভাগ্য দেশের মানুষ! এই মাল সাহেব আজকে বলেন- ট্রানজিট দিয়ে কিছু একটা নিব! কাল বলেন- ট্রানজিটের বিনিময়ে কিছু নেয়া 'শোভন' হবে না। মনমোহন সিংয়ের সফরের প্রথম দিন যখন তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হল- ট্রানজিট চুক্তিও হবে না- সেদিনই এক টিভি চ্যানেলে দেখলাম মাল সাহেব গাড়ির দরজা খুলে বলছেন- 'ট্রানজিট তো দেয়া হয়েই গেছে!'
সাবাস! বাঘের বাচ্চা! সত্যি বলতে আবার কিসের ভয়! শেয়ার বাজারের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে 'ফাটকাবাজ' বলতে যার মুখ আটকায় না তাঁর আবার ভয় কিসের?
অর্থমন্ত্রীর ঐ রসালো ও রহস্যময় হাসির অর্থ হতভাগা আমজনতা এখনও বুঝে উঠতে পারে নি। যেদিন বুঝবে সেদিন ধরে দাঁড়ানোর মত হাতের কাছে আর কিছুই পাবে না এই জাতি!
মারি হালা! পিডাই মারি ফালা! মারস না ক্যান?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।