প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। পদার্থবিদ্যা পড়লে আমরা শক্তি এবং ভরের কথা জানতে পারি । কোনটাকে ধ্বংস করা যায় না । কোনটাকে সৃষ্টি করা যায় না । ভালো কথা ।
একটাকে আর একটাতে রূপান্তর করা সম্ভব ।
কিন্তু শক্তি এবং ভর থেকে প্রাণ পাওয়া সম্ভব নয় । প্রাণ থেকে প্রাণের আবির্ভাব । জড় থেকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় ।
কোষ ছাড়া আমি অন্য কিছু নই ।
একই কোষের সমন্বয়ে টিস্যু , একই কার্যকলাপ টিস্যুর সমন্বয়ে অঙ্গ গঠিত হয় । অনেক অঙ্গের সমন্বয়ে আমি মানুষ । কোষের প্রাণ আছে ।
আমি আমার জন্য খাবার খাই না । আমি খাবার খাই কোষের জন্য ।
রক্ত -মাংস , হাড় নিয়ে আমার শরীর । আমি যে খাবার খাই , সেই খাবার আসলে রক্ত , মাংস আর হাড়ের খাদ্য । শরীরের চামড়া কত সুন্দর । এই চামড়ারও মৃত্যু হবে । কয়েকদিন না খেলে শরীর শুকিয়ে যাবে ।
আমি যে জল খাই , সেটাও এদের জন্য ।
আমার মধ্যে শক্তি আছে , ভরও আছে । এছাড়া আছে প্রাণ ।
আমার যখন মৃত্যু হল । তখনও আমার শরীরে অন্য ধরণের শক্তি এবং ভরও আছে।
যেটা নেই , সেটা হলো প্রাণ ।
বিজ্ঞান এখনও ভূত প্রমাণ করতে পারে নি ।
ভূতের কাজকর্ম মানুষ জানে না । মানুষ জানে না ভূতের শরীরের গঠন । যার জন্য মানুষ অন্ধকারে আছে ।
মৃত্যুর পর আমি ভূত ছিলাম । সেখানে আমার ক্ষুধা- তৃষ্ণা ছিল না । তাহলে আমার সেই শরীরে কোষ নেই ।
এখন আমার চোখ আছে , কান আছে । চোখ দিয়ে দেখি , কান দিয়ে শুনি ।
মজার ব্যাপার হলো ভূত হয়ে আমি দেখতে পাচ্ছি , মানুষের কথা শুনতে পাচ্ছি । শুধু তাই নয় । রঙের ভেদাভেদ করতে পারছি । যেখানে চোখ নেই অথচ দেখতে পাচ্ছি , আবার কান নেই অথচ শুনতে পাচ্ছি , কেন ?
ভূত হলাম । তাহলে বলতে পারি ভূত থাকাকালীন অবস্থায় আমার মধ্যে প্রাণ ছিল ।
এখন যেমন প্রাণ আমাকে পরিচালনা করছে , মৃত্যুর পরও প্রাণ ভূত হিসাবে পরিচালনা করছে । তাহলে বলতে পারি প্রাণের মৃত্যু নেই ।
আমরা ঘুমিয়ে পড়লে স্বপ্ন দেখি । অথচ চোখ , কান বন্ধ । তাহলে প্রাণের আর এক কাজ ।
আমি প্রাণ । কোষের প্রাণ । মৃত্যুর পর প্রাণ থাকবে , থাকবে না কোষ । প্রাণ অমর অবিনশ্বর । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।