বাংলা ভাষােক ভালবািস এমন একটা ঘটনা কল্পনা করুন। আপনি বসে আছেন টলটলে স্বচ্ছ এক জলাশয়ের সামনে। উপভোগ করছেন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। হঠাৎই দুলে উঠল পৃথিবী। ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দিলেন ভোঁ-দৌড়।
এক সময় থেমে গেল ভূমিকম্প। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এলেন আগের জায়গায়। গায়ে চিমটি কেটেও নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না, আপনার সামনে থাকা
জলাশয়টি পরিণত হয়েছে স্বর্ণের খনিতে! নিখাদ কল্পকাহিনী মনে করছেন পুরোপুরি না হলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু এমনটাই বলছেন। ভূমিকম্পের সময় বাষ্পে পরিণত হওয়ার ত্রুটির কারণে পানি তাৎক্ষণিকভাবে স্বর্ণখণ্ডে পরিণত হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদরা নতুন এই আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।
‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তাঁরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্লেটগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ফাটল সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরিস্থিত পানি জলাধার থেকে এই ফাটলের মধ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু সেখানকার অতি উচ্চ তাপমাত্রা পানিকে মুহূর্তেই বাষ্পে পরিণত করে। এই বাষ্প মাটির আরো গভীরে থাকা সিলিকাকে চাপ দিয়ে মিনারেল কোয়ার্টজে পরিণত করে। আপাত ভারসাম্য ফিরে আসামাত্র জলাধারগুলোর মিলিয়ে যাওয়া পানির সমপরিমাণ তরল স্বর্ণখণ্ডগুলো তাৎক্ষণিকভাবে উপরিভাগে চলে আসে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এভাবেই নিম্নস্তর থেকে স্বর্ণ-রুপা-লোহাসহ বিভিন্ন আকরিক পৃথিবীপৃষ্ঠে উঠে আসে। সাধারণভাবে এই প্রক্রিয়া অনেক সময়সাপেক্ষ। কিন্তু ভূমিকম্পের কারণে ‘টাইম মেশিনে’ চড়ে তাৎক্ষণিকভাবে আকরিকগুলো ওপরে চলে আসতে পারে। যদিও এভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণের পরিমাণ খুবই নগণ্য। বেশির ভাগ সময়ই এক মিলিয়নের একাংশ মেলে।
তবে কখনো কখনো নিউজিল্যান্ডের আলপাইন ফল্টের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। ভূমিকম্পের পর সেখানে আস্ত এক স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।