আমার সম্বন্থে বলার কিছু নেই
সমাজ কে বলা যেতে পারে গ্রন্থাগারের অছি।
সমাজের আহ্বানেই গ্রন্থাগারকে সাড়া দিতে হয় এবং সমাজের কাছে সে দায়বদ্ধ।
বহু বছর আগে এক বিশিষ্ট গ্রন্থাগারিক বলেছিলেন।
" একটি গ্রন্থাগার গঠিত হয় গ্রন্থ, মেধা ও আবাস দিয়ে। '
এর সাহায্য তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মজুত গ্রন্থ ভাণ্ডারম কর্মী ও কর্মস্থানকে।
কিন্তু এই তিনটি উপাদান ছাড়াও চতুর্থ এবং জরুরী উপাদান হলো পাঠক।
পাঠকের অনুপস্থিতি ছাড়া গ্রন্থাগার হলো গ্রন্থের সামাধিস্থল।
সুতরাং গ্রন্থাগার হল এক প্রতিষ্ঠান।
আর গ্রন্থাগার বিজ্ঞান হল একটি পদ্থতি যা গ্রন্থ ও গ্রফিক নথিপত্রের সংরক্ষণ ও ব্যবহারকে সহজতর
করে তোলে। গ্রন্থাগার হল ভাবনা চিন্তাকরার এক আবাস ,যাকে সম্মিলিত ভাবে সকলেই নিয়মিত ব্যবহার করতে পরেন।
আধুনিক ধারণায় গ্রন্থাগার হল এক যুক্তিসম্মত,স্বভাবিক পরীক্ষাগার,যেখানে তথ্য সংগ্রহমসগুলিকে একত্রীকরণ,
এবং সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তথ্য ব্যবস্থা ও বৌদ্ধিক অনুশীলনের সাহায্যে মানুয়ের পারস্পারিক
যোগায়োগ বা সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে স্থান লাভ করা যায়।
*সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রন্থাগার:-
সর্বজনীন উদ্দ্যশ্য সাধন করতে ও সর্বজনীন প্রযোজন মেটাটে একত্রে কর্মরত মানুষদের নিয়েগই গঠিত হয় সমাজ।
আধুনিক সমাজে মানুষ সমস্ত ক্রিয়া কলাপ প্রতিষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সংগঠিত হয়। যেমন স্কুল ,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,
জ্ঞান দক্ষতা ও সামাজিক ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করে তেমনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলি দৃষ্টি দেয় বিশ্বাস ঐক্যের দিকে।
আধুনিক সমাজ সাধারণত সাম্য, স্বাধীনতা,জাতীয় চরিত্র,সাফল্য,বাস্তবতাদের মত ও মূল্যবোধগুলিকে গুরুত্ব দেয়।
আর গ্রন্থাগার বিজ্ঞান যেহেতু একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাই এর সাথে সমাজের যোগাযোগ নিবিড়।
গ্রন্থাগারে কোন নথি থাকলে, বা তাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে কোন সংস্কৃতি স্থায়ী হতে পারে না।
গ্রন্থাগার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাকে সুনিশ্চিত করে ও বিভিন্ন যুগের সংস্কৃতির মধ্যে এক যোগসূত্র রচনা করে।
আগেকার দিনে গ্রন্থাগার গুলি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করত না। সেই সময় গ্রন্থাগার ছিল কোন বৃত্তবান ব্যক্তির বা গোষ্ঠির সমষ্টি।
গ্রন্থ সংগ্রহ করে রাখা হত তালাবন্ধ আলমারির ভিতর। বহুশতাব্দি ধরে বেশিরভাগ গ্রন্থাগারই ছিল নিজস্ব মালিকানাধীন। সেগুলি হয়তো ছিল কোন বিদ্বান মানুষের নিজস্ব সম্পত্তি বা কোন ধনী মানুষের নিজস্ব সংগ্রহ।
প্রতিষ্ঠান বলতে এখন পরোক্ষভাবে সংস্থা ও কার্যালয় বা ভবনকে বা এই দুইয়ের স্থায়ীত্বকে বোঝায়। একটি প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই বারংবার,দ্রুত এবং মৌলিক ভাবে নিজের পরিবর্তন ঘটায় না।
বহুপ্রজন্ম ধরে তাদের এব স্বতন্ত্র পরিচিতি আদায় বজায় রাখতে হয়। গ্রন্থাগারেরও সেই রকম বিষেয় কর্তব্য আছে।
এবার আসি সামাজিক কথার মধ্যে। সামাজিক শব্দটি মানুষের চিন্তাধারার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ন স্থান অধিকার করে আছে।
এই সব ধারণাকে একটি স্থায়ি রূপ দিতে উনবিংশ শতাব্দীর গুণীজনেরা গ্রন্থাগারকে প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন।
গ্রন্থাগারের সৃষ্টি সমাজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য।
আধুনিক সমাজের চাহিদা ও গ্রন্থাগার:-
আধুনিক সমাজের চাহিদা নানাকরমের। শিক্ষা সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ একজন জ্ঞান সম্পন্ন,ওয়াকিবহাল মহল,দ্বায়িত্ব সম্পন্ন নাগরিক তৈরী করতে সাহায্য করে।
আর আর্থিক স্বচ্ছলতা সমাজের এ মৌলিক চাহিদা। এর জন্য প্রয়োজন সমাজের উপযুক্ত উন্নতি,যার জন্য প্রয়োজন জরুরী গবেষণা ও উপযুক্ত তথ্য ভাণ্ডার।
আধুনিক সমাজের কয়েকটি বৈশিষ্ট হল উন্নত প্রযুক্তিমবিচিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও উন্নততর জ্ঞান।
"মানুষ শুধুমাত্র রুটির সাহায্যে বাঁচেনা । " মানুষের সূক্ষ প্রবৃত্তি গুলি তার জীবনধারনাকে পরিশুদ্ধ করে এক উচ্চতার স্তরে পৌছে দেয়।
ইতিহাসের উষাকাল থেকে অবকাশ যাপনের বিলাশিতা শুধুমাত্র স্বল্পসংখক মানুষেরই ছিল। ধনী ও ক্ষমতাবান মানুষেরাই এই অবকাশ ভোগ করত ।
কারণ দরিদ্র ও দুর্বল মানুষেরা জীবনভর শ্রমের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থেকেছে।
বর্তমান শতাব্দীতে বিভিন্ন রকম প্রয়োজন মেটাবার জন্য বিশেষ করে গ্রন্থাগারেরে প্রসারের মধ্যে উন্নত সমাজগুলিকে ঘটে যাওয়া শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লবের প্রতিফলন দেখা যায়। সরকার,ব্যবসা,শিল্প মহলকে কাজকর্মের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
এই চাহিদা মেটাতে ছোট বড় নানা ধরনের গ্রন্থাগার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আধুনিক সমাজ এখন ব্যক্তির স্বাধীনতার অধিকার,গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশগ্রহনের অধিকার এবাং তার সমস্ত সম্ভাবনাকে বাস্তব করে তোলার প্রয়াসকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
কোন ব্যক্তি মানুষের কাছ থেকে সমাজের এই বিইপুল প্রত্যাশার কথা আমারা যখন চিন্তা করি তখনেই আমার প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রন্থাগারের পূর্ণ স্ভাবনার কথা তুলে ধরি।
======
পরবর্তী পর্বে থাকছে:
* সামাজে গ্রন্থাগারের ভূমিকা
*গ্রন্থাগারের পরিবর্তন শীল অবস্থা
* আরোও কিছু বাংলা বই এর ডাউনলোড লিঙ্ক
===================
বই এর ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে আছে বই এর নিচে নামের মধ্যে ক্লিক করুন
দুটি হৃদয়
হারানো কাকাতুয়া
কাছের মানুষ
(ডাউনলোড লিঙ্কে ক্কিক করলে সে ওয়েব আসবে তার উপরে ডানদিকে SKIP AD এর ছবি আসবে এই রমক এখানে ৫ সেকন্ড পর ক্লিক করলে মিডিয়া ফায়ারে ডাউনলোড লিঙ্ক পাবেন)
ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।