আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ: সংক্ষেপে ৪০০০ বছরের ইতিহাস।

নিজের জন্য লেখি, নিজের কথা লেখি। বাংলা শব্দটি এসেছে দ্রাবিড়দের বং/বঙ্গা উপজাতি হতে। বাংলাদেশের মূল অংশ বঙ্গোপসাগর থেকে জেগে উঠেছে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এর কিছু অংশে মানব বসতির অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন কাল থেকেই এখানে একটি স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট সংস্কৃতি টিকে ছিল।

মহাভারত থেকে জানা যায়, রাজা বালির পোষ্য সন্তান ভাঙ্গা নিজের নামে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। মহাভারত অনুযায়ী, অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুণ্ড্র ও সুহ্ম - এই পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতারা একই বংশের সন্তান রাজা বলির পুত্র ছিলেন। মহাভারতে পুণ্ড্র বা পৌণ্ড্র ভারতবর্ষের একটি রাজ্য হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। পৌণ্ড্ররাজ্য বৈদিক আচার আচরণের বিরোধী ছিল। তাদের নিজস্ব উন্নত সংস্কৃতি ছিল যা বৈদিক সংস্কৃতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।

মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবী নূহ আ:-এর ছয় পুত্র। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে উপনিবেশ গড়ে তোলেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন হিন্দ্। এই হিন্দের নামানুসারে হিন্দুস্তানের নাম। হিন্দ্-এর চার পুত্র।

তাদের এক ছিল বাং। বাং-এর সাথে আল্ / বাঁধ শব্দ যুক্ত হয়। যা জল প্লাবনের হাত থেকে জনপদ ও শস্যক্ষেত রক্ষা করতো। ‘সুলতান সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বঙ্গ শব্দের সাথে সংস্কৃত লাহ্‌ প্রত্যয় যুক্ত করে, বাংলা শব্দটির সুচনা করেন। উয়ারি-বটেশ্বর অঞ্চলে ২০০৬ সালে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো।

দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশীদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্যরা প্রথমে অনেক চেষ্টা করেও পুর্ব বাংলার অঞ্চল জয় করতে পারেনি। তাই, এই রাজ্যের অধিবাসীদের গালিগালাজ করে শ্লোক তৈরী করেছিলো। আলেকজান্ডার বিশ্ব জয় করে বাংলার পশ্চিম প্রান্তে গঙ্গার পারে পৌছান তারপর তার জেনারেলরা তখনকার বাংলার(গঙ্গোরিধি) রাজার বিবরন শুনে আর আগানোর সাহস পান নাই।

এই বাংলা অঞ্চল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী দ্বারা শাষিত হয়েছে। শাষকরা এসেছে, আবার চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমরা রয়ে গেছি। আমাদের সম্পদ বলতে জমি আর আমি(মানবসম্পদ)। ব্রিটিশরা যখন বাংলাদেশে আসে, তখন বাংলা ছিলো বিশ্বের ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ অঞ্চল।

চেস্টা করলে আবার কেন মাথা উচু করে দাড়াতে পারব না? ২০০০ বিসি(- ৪০০০ বছর)ঃ প্রায় চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। ভাষা পরিবার: Indo-European -> * ইন্দো-ইরানীয় -> o ইন্দো-আর্য -> + মাগধী প্রাকৃত -> # অপভ্রংশ অবহট্ঠ -> * বাংলা-অসমীয়া -> o বাংলা। বাংলা ভাষার ইতিহাস তিন পর্যায়ে বিভক্ত: প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ – ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) — লিখিত নিদর্শনের মধ্যে আছে চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান; আমি, তুমি, ইত্যাদি সর্বনামের আবির্ভাব; ক্রিয়াবিভক্তি -ইলা, -ইবা, ইত্যাদি। ওড়িয়া ও অসমীয়া এই পর্বে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) — এ সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন; শব্দের শেষে “অ” ধ্বনির বিলোপ; যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন; ফার্সি প্রভাব। কোন কোন ভাষাবিদ এই যুগকে আদি ও অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন। আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে) — ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষেপন (যেমন তাহার → তার; করিয়াছিল → করেছিল)। ১০০০ বিসি(- ৩০০০ বছর)ঃ ইন্দো-আর্যরা আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয়। এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল।

যার বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে, অথর্ববেদে। ৭০০ বিসি(- ২৭০০ বছর)ঃ পুড্রবর্ধন, রাজধানিঃ মহাস্থান-গর (বর্তমান বগুরা)। ৬০০ বিসি(- ২৬০০ বছর)ঃ অঙ্গ ও পুন্ড্র রাজ্যের উথথান। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল। মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য।

মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায়। ৫৪৪ বিসি(- ২৫৪৪ বছর)রাঢ়/কলিঙ্গের রাজা সিংহবাহুর পুত্র রাজকুমার বিজয় সিংহের লংকা জয় করেন। বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি। মগধের ক্ষমতা বাড়ে বিম্বিসারের (রাজত্বকাল ৫৪৪-৪৯১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর (রাজত্বকাল ৪৯১-৪৬০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) আমলে। বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল।

সিদ্ধাত্থ গোতম বুদ্ধ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক ধর্মগুরু এবং বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবৎকাল ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৪৩৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে। সিদ্ধার্থের পিতা ছিলেন শাক্য বংশীয়মায়াদেবী। মায়াদেবী কপিলাবস্তু থেকে পিতার রাজ্যে যাবার পথে লুম্বিনি গ্রামে (অধুনা নেপালের অন্তর্গত) সিদ্ধার্থের জন্ম দেন। জ্ঞানান্বেষণে, মাত্র ২৯ বছর বয়সে ঘুমন্ত স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে তিনি প্রাসাদ ত্যাগ করেন।

কিছু দিন যাবার পর তিনি মগধের উরুবিল্ব নামক স্থানে গমন করেন। সেখানে পত্রবৃক্ষতলে ভূমিতে পূর্বমুখি হয়ে তপস্যায় বসেন। ত্রিপিটক বৌদ্ধদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ। খ্রীষ্ট পূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃত হয়। ত্রিপিটক পালি ভাষার গ্রন্থ।

আর সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে। ৪৫০ বিসি(- ২৪৫০ বছর) উয়ারী-বটেশ্বর( বর্তমান নরসীনদি) সভ্যতার বিকাশ। ৩২৭ বিসি(- ২৩৩৯ বছর) ৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয়। এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাকাছি বিশাল ভারতীয় বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায়। ওই সময় বাংলা গঙ্গা নদীর জন্য গঙ্গোরিধি নামে পরিচিত ছিল।

তখন গঙ্গোরিধির রাজার ২,০০০ রথ, ৪,০০০ হাতি, ২০,০০০ ঘোড়া, ২,০০,০০০ সৈন্য ছিলো। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষনা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে । আলেকজান্ডার দি গ্রেট ৩ দিন নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখেন কিন্তু তার সেনাপতিরা বাংলা আক্রমনে রাজি হন নাই। আলেকজান্ডার তখন তাঁর সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল। গঙ্গোরিধির রাজা অগ্রামেস ছিলেন সাধারন ঘরের মানুষ, যিনি খুবই সুদর্শন ও বুদ্ধিমান ছিলেন।

রানীর সহায়তায় পুর্বের রাজাকে হত্যা করে তিনি রাজা হন, অল্প দিনেই তিনি জনতার মন জয় করেন। ৩২০ বিসি(- ২৩৩২ বছর) মৌর্য সাম্রাজ্য মৌর্য রাজবংশ-শাসিত এই সাম্রাজ্য ৩২১ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। মৌর্য সাম্রাজ্যের উৎসভূমি ছিল গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের মগধ রাজ্য (অধুনা বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বাংলা)। মৌর্য সাম্রাজ্যের মোট আয়তন ছিল ৫,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।

এই সাম্রাজ্য ছিল সমসাময়িক বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির অন্যতম। সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তার ছিল উত্তরে হিমালয়, পূর্বে বর্তমান অসম, পশ্চিমে বালুচিস্তান, দক্ষিণ-পূর্ব ইরান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত। সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা)। ৩০০ বিসি(- ২৩১২ বছর) সম্রাট অশোক দ্যা গ্রেট জন্ম ৩০৪ খ্রীষ্টপূর্ব, শাসনকাল ২৯৮-২৭২ খ্রীষ্টপূর্ব; তিনি ছিলেন মৌর্য রাজবংশের রাজা। তার সময়ে মৌর্য সাম্রাজ্য ছিলো এখনকার বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারতসহ একদম পাকিস্তান-আফগানিস্তান পর্যন্ত।

ভারতের ইতিহাসে দুজন রাজাকে গ্রেট উপাধি দেয়া হয়েছে তাদের একজন হলেন অশোক দ্যা গ্রেট আরেকজন আকবর দ্যা গ্রেট। মজার ব্যাপার হল হিন্দু অধ্যুষিত ভারতে একজন হিন্দু রাজাও এই উপাধি লাভ করেননি। অশোক প্রথম জীবনে বৈদিক ধর্মের অনুসারী হলেও পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। রাজা হওয়ার পরই অশোক সাম্রাজ্য বিস্তারে মনযোগী হন। তিনি পূর্বে বর্তমান আসাম ও বাংলাদেশ, পশ্চিমে ইরান ও আফগানিস্হান, উত্তরে পামীর গ্রন্থি থেকে প্রায় সমগ্র দক্ষিণভারত নিজের সাম্রাজ্যভূক্ত করেন।

এরপর অশোক কলিঙ্গ প্রজাতন্ত্র দখলে উদ্যোগী হন। খ্রীষ্টপূর্ব ২৬১ (মতান্তরে খ্রীষ্টপূর্ব ২৬৩) দয়া নদীর ধারে ধৌলি পাহাড়ের কাছে ভীষণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। দু'দলের মধ্যে প্রচুর হতাহতের মধ্যে অশোক কলিঙ্গজয় করেন। এই যুদ্ধে কলিঙ্গবাহিনীর ১,০০,০০০ সেনা ও মৌর্য সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনা নিহত হয় ও অসংখ্য নর-নারী আহত হয়। যুদ্ধের এই বীভত্সতা সম্রাট অশোককে বিষাদগ্রস্থ করে তোলে।

তিনি যুদ্ধের পথত্যাগ করে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও অহিংসার পথে সাম্রাজ্য পরিচালনের নীতি গ্রহণ করেন। ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ (-১৪০৬ বছর) গৌড় রাজ্যঃ বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলে। সম্ভবত তিনি গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে একজন সামন্তরাজা ছিলেল । তিনি সম্ভবত হর্ষবর্ধন-এর ভগিনী রাজ্যশ্রী কে অপহরন করে ছিলেন। এইজন্য হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয় ।

তাঁর শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখে কামরুপ রাজ ভাষ্করবর্মন তাঁর শত্রু হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন। ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে শশাঙ্ক-এর মৃত্যুর পর তাঁর রাজ্যের পতন ঘটে ও বাংলাতে এক অরাজক অবস্থার সৃস্টি হয় যাকে বাংলায় মাৎস্যন্যায় বলা হয় । যা প্রায় দেড়শো বছর তা স্থায়ী হয় । এই সময় বাংলাতে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের সৃস্টি হয় আত্মকলহ, গৃহযুদ্ধ, গুপ্তহ্ত্যা, অত্যাচার প্রভৃতি চরমে ওঠে। বাংলার সাধারণ দরিদ্র মানুষদের দুর্দশার শেষ ছিল না।

স্থায়ী প্রশাসন না থাকাতে বাহুবলই ছিল শেষ কথা। ৭৭৫ খ্রীষ্টাব্দ (-১২৩৭ বছর)ঃ পাল বংশঃ মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজা কে বাংলার রাজা হিসেবে গ্রহন করেন । গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা । পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)। পাল শাসকদের রাজধানী ছিল ‘রামাবতী নগরী’ কোথায়।

সেন নৃপতি বিজয় সেনের রাজধানী ছিল ‘বিজয়নগর’। ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে (-১০৩০ বছর): অতীশ দীপঙ্কর বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মুগ্রহণ করেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে তিনি একজন প্রখ্যাত নৈয়ায়িক ব্রাহ্মণকে তর্কযুদ্ধে পরাজিত করলে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পরে। একত্রিশ বছর বয়সে ধ্যান শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি মগধের জ্ঞানবৃদ্ধ আচার্য ধর্মরক্ষিতের কাছে যান। এর পর ১০১১ সালে তিনি ১২৫জন অনুগামী ভিক্ষুসহ এক সওদাগরী জাহাজে মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে যান এবং সেখানে প্রখ্যাত আচার্য ধর্মকীর্তির কাছে ১২ বছর বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।

পরে কিছু দিন শ্রীলংকায় অবস্থান করে ১০২৫ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ বছর বয়সে তিনি আবার ভারতবর্ষে ফিরে আসেন। এ সময় বজ্রাসন মহাবোধি বিহারে (বর্তমান বৌদ্ধগয়া) আয়োজিত সংবর্ধনায় তার অসামান্য পান্ডিত্যের জন্য 'ধর্মপাল' উপাধি দেওয়া হয়। তিব্বতের রাজা চ্যান-চাব জ্ঞানপ্রভ তাঁকে আমন্ত্রণ করলে তিনি ১০৪১ সালে বিক্রমশীলা বিহার থেকে যাত্রা শুরু করে দুর্গম হিমালয় পর্বতমালা পাড়ি দিয়ে তিব্বতে যান। তিব্বতে পৌঁছে দীপঙ্কর রাজকীয় মর্যাদা লাভ করেন। এখনও সেখানকার মঠের প্রাচীরে এই সংবর্ধনার দৃশ্য আঁকা আছে।

তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসা ও কারিগরিবিদ্যা সম্পর্কে তিব্বতি ভাষায় দুইশ'রও বেশি বই রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করে তিব্বতবাসীদের মাঝে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিব্বতবাসীরা গৌতম বুদ্ধের পরেই তাঁকে স্থান দেয় এবং তাঁকে 'জোবো ছেনপো' বা মহাপ্রভুরূপে মান্য করে। তারা তাঁকে "অতীশ" উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি তিব্বতে বহু প্রাচীন সংস্কৃত পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং নিজ হাতে সেগুলির প্রতিলিপি করে বাংলায় পাঠান। ১২০৪ এডি(-৮০৮ বছর)ঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খালজি বাংলা জয় করেন।

বাংলায় মুসলিম শাষনের সুচনা হয়। ১২৬৮ থেকে ১২৮১ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মুসলিম রাজ্য তথা দিল্লী সালতানাতের অধীনে লক্ষনাবতীর অন্তর্ভূক্ত হয়। ইখতিয়ার উদ্দিন বাংলা জয় করে রংপুর অঞ্চলে তাঁর প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। ১৩৪২ সালে সুলতান শাসুদ্দিন ইলয়াস শাহ্ লক্ষনাবতীকে স্বাধীন সালতানাত ঘোষণা করে বাংলাকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোতে আনেন। ১৫৩৪ এডি(-৪৭৮ বছর)ঃ পর্তুগিজদের আগমন ও ব্যবসার অনুমতি লাভ।

১৫৩৮ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ গিয়াসউদ্দিন শাহ ও তার পর্তুগিজ মিত্ররা শের শাহ এর কাছে পরাজিত হন। মঘল সম্রাট হুমায়ুন গৌর দখল করেন, কিন্তু বাংলার সুলতান শের শাহ এর কাছে পরাজিত ও বিদ্ধ্স্ত হন। ১৫৭৮ এডি(-৪৩৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার খান জাহান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খার কাছে পরাজিত হন। ১৫৮৪ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার শাহাবাজ খান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খার কাছে পরাজিত হন। ১৫৯৭ এডি(-৪৬১ বছর)ঃ মুঘল সেনাপতি মান সিং ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।

১৬০৮ এডি(-৪৫০ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার ইসলাম খান বাংলা জয় করেন, ঢাকাকে এই অঞ্চলের রাজধানী করেন। মুঘল শাষক জাহাঙ্গিরের নামানুষারে ঢাকার নাম জাহাঙ্গির নগর করেন। ১৭৫৭ এডি(-২৫৫ বছর)ঃ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়। ১৭৭০ এডি(-২৪২ বছর)ঃ ৭৬-এর মন্বন্তর(বাংলা ১১৭৬- ১১৮০) দের কোটি বাঙ্গালী মারা যায়।

১৮৫৭ এডি(-১৫৫ বছর)ঃ সিপাহি বিপ্লব। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং বাংলা সরাসরি ভাবে ব্রিটিশ রাজবংশের শাসনাধীনে আসে । বাংলা ছিল খুব ভালো ধান উৎপাদক অঞ্চল এবং এখানে সূক্ষ সুতিবস্ত্র মসলিন তৈরি হত । এছাড়া এই অঞ্চল ছিল পৃথিবীর পাট চাহিদার মুখ্য যোগানকারী। ১৮৫০ সাল থেকেই বাংলায় ভারতের প্রধান শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠতে থাকে ।

এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল মূলত কলকাতার আশেপাশে এবং সদ্য গড়ে ওঠা শহরতলি এলাকায় । কিন্তু বাংলার বেশিরভাগ মানুষ তখনও কৃষির উপরেই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন । ভারতের রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে বাংলার মানুষেরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করলেও বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় তখনও খুব অনুন্নত জেলা ছিল । ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে রানী ভিক্টোরিয়া যখন ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধিতে নিজেকে ভূষিত করলেন তখন ব্রিটিশরা কলকাতাকে ব্রিটিশ রাজের রাজধানী বলে ঘোষনা করে । ১৯০৫ এডি(-১০৭ বছর)ঃ বঙ্গ-ভঙ্গ।

১৯১৩ এডি(-৯৯ বছর)ঃ আহমদিয়া/ কাদিয়ানিদের উত্থান। ১৯২১ এডি(-৯১ বছর)ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। ১৯৪০ এডি(-৭২ বছর)ঃ শের-ই-বাংলা কর্তিক “মুসলম লীগ” গঠন। ১৯৪৭ এডি(-৬৫ বছর)ঃ ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ। তখন বাংলা ভাগ করে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করা হয়।

১৯৪৮ এডি(-৬৪ বছর)ঃ খাজা নিজামউদ্দিন(ঢাকা) পাকিস্তানের ২য় গভর্নর- জেনারেল হন। ১৯৪৯ এডি(- ৬৩ বছর)ঃ “আওয়ামী মুসলিম লীগ” গঠন। ১৯৫১ এডি(-৬১ বছর)ঃ খাজা নিজামউদ্দিন(ঢাকা) পাকিস্তানের ২য় তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। ১৫২ এডি(-৬0 বছর)ঃ ভাষা আন্দোলন ১৯৫৩ এডি(-৫৯ বছর)ঃ “আওয়ামী মুসলিম লীগ” এর নাম পরিবর্তন করে “আওয়ামী লীগ” করা হয়। মোহাম্মদ আলী (বগুরা) পাকিস্তানের ৩য় তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন।

১৯৫৬ এডি(-৫৬ বছর)ঃ “ইস্কান্দার মীর্জা(মুর্শিদাবাদ/রাজশাহী)” পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল ও ১ম প্রেসিডেন্ট। । একই বছর হসেন শহীদ সহরোয়ার্দী পাকিস্তানের ৫ম তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। এই বছরই বাংলা -কে রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা করা হয়। ১৯৬৫ এডি(-৪৭ বছর)ঃ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধেঃ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে কাশ্মীরে চরম মার খায় ভারতীয় বাহিনী।

বিশ্ব সেরা গুর্খা রেজিমেন্ট প্রথমেই পলায়ন করে। পরে বাংলার দামাল ছেলেরা খালি হাতে বুকে মাইন নিয়ে ট্যাঙ্ক এর নিচে ঝাপিয়ে পড়ে। সেই সময়ের পাকিস্তান আর্মির অধিকাংশ খেতাব, হিলাল ই জুরাত, সিতারা এ আম উপাধি এই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পায়। ১৯৬৬ এডি(-৪৬ বছর)ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা আন্দোলন। ১৯৬৮ এডি(-৪৪ বছর)ঃ আগরতলা ষরযন্ত্র মামলা।

১৯৬৯ এডি(-৪৩ বছর)ঃ ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ১৯৭০ এডি(-৪২ বছর)ঃ ভোলা সাইক্লোন, প্রায় ৫,০০,০০০ মানুষ মারা যায়। ১৯৭১ এডি(-৪১ বছর)ঃ বঙ্গবন্ধুর সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না হওয়ায় জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। প্রায় ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধে মোট জীবনহানির সংখ্যার কয়েক লাখ হতে শুরু করে ৩০ লাখ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে দীর্ঘ ৯ মাস। মুক্তি বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সহায়তায় প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনির বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে জয়লাভ করে। এই সময় অধিকাংশ বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তা পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন।

মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পন করেন। প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধবন্দী হিসাবে ধরা পড়ে, যাদেরকে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মোট ৩৬০০০ স্থানীয় দালাল, রাজাকারকে সরাসরি গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্য ২৬০০০ জনকে বঙ্গবন্ধু সাধারন ক্ষমা করে ছিলেন। বিচারপতি সায়েম সিএমএলএ থাকা অবস্থায় বাকিদের মুক্ত করে দেন।

১৯৭২-১৯৭৫ এডি(-৪০ বছর)ঃ স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ প্রথমে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু হয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৭৫ সালের শুরুতে মুজিব দেশে বাকশালের অধীনে সকল দল এবং ব্যক্তি নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিয়দংশ ষড়যন্ত্রে সংঘটিত অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন।

১৯৭৫-১৯৮১ এডি(-৩৮ বছর)ঃ ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ‘’সিপাহি বিপ্লব’’ নামের আন্দোলনে জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে সংশ্লিস্ট হন। ১৯শে নভেম্বরের পর তিনি উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েমের পরে ২১শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামের রাজনৈতিক মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। ১৯৮১ সালের ২৯শে মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন। ১৯৮২-১৯৯০ এডি(-৩১ বছর)ঃ ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন।

এরশাদ স্বৈরশাসক হিসাবে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তার পতনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরায় চালু হয়। ১৯৯১-১৯৯৬ এডি(-২২ বছর)ঃ জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী হিসাবে ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ এডি(-১৭ বছর)ঃ শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ক্ষমতায় ছিলেন। ২০০১-২০০৬ এডি(-১২ বছর)ঃ চারদলীয় ঐক্যজোট, জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী হিসাবে ২০০১ হতে ২০০৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৬-২০০৯ এডি(-০৭ বছর)ঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০৯- এডি(-০৪ বছর)ঃ চৌদ্দদলীয় মহাজোট, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে, এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ২০১২-বর্তমানঃ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর দেশে পুনরায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরম্ভ করা হয়। তথ্য সুত্র: Click This Link Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.