আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেটিয়াকে পেতে ভারতের ভূমি বিনিময়: পরেশ

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে নিজেদের হেফাজতে পেতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে ভূমি বিনিময় করছে বলে দাবি করেছেন উলফাপ্রধান পরেশ বড়–য়া। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এ সীমান্ত ভূমি বিনিময়ে আসামের ভৌগোলিক সীমানা পাল্টে যেতে পারে- এ আশঙ্কা প্রকাশের পাশাপাশি এ প্রক্রিয়া না থামানোয় আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগোইয়ের সমালোচনাও করেছেন পরেশ। অনুপ চেটিয়াকে ভারতে হস্তান্তরের আইনি প্রক্রিয়া শুরু এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সীমানা চিহ্নিতকরণ নকশা সই শুরুর এক মাসের মধ্যে এ দাবি করলেন ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের প্রধান পরেশ বড়–য়া। তিনি বাংলাদেশে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি।

গত ২৬ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় তাতে পরেশ বড়–য়াকেও আসামি করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত অবস্থান থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় বুধবার পরেশ বড়–য়া বলেন, বাংলাদেশ অনুপ চেটিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে হস্তান্তর করছে এবং এর বিনিময়ে প্রতিবেশি দেশটিকে সন্তুষ্ট করতে সীমানায় ভূমি বিনিময় করছে ভারত। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে পরেশ বলেন, 'ভারত খুব ভাল করেই জানে যে, ভূমি বিনিময়ের এই চুক্তির ফলে আসামের মানচিত্র পাল্টে যাবে, এবং বিষয়টা তরুণ গোগোইয়েরও ভাল করেই জানা আছে। ' 'কিন্তু এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা না করে তিনি ওই চুক্তি স্বাক্ষর দেখতে মনমোহনের সঙ্গী হচ্ছেন। ' গোগোইকে ভূমি বিনিময়ের এই 'ষড়যন্ত্রের' অংশ না হতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জনগণকে এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোরও আহ্বান জানিয়েছেন উলফার কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ।

গত ৩ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানানা, বাংলাদেশের কারাগারে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে [ভারতে] হস্তান্তরের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের পক্ষকাল আগে গত ২০ অগাস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত সীমানা চিহ্নিতকরণ নকশা সই শুরু হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচটি সেক্টরে বিস্তৃত ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের জন্য মোট ১ হাজার ১৪৯টি নকশা (ম্যাপ) তৈরি হয়েছে। সীমানা চিহ্নিত করার নকশায় সইয়ের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বিরাজমান সীমান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাবে। এতদিন এসব সীমানা কার্যত মৌখিকভাবে স্বীকৃত থাকলেও এর মাধ্যমে আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

তবে দুই দেশের মধ্যে এখনো ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সীমান্তের সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে কিছু অপদখলীয় এলাকাও রয়েছে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।