ভালবাসি তোমায় এখানে অনেক ব্যাচেলর ভাইরা আছ। তাদের জন্য এইটা। ।
"তখন একা থাকতাম। ব্যাচেলর।
নিজের রান্না নিজেই করতাম। মাছের মধ্যে শুধু চিংড়ি আর কাঁচকি মাছ খেতাম। কুঁটতে পারতাম না বলে অন্য মাছ খাওয়া হোত না। একদিন দুপুরে রাস্তার মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এক মাছ বিক্রেতার কাছে তাজা তাজা টেংরা,পুঁটি,টাকি (মানে পাঁচমিশালী মাছ আরকি) দেখে খাওয়ার লোভ হল।
দোস্তদের কাছে মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করার প্রেক্ষিতে এক দোস্ত সাজ্জাদ বলল,'কিন্না ফেল কিছু মাছ। তুই তো রানতে পারস সমস্যা কি? কিন্না দে আমি আমগো কাজের মেয়েরে দিয়া কাইট্টা বিকালে নিয়া আসুমনে। ' ভেরি গুড অফার। আমি কেজিখানেক জলজ্যান্ত মাছ কিনে তাকে দিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। মনে মনে খুব খুশি।
ছোট মাছের প্রতি আমি এমনিতেই খুব দুর্বল। তার উপর এমন তাজা মাছগুলো!!
আমি মসলাপাতি রেডি করে সারাটা বিকাল অয়েট করলাম..সারাটা সন্ধা অয়েট করলাম..রাত এগারটা পর্যন্ত অয়েট করে মসলাপাতি গুছিয়ে রেখে না খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সামান্য মাছের জন্য ফোন করে বলতে লজ্জা করল 'কি রে সাজ্জাদ আমার মাছ কই?'
পরবর্তী দু'হপ্তা কেটে গেল। আমি মাছের কোন খোঁজ পেলাম না । সাজ্জাদের সাথে দেখা হয়,কথা হয় বাট মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না।
ওরা কোটিপতি মানুষ। সামান্য মাছের কথা বলি কি করে? কথায় বলে 'মাছের মায়ের পুত্রশোক', পাঁচমিশালী মাছের জন্য আমার শোক তারচেয়েও বেশি হতে লাগলো। আমি একখানা মৎস্য পদ্য রচনা করলাম এবং কম্পিউটারের ডেক্সটপে রেখে দিলাম। একদিন সাজ্জাদ এলে তাকে কম্পিউটারে বসিয়ে বাইরে গেলাম কোক আনার কথা বলে। এসে দেখি সাজ্জাদ নেই।
কোথায় গেছে বলার আগে কাব্যটা বলা প্রয়োজন।
'মাছ কিন্নাও খাইতে পারিনা,
এইটা কেমন জ্বালা!
মাছটা কেনার বুদ্ধি আমারে
দিছিলোরে কোন শালা!
আজ মাছ খাবো,কাল মাছ খাবো,
বসে থাকি রোজ আশায়,
আমার সাধের মাছগুলা নিয়া
কেউতো আসেনা বাসায়।
কত্তগুলো টেংরা পুটি,
টাকি ছিল একটি দুটি,
খাচ্ছিল সব লুটোপুটি,
আজকে তোরা কইরে?
মাছ হারানোর ব্যাথা আমি
কেমন করে সইরে!
তেল নুন সব রেডি করা আছে
মসলাও আছে বাটা,
মাফ চাই আমার মাছ দিয়া দেন
লাগবোনা মাছ কাটা।
আল্লাই জানে মাছগুলা সব
কি করছে ঐ বাড়িতে,
নাকি এতদিনে মরে পড়ে আছে
রান্নাঘরের হাঁড়িতে!
মাছেরা বাবারা,ভাইয়েরা,বোনেরা
ফিরা আয়,ফিরা আয়,
এ কোন জমানা আইলোরে বাবা
কার মাছ কেডা খায়!'
দশ মিনিটের মধ্যে সাজ্জাদ আমার মাছের পোঁটলা নিয়ে ফিরে এল। বলল, 'দোস্ত সরি।
মেয়েটা মাছ কাইটা ফ্রিজে রাইখা দিছিল। আমিও গেছি ভুইলা। কিছু মনে করিস না। ' আমি পোঁটলা হাতে নিতে নিতে বললাম, দুর ব্যাক্কল! এই সামান্য মাছের লাইগা আবার কি মনে করুম। এইটা আবার ফেরত আনা লাগে।
আমি তো মাছের কথা ভুইলাই গেছিলাম। ' কথাটা বলে বিজয়ীর হাসি হাসলাম। হা হা হা । এমন হাসি মনে হয় আমেরিকা আবিস্কারের পর কলম্বাসও হাসেনিতখন একা থাকতাম। ব্যাচেলর।
নিজের রান্না নিজেই করতাম। মাছের মধ্যে শুধু চিংড়ি আর কাঁচকি মাছ খেতাম। কুঁটতে পারতাম না বলে অন্য মাছ খাওয়া হোত না। একদিন দুপুরে রাস্তার মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এক মাছ বিক্রেতার কাছে তাজা তাজা টেংরা,পুঁটি,টাকি (মানে পাঁচমিশালী মাছ আরকি) দেখে খাওয়ার লোভ হল।
দোস্তদের কাছে মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করার প্রেক্ষিতে এক দোস্ত সাজ্জাদ বলল,'কিন্না ফেল কিছু মাছ। তুই তো রানতে পারস সমস্যা কি? কিন্না দে আমি আমগো কাজের মেয়েরে দিয়া কাইট্টা বিকালে নিয়া আসুমনে। ' ভেরি গুড অফার। আমি কেজিখানেক জলজ্যান্ত মাছ কিনে তাকে দিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। মনে মনে খুব খুশি।
ছোট মাছের প্রতি আমি এমনিতেই খুব দুর্বল। তার উপর এমন তাজা মাছগুলো!!
আমি মসলাপাতি রেডি করে সারাটা বিকাল অয়েট করলাম..সারাটা সন্ধা অয়েট করলাম..রাত এগারটা পর্যন্ত অয়েট করে মসলাপাতি গুছিয়ে রেখে না খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। সামান্য মাছের জন্য ফোন করে বলতে লজ্জা করল 'কি রে সাজ্জাদ আমার মাছ কই?'
পরবর্তী দু'হপ্তা কেটে গেল। আমি মাছের কোন খোঁজ পেলাম না । সাজ্জাদের সাথে দেখা হয়,কথা হয় বাট মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না।
ওরা কোটিপতি মানুষ। সামান্য মাছের কথা বলি কি করে? কথায় বলে 'মাছের মায়ের পুত্রশোক', পাঁচমিশালী মাছের জন্য আমার শোক তারচেয়েও বেশি হতে লাগলো। আমি একখানা মৎস্য পদ্য রচনা করলাম এবং কম্পিউটারের ডেক্সটপে রেখে দিলাম। একদিন সাজ্জাদ এলে তাকে কম্পিউটারে বসিয়ে বাইরে গেলাম কোক আনার কথা বলে। এসে দেখি সাজ্জাদ নেই।
কোথায় গেছে বলার আগে কাব্যটা বলা প্রয়োজন।
'মাছ কিন্নাও খাইতে পারিনা,
এইটা কেমন জ্বালা!
মাছটা কেনার বুদ্ধি আমারে
দিছিলোরে কোন শালা!
আজ মাছ খাবো,কাল মাছ খাবো,
বসে থাকি রোজ আশায়,
আমার সাধের মাছগুলা নিয়া
কেউতো আসেনা বাসায়।
কত্তগুলো টেংরা পুটি,
টাকি ছিল একটি দুটি,
খাচ্ছিল সব লুটোপুটি,
আজকে তোরা কইরে?
মাছ হারানোর ব্যাথা আমি
কেমন করে সইরে!
তেল নুন সব রেডি করা আছে
মসলাও আছে বাটা,
মাফ চাই আমার মাছ দিয়া দেন
লাগবোনা মাছ কাটা।
আল্লাই জানে মাছগুলা সব
কি করছে ঐ বাড়িতে,
নাকি এতদিনে মরে পড়ে আছে
রান্নাঘরের হাঁড়িতে!
মাছেরা বাবারা,ভাইয়েরা,বোনেরা
ফিরা আয়,ফিরা আয়,
এ কোন জমানা আইলোরে বাবা
কার মাছ কেডা খায়!'
দশ মিনিটের মধ্যে সাজ্জাদ আমার মাছের পোঁটলা নিয়ে ফিরে এল। বলল, 'দোস্ত সরি।
মেয়েটা মাছ কাইটা ফ্রিজে রাইখা দিছিল। আমিও গেছি ভুইলা। কিছু মনে করিস না। ' আমি পোঁটলা হাতে নিতে নিতে বললাম, দুর ব্যাক্কল! এই সামান্য মাছের লাইগা আবার কি মনে করুম। এইটা আবার ফেরত আনা লাগে।
আমি তো মাছের কথা ভুইলাই গেছিলাম। ' কথাটা বলে বিজয়ীর হাসি হাসলাম। হা হা হা । এমন হাসি মনে হয় আমেরিকা আবিস্কারের পর কলম্বাসও হাসেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।