আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সালিসে অপমান করায় আত্মহত্যা করলেন গার্মেন্টকর্মী মিতা টাকা খেয়ে প্রেমিকের পক্ষ নিয়েছিলেন সালিসকারীরা

বাংলা আমার দেশ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে পারভীন আক্তার মিতা নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন স্থানীয়রা। এরপর উভয়ের পরিবারকে নিয়ে সন্ধ্যায় বৈঠক বসে। বৈঠকে দুজনকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বাধসাধে ছেলেপক্ষ। তারা সালিসে পারভীনের পরিবারকে অপমানও করেন।

বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় অপমানের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পারভীন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রেমিক নাজমুল হোসেন, তার পিতা আইয়ুব আলী, সালিস বৈঠককারী কামাল, ওয়াদুদ, শাহআলম, আজিমসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের ১০ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাড়িতে থাকেন পারভীন। নাজমুল হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল।

মঙ্গলবার সকালে ১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির কেয়ার টেকারের রুম থেকে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে সন্ধ্যায় ১০ নম্বর রোডে কামাল মিয়ার গ্যারেজে সালিস বৈঠক বসে। এ সময় নাজমুলের পরিবার বিয়ের বিষয়ে বৈঠকারীদের কাছে দুই মাসের সময় চায়। এ নিয়ে বৈঠকে কিছুটা হইচই হয়। একপর্যায়ে সালিসকারীরা পারভীনকে অকথ্য ভায়ায় গালাগালি করে।

বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় ও সালিস ডেকে পারভীন ও তার পরিবারের সম্মান নষ্ট করায় বাসায় ফিরে পারভীন গলায় ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তার গ্রামের বাড়ির ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, সালিসকারীরা ছেলের পরিবারের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা খেয়ে বৈঠকে মেয়ে ও তার স্বজনদের অপমান করেছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।